স্মরণঃ আজিমপুরের বড়হুজুর
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সৈনিক সর্বজন
শ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীন বাংলাদেশ ফোরকানিয়া-হাফিজিয়া শিক্ষক সমিতির
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,
ইত্তেহাদুল উম্মার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ইসলাম প্রচার
সমিতি ও বাংলা মসজিদ মিশনের অন্যতম উদ্যোক্তা, আজিমপুর (গোরস্থান) শাহী
মসজিদের ৫০ বছরের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বড়হুজুর রহ:-এর ১২তম
মৃত্যুবার্ষিকী ছিল গতকাল ৩০ জানুয়ারি। আজিমপুরের ‘বড়হুজুর’ নামেই তিনি
সমধিক পরিচিত ছিলেন। বাংলাদেশে আখেরাতমুখী শিক্ষাব্যবস্থার অপরিহার্যতা ও
আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সাথে সমন্বয় সাধনে তার আজীবন সংগ্রাম, বিভিন্ন
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবিক বিপর্যয়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো,
প্রচলিত মনগড়া মতবাদ ও প্রথাগত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা,
সর্বোপরি তার সহজ, সরল ও নিরহঙ্কার জীবনযাপন পদ্ধতি আমাদের প্রেরণার উৎস।
তিনি ১৯০৫ সালে বি. বাড়িয়া জেলার কসবা থানার অন্তর্গত দেলী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বিশিষ্ট আলেম মুন্সী মৌলভী কেরামত উল্লাহ ঢাকার নবাব পরিবারের আবাসিক শিক্ষক ছিলেন। ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করার পর শ্রদ্ধেয় পিতার ঐকান্তিক ইচ্ছায় দ্বীনি ইলম শিক্ষায় ব্রতী হন এবং হজরত মওলানা সিরাজুল ইসলাম রহ:-এর তত্ত্বাবধানে জামেয়া ইউনুসিয়া, বি.বাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়। সম্মানিত উস্তাদমণ্ডলী তার অসামান্য মেধার স্বাক্ষর বুঝতে পেরে উচ্চশিক্ষার্থে তাকে উপমহাদেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দে পাঠান। দেওবন্দে শিক্ষাকালীন পাকিস্তান আন্দোলনে ঢেউ যুবক আবদুল্লাহর মন-মস্তিষ্ককে প্রবলভাবে আলোড়িত করে। তিনি পাকিস্তান আন্দোলনের অন্যতম রূপকার মাওলানা শিব্বীর আহমদ উসমানীর সাথে সাহরানপুরে চলে যান এবং তার নির্দেশে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। পরে ডাভেল মাদরাসায় শিক্ষালাভ করেন। তিনি হাকীমুল উম্মত হজরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবীর সুযোগ্য তত্ত্বাবধানে ইলমে তাসাউফ ও আধ্যাত্মিকতা বিষয়ে শিক্ষালাভের বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেন। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার দিন তিনি ভারত থেকে ঢাকার বড় কাটারা মাদরাসায় হজরত পীরজী হুজুরের অধীনে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তার অকান্ত পরিশ্রম ও সক্রিয় পৃষ্ঠপোষকতায় মাদরাসা ফয়জুল উলুম, আজিমপুরসহ সারা দেশে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠিত হয়।
মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম
তিনি ১৯০৫ সালে বি. বাড়িয়া জেলার কসবা থানার অন্তর্গত দেলী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বিশিষ্ট আলেম মুন্সী মৌলভী কেরামত উল্লাহ ঢাকার নবাব পরিবারের আবাসিক শিক্ষক ছিলেন। ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করার পর শ্রদ্ধেয় পিতার ঐকান্তিক ইচ্ছায় দ্বীনি ইলম শিক্ষায় ব্রতী হন এবং হজরত মওলানা সিরাজুল ইসলাম রহ:-এর তত্ত্বাবধানে জামেয়া ইউনুসিয়া, বি.বাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়। সম্মানিত উস্তাদমণ্ডলী তার অসামান্য মেধার স্বাক্ষর বুঝতে পেরে উচ্চশিক্ষার্থে তাকে উপমহাদেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দে পাঠান। দেওবন্দে শিক্ষাকালীন পাকিস্তান আন্দোলনে ঢেউ যুবক আবদুল্লাহর মন-মস্তিষ্ককে প্রবলভাবে আলোড়িত করে। তিনি পাকিস্তান আন্দোলনের অন্যতম রূপকার মাওলানা শিব্বীর আহমদ উসমানীর সাথে সাহরানপুরে চলে যান এবং তার নির্দেশে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। পরে ডাভেল মাদরাসায় শিক্ষালাভ করেন। তিনি হাকীমুল উম্মত হজরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবীর সুযোগ্য তত্ত্বাবধানে ইলমে তাসাউফ ও আধ্যাত্মিকতা বিষয়ে শিক্ষালাভের বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেন। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার দিন তিনি ভারত থেকে ঢাকার বড় কাটারা মাদরাসায় হজরত পীরজী হুজুরের অধীনে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তার অকান্ত পরিশ্রম ও সক্রিয় পৃষ্ঠপোষকতায় মাদরাসা ফয়জুল উলুম, আজিমপুরসহ সারা দেশে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠিত হয়।
মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম
No comments