শ্রেণীকক্ষে মুঠোফোন আর নয়
মোবাইল ফোন এখন আর বিলাসিতা নয়, নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্র। কিন্তু এই যন্ত্রের যন্ত্রণাও কম নয়। অনেক সময় বিরক্তির উদ্রেক করে এই মোবাইল ফোন। সব ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করাও ঠিক নয়। বিশেষ কিছু জায়গায় মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। তেমনই একটি জায়গা শ্রেণীকক্ষ।
শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিষেধ। কিন্তু শিক্ষকরা এই নিয়ম কতটা মেনে চলছেন, সেটাই দেখার বিষয়। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের জাতীয় পর্যায়ের সংগঠন চাইল্ড পার্লামেন্ট সারা দেশে শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে। সেই জরিপে দেখা গেছে, ২০১০ সালে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের হার ছিল ৭৪ শতাংশ। এ বছর সেই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ শতাংশে।
শ্রেণীকক্ষ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক_সবার জন্যই গভীর মনোনিবেশের জায়গা। সেখানে পাঠ গ্রহণের সময় শিক্ষার্থীদের যেমন একাগ্র হতে হয়, তেমনি শিক্ষকদেরও একাগ্রচিত্তে পাঠদান করতে হয়। এখানে পাঠগ্রহণ ও পাঠদানের সময় যে গভীর মনোনিবেশের প্রয়োজন হয়, মোবাইল ফোন সেই একাগ্রতা বা মনোনিবেশে বাধার সৃষ্টি করে। শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণীকক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহারে বিধিনিষেধ থাকলেও শিক্ষকরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। অনেক ক্ষেত্রে পাঠদান বন্ধ রেখে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। চাইল্ড পার্লামেন্টের সদস্যরা এ বিষয়টি গত বছর শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টিতে আনলে শিক্ষামন্ত্রী শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু জরিপের ফল থেকে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রীর সে আহ্বানে সাড়া দেননি। চাইল্ড পার্লামেন্টের গত রবিবারের অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে। শিক্ষামন্ত্রীর এ ঘোষণাকে স্বাগত জানাতেই হয়। শ্রেণীকক্ষের সুষ্ঠু পাঠোপযোগী পরিবেশের জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। রবিবার চাইল্ড পার্লামেন্টের অধিবেশনে শুধু শ্রেণীকক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়টিই একমাত্র আলোচিত বিষয় ছিল না; শিশু শিক্ষার্থীদের আলোচনায় উঠে এসেছে শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানো, কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম, অতিরিক্ত পরীক্ষা ফি আদায়, স্কুল ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো, গাইড বই ব্যবহারের প্রবণতা ইত্যাদি। এ সমস্যাগুলোও আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সমস্যা। যেকোনো কারণেই হোক, শিক্ষকদের মধ্যে প্রাইভেট পড়ানোর প্রবণতা আছে। আবার নানা কারণেই অভিভাবকরা শিক্ষকদের দ্বারস্থ হন। শিক্ষকদের এই প্রাইভেট পড়ানোর প্রবণতা শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের ক্ষেত্রে একটি প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে_এমন সন্দেহের ঊধর্ে্ব থাকা যায় না। অন্যদিকে অভিভাবকরা অনেক ক্ষেত্রেই মনে করেন, পরীক্ষায় ভালো ফল পেতে ও শিক্ষকের সহানুভূতি পেতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ানোর বিকল্প নেই। পাশাপাশি রয়েছে কোচিং ব্যবসার বিস্তৃতি ও গাইড বই ব্যবহার। এ প্রবণতা দূর করা না গেলে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশ লাভ করবে না। চাইল্ড পার্লামেন্টের শিশু শিক্ষার্থীদের জরিপ থেকে উঠে আসা তথ্য ও তাদের প্রস্তাব বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করা আমাদের দায়িত্ব। সুখের কথা, বর্তমান সরকার শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো বই পেঁৗছে দিতে সফল হয়েছে। আরেকটু আন্তরিক হলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
শ্রেণীকক্ষ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক_সবার জন্যই গভীর মনোনিবেশের জায়গা। সেখানে পাঠ গ্রহণের সময় শিক্ষার্থীদের যেমন একাগ্র হতে হয়, তেমনি শিক্ষকদেরও একাগ্রচিত্তে পাঠদান করতে হয়। এখানে পাঠগ্রহণ ও পাঠদানের সময় যে গভীর মনোনিবেশের প্রয়োজন হয়, মোবাইল ফোন সেই একাগ্রতা বা মনোনিবেশে বাধার সৃষ্টি করে। শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণীকক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহারে বিধিনিষেধ থাকলেও শিক্ষকরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। অনেক ক্ষেত্রে পাঠদান বন্ধ রেখে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। চাইল্ড পার্লামেন্টের সদস্যরা এ বিষয়টি গত বছর শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টিতে আনলে শিক্ষামন্ত্রী শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু জরিপের ফল থেকে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রীর সে আহ্বানে সাড়া দেননি। চাইল্ড পার্লামেন্টের গত রবিবারের অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে। শিক্ষামন্ত্রীর এ ঘোষণাকে স্বাগত জানাতেই হয়। শ্রেণীকক্ষের সুষ্ঠু পাঠোপযোগী পরিবেশের জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। রবিবার চাইল্ড পার্লামেন্টের অধিবেশনে শুধু শ্রেণীকক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়টিই একমাত্র আলোচিত বিষয় ছিল না; শিশু শিক্ষার্থীদের আলোচনায় উঠে এসেছে শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানো, কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম, অতিরিক্ত পরীক্ষা ফি আদায়, স্কুল ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো, গাইড বই ব্যবহারের প্রবণতা ইত্যাদি। এ সমস্যাগুলোও আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সমস্যা। যেকোনো কারণেই হোক, শিক্ষকদের মধ্যে প্রাইভেট পড়ানোর প্রবণতা আছে। আবার নানা কারণেই অভিভাবকরা শিক্ষকদের দ্বারস্থ হন। শিক্ষকদের এই প্রাইভেট পড়ানোর প্রবণতা শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের ক্ষেত্রে একটি প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে_এমন সন্দেহের ঊধর্ে্ব থাকা যায় না। অন্যদিকে অভিভাবকরা অনেক ক্ষেত্রেই মনে করেন, পরীক্ষায় ভালো ফল পেতে ও শিক্ষকের সহানুভূতি পেতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ানোর বিকল্প নেই। পাশাপাশি রয়েছে কোচিং ব্যবসার বিস্তৃতি ও গাইড বই ব্যবহার। এ প্রবণতা দূর করা না গেলে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশ লাভ করবে না। চাইল্ড পার্লামেন্টের শিশু শিক্ষার্থীদের জরিপ থেকে উঠে আসা তথ্য ও তাদের প্রস্তাব বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করা আমাদের দায়িত্ব। সুখের কথা, বর্তমান সরকার শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো বই পেঁৗছে দিতে সফল হয়েছে। আরেকটু আন্তরিক হলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
No comments