দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নিন-সড়কপথের দুরবস্থা
দেশের ৯০ হাজার ২১০ কিলোমিটার সড়কপথের প্রায় ৬১ শতাংশ যথাসময়ে মেরামতের অভাবে অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে। শনিবারের প্রথম আলোর প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫৫ হাজার কিলোমিটার সড়কের অবস্থা নাজুক। বিস্ময়ের কথা, দেশের মোট সড়কপথের অর্ধেকেরও বেশি ভীষণ দুরবস্থায় পড়ে গেল, দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষগুলোর কি তা নজরে পড়ল না?
এ প্রশ্ন তোলা হচ্ছে এ জন্য যে, সড়ক ভেঙেচুরে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়া, খানাখন্দগুলো বড় ও গভীর হয়ে গর্তে পরিণত হওয়া বা সড়কের কোনো অংশ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়া স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘটে না, দীর্ঘ সময় ধরে ঘটে। সময়মতো মেরামত করা হলে এ দুরবস্থার সৃষ্টি হতো না। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এ বছরের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তিন হাজার কিলোমিটার সড়ক ব্যবহারের পুরোপুরি অযোগ্য হয়ে পড়েছে, এগুলো নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। আর ৫৩ হাজার কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দ আছে, কিছু কিছু স্থানে রয়েছে গভীর গর্ত। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের অধীনে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা ‘অত্যধিক খারাপ’।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রতিবছর বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করে সড়ক যোগাযোগের অবস্থা তুলে ধরে। সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ প্রতিবেদনে চিহ্নিত সড়কগুলোর সংস্কার-মেরামতের প্রয়োজন হলে তা এতে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সংস্কারের জন্য যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, তা বরাদ্দ করা হয় না। এভাবে বছরের পর বছর সড়কগুলো সংস্কারহীনভাবে ব্যবহূত হতে হতে এমন খারাপ অবস্থা হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে, যানবাহনের যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে, যাতায়াতের সময় বাড়ছে, সামগ্রিকভাবে জনজীবনে ও অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
সরকারের উচিত বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমলে নেওয়া। সড়কগুলো সংস্কার, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নতুন করে নির্মাণের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন হবে—এটা সত্য, কিন্তু বিলম্ব হলে আরও বেশি অর্থের প্রয়োজন হবে—এটাও সত্য। তাই অত্যধিক খারাপ সড়কের দৈর্ঘ্য আরও বেড়ে যাওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে সড়ক সংস্কারের উদ্যোগে তৎপর হওয়া উচিত।
সড়ক সংস্কারের ক্ষেত্রে আরও যে বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ রাখা প্রয়োজন তা হচ্ছে, মেরামত বা নির্মাণকাজের গুণগত মান নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। নিম্নমানের কাজের কারণে সড়কগুলো অল্প সময়ের মধ্যেই ভেঙেচুরে যায়, খানাখন্দ ও গর্ত সৃষ্টি হয়। এটা অবশ্যই রোধ করতে হবে। নইলে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে সড়ক নির্মাণ ও মেরামত করা হলেও পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে না। কঠোর নজরদারির মাধ্যমে নির্মাণকাজের গুণগত মান নিশ্চিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সড়কের ব্যাপক সংস্কার শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হোক।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রতিবছর বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করে সড়ক যোগাযোগের অবস্থা তুলে ধরে। সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ প্রতিবেদনে চিহ্নিত সড়কগুলোর সংস্কার-মেরামতের প্রয়োজন হলে তা এতে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সংস্কারের জন্য যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, তা বরাদ্দ করা হয় না। এভাবে বছরের পর বছর সড়কগুলো সংস্কারহীনভাবে ব্যবহূত হতে হতে এমন খারাপ অবস্থা হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে, যানবাহনের যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে, যাতায়াতের সময় বাড়ছে, সামগ্রিকভাবে জনজীবনে ও অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
সরকারের উচিত বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমলে নেওয়া। সড়কগুলো সংস্কার, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নতুন করে নির্মাণের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন হবে—এটা সত্য, কিন্তু বিলম্ব হলে আরও বেশি অর্থের প্রয়োজন হবে—এটাও সত্য। তাই অত্যধিক খারাপ সড়কের দৈর্ঘ্য আরও বেড়ে যাওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে সড়ক সংস্কারের উদ্যোগে তৎপর হওয়া উচিত।
সড়ক সংস্কারের ক্ষেত্রে আরও যে বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ রাখা প্রয়োজন তা হচ্ছে, মেরামত বা নির্মাণকাজের গুণগত মান নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। নিম্নমানের কাজের কারণে সড়কগুলো অল্প সময়ের মধ্যেই ভেঙেচুরে যায়, খানাখন্দ ও গর্ত সৃষ্টি হয়। এটা অবশ্যই রোধ করতে হবে। নইলে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে সড়ক নির্মাণ ও মেরামত করা হলেও পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে না। কঠোর নজরদারির মাধ্যমে নির্মাণকাজের গুণগত মান নিশ্চিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সড়কের ব্যাপক সংস্কার শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হোক।
No comments