আওয়ামী লীগের নেতারাও চিন্তিত
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় চিন্তিত ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এ দলের নেতাদের মতে, ইলিয়াস আলী দাগি আসামি বা সন্ত্রাসী যা-ই হন না কেন, তিনি বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এভাবে হঠাৎ নিখোঁজ হওয়া সত্যিই উদ্বেগজনক। এ ঘটনায় সরকারও বিব্রত। তাঁর সন্ধান পাওয়া জরুরি।
প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে এবং কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন নেতা এ ধরনের অভিমত ব্যক্ত করেন।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হন। তাঁর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা এখন দাবি করছেন, 'লাশ চাই।' স্ত্রীর এ বক্তব্যকেও আওয়ামী লীগ নেতারা ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন। লুনার একেক সময় একেক ধরনের কথা না বলাই ভালো বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক মন্ত্রী আবদুল জলিল। রাজধানীতে গতকাল শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে। রাজনীতিবিদদের এভাবে নিখোঁজ হওয়ার মতো ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি ব্যক্তিগতভাবে যেমনই হন, আমরা যেহেতু ক্ষমতায়, সেহেতু সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করা প্রয়োজন।'
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, 'এ ঘটনায় সরকার বিব্রত। আমরা ইলিয়াস আলীকে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে ধরে নিয়েছি। সিরিয়াসলি চেষ্টাও করছি।' ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল বলেও মনে করেন মতিয়া।
র্যাব ইলিয়াস আলীকে ধরে নিয়ে গেছে- বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়ার দাবি। এ প্রসঙ্গে মতিয়া চৌধুরী বলেন, র্যাবের কোন মহল এ কাজ করেছে তা তাঁর বলা উচিত। নিশ্চয়ই তাঁর কাছে বার্তা আছে। এ কথা বলায় খালেদা জিয়ার ওপরও দায়িত্ব বর্তায়। বিএনপির লাগাতার হরতালের হুমকি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মতিয়া বলেন, 'লাগাতার হরতালের প্রয়োজনে ইলিয়াস আলী নিখোঁজ কি না কে জানে?'
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, 'নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক। রাজনৈতিক নেতা বা বিভিন্ন পেশার যে কেউ আকস্মিকভাবে গুম হওয়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। তবে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নামে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিশেষ বাহিনীর তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা শুরু হয় জিয়াউর রহমানের আমলে।' এ ঘটনার দ্রুত তদন্ত হওয়া প্রয়োজন দাবি করে তিনি বলেন, 'যেহেতু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, সেহেতু আমি বিশ্বাস করি, ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করা হবেই।'
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'ইলিয়াস আলী দাগি আসামি বা সন্ত্রাসী যা-ই হন, তাঁকে খুঁজে বের করা প্রয়োজন। কারণ তিনি দেশের বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। সরকার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে। আশা করি, সন্ধান পাওয়া যাবে।'
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হন। তাঁর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা এখন দাবি করছেন, 'লাশ চাই।' স্ত্রীর এ বক্তব্যকেও আওয়ামী লীগ নেতারা ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন। লুনার একেক সময় একেক ধরনের কথা না বলাই ভালো বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক মন্ত্রী আবদুল জলিল। রাজধানীতে গতকাল শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে। রাজনীতিবিদদের এভাবে নিখোঁজ হওয়ার মতো ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি ব্যক্তিগতভাবে যেমনই হন, আমরা যেহেতু ক্ষমতায়, সেহেতু সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করা প্রয়োজন।'
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, 'এ ঘটনায় সরকার বিব্রত। আমরা ইলিয়াস আলীকে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে ধরে নিয়েছি। সিরিয়াসলি চেষ্টাও করছি।' ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল বলেও মনে করেন মতিয়া।
র্যাব ইলিয়াস আলীকে ধরে নিয়ে গেছে- বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়ার দাবি। এ প্রসঙ্গে মতিয়া চৌধুরী বলেন, র্যাবের কোন মহল এ কাজ করেছে তা তাঁর বলা উচিত। নিশ্চয়ই তাঁর কাছে বার্তা আছে। এ কথা বলায় খালেদা জিয়ার ওপরও দায়িত্ব বর্তায়। বিএনপির লাগাতার হরতালের হুমকি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মতিয়া বলেন, 'লাগাতার হরতালের প্রয়োজনে ইলিয়াস আলী নিখোঁজ কি না কে জানে?'
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, 'নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক। রাজনৈতিক নেতা বা বিভিন্ন পেশার যে কেউ আকস্মিকভাবে গুম হওয়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। তবে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নামে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিশেষ বাহিনীর তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা শুরু হয় জিয়াউর রহমানের আমলে।' এ ঘটনার দ্রুত তদন্ত হওয়া প্রয়োজন দাবি করে তিনি বলেন, 'যেহেতু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, সেহেতু আমি বিশ্বাস করি, ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করা হবেই।'
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'ইলিয়াস আলী দাগি আসামি বা সন্ত্রাসী যা-ই হন, তাঁকে খুঁজে বের করা প্রয়োজন। কারণ তিনি দেশের বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। সরকার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে। আশা করি, সন্ধান পাওয়া যাবে।'
No comments