ফল-ধন্বন্তরি ফল বেল by নীরব চৌধুরী
গরমে তৃষ্ণা মেটাতে জুড়ি নেই বেলের শরবতের। বেল শুধু তৃষ্ণা মেটাতে সহায়তা করে না, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, এ এবং ক্যালসিয়ামের মতো মূল্যবান পুষ্টি উপাদানও। কাঁচা কিংবা পাকা—দুই ধরনের বেলই সমান উপকারী। কাঁচা বেল ডায়রিয়া ও আমাশয় রোগে দারুণ কাজ করে। পাকা বেল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
এই সময়টাতে খাগড়াছড়ির ফলের বাজারে থাকে বেলের আধিপত্য। ব্যবসায়ীরা এখান থেকে বেল কিনে নিয়ে যান রাজধানীর কারওয়ান বাজারে। আর সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।
সমপ্রতি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার পাঁচমাইল ছোটগাছবান এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতি বাড়িতে তিন-চারটি করে বেলগাছ। কথা হয় এলাকার বাসিন্দা মানবেন্দ্র ত্রিপুরার সঙ্গে। তিনি একটি বেলগাছ দেখিয়ে জানান, গাছটির বয়স ১১ বছর। ছয় বছর থেকে গাছটিতে ফল ধরছে। এ মৌসুমে সাড়ে ৮০০ বেল ধরেছে। গাছটির বেল বিক্রি করেছেন দুই হাজার ৪০০ টাকায়। তিনি জানান, গাছটির আগামী মৌসুমের ফলও তিনি দুই হাজার ৬০০ টাকায় আগাম বিক্রি করে দিয়েছেন।
শুধু মানবেন্দ্র ত্রিপুরার গাছের বেল নয়, ছোটগাছবান এলাকার সব গাছের বেল আগাম বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এই এলাকায় বেলগাছের সংখ্যা সাত শতাধিক।
খাগড়াছড়ির পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা জানান, বেল পুষ্টিকর ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে শ্বেতসার, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ক্যালসিয়াম ও লৌহ রয়েছে। বেলের প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য শাঁসে ৬২.৫% পানি, ১.৮ গ্রাম আমিষ, ৩১.৮ গ্রাম শ্বেতসার, ০.৩৯ গ্রাম স্নেহ, ৮৭ কিলোক্যালারি খাদ্যশক্তি, ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যারোটিন, ০.১৩ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ১.১৯ মিলিগ্রাম রিবোফ্ল্যাবিন এবং ১.১ মিলিগ্রাম লৌহ আছে। অন্য কোনো ফলে এত বেশি পরিমাণে রিবোফ্ল্যাবিন পাওয়া যায় না।
বেল ফুলে মিষ্টি গন্ধ আছে। ফল বড়, গোলাকার, শক্ত খোসাবিশিষ্ট। ফলের ভেতরে শাঁস ৮-১৫টি কোয়া বা খণ্ডে বিভক্ত থাকে। প্রতিটি ভাগে বা খণ্ডে চটচটে আঠার সঙ্গে অনেক বীজ লেগে থাকে। পাকা বেল থেকে সুগন্ধ বের হয়। পাকা বেল গাছ থেকে ঝরে পড়ে।
ঢাকা থেকে আসা বেল ব্যবসায়ী সুজিত বণিক বলেন, তিনি এখান থেকে ১০০ বেল কেনেন ৮০০ টাকায়।
তবে স্থানীয় বাজারে খুচরা বেল বিক্রি হয় প্রতিটি ১০-১২ টাকা দরে।
সাধারণত বেলের জন্য উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশের প্রয়োজন। খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাজহারুল করিম জানান, বেলগাছে তেমন কোনো রোগ ও পোকার আক্রমণ দেখা যায় না।
বেলের জন্ম ভারতবর্ষে। এটি রুটাসি অর্থাৎ লেবু পরিবারের সদস্য। এর সংস্কৃত নাম বিল্ব।
সমপ্রতি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার পাঁচমাইল ছোটগাছবান এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতি বাড়িতে তিন-চারটি করে বেলগাছ। কথা হয় এলাকার বাসিন্দা মানবেন্দ্র ত্রিপুরার সঙ্গে। তিনি একটি বেলগাছ দেখিয়ে জানান, গাছটির বয়স ১১ বছর। ছয় বছর থেকে গাছটিতে ফল ধরছে। এ মৌসুমে সাড়ে ৮০০ বেল ধরেছে। গাছটির বেল বিক্রি করেছেন দুই হাজার ৪০০ টাকায়। তিনি জানান, গাছটির আগামী মৌসুমের ফলও তিনি দুই হাজার ৬০০ টাকায় আগাম বিক্রি করে দিয়েছেন।
শুধু মানবেন্দ্র ত্রিপুরার গাছের বেল নয়, ছোটগাছবান এলাকার সব গাছের বেল আগাম বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এই এলাকায় বেলগাছের সংখ্যা সাত শতাধিক।
খাগড়াছড়ির পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা জানান, বেল পুষ্টিকর ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে শ্বেতসার, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ক্যালসিয়াম ও লৌহ রয়েছে। বেলের প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য শাঁসে ৬২.৫% পানি, ১.৮ গ্রাম আমিষ, ৩১.৮ গ্রাম শ্বেতসার, ০.৩৯ গ্রাম স্নেহ, ৮৭ কিলোক্যালারি খাদ্যশক্তি, ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যারোটিন, ০.১৩ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ১.১৯ মিলিগ্রাম রিবোফ্ল্যাবিন এবং ১.১ মিলিগ্রাম লৌহ আছে। অন্য কোনো ফলে এত বেশি পরিমাণে রিবোফ্ল্যাবিন পাওয়া যায় না।
বেল ফুলে মিষ্টি গন্ধ আছে। ফল বড়, গোলাকার, শক্ত খোসাবিশিষ্ট। ফলের ভেতরে শাঁস ৮-১৫টি কোয়া বা খণ্ডে বিভক্ত থাকে। প্রতিটি ভাগে বা খণ্ডে চটচটে আঠার সঙ্গে অনেক বীজ লেগে থাকে। পাকা বেল থেকে সুগন্ধ বের হয়। পাকা বেল গাছ থেকে ঝরে পড়ে।
ঢাকা থেকে আসা বেল ব্যবসায়ী সুজিত বণিক বলেন, তিনি এখান থেকে ১০০ বেল কেনেন ৮০০ টাকায়।
তবে স্থানীয় বাজারে খুচরা বেল বিক্রি হয় প্রতিটি ১০-১২ টাকা দরে।
সাধারণত বেলের জন্য উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশের প্রয়োজন। খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাজহারুল করিম জানান, বেলগাছে তেমন কোনো রোগ ও পোকার আক্রমণ দেখা যায় না।
বেলের জন্ম ভারতবর্ষে। এটি রুটাসি অর্থাৎ লেবু পরিবারের সদস্য। এর সংস্কৃত নাম বিল্ব।
No comments