সাবেক সচিব শোয়েবের সাক্ষ্য-নিজামী বললেন, হাইয়েস্ট অথরিটি অবগত আছেন
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় চারদলীয় জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীকে জড়িয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তৎকালীন শিল্পসচিব শোয়েব আহমেদ। এ ঘটনায় চোরাচালান আইনে করা মামলায় গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমানের আদালতে সাক্ষ্য দেন শোয়েব আহমেদ।
সাবেক শিল্পসচিব আদালতে বলেন, ‘১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনা শুনে আমি শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীর কাছে করণীয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি আমাকে বললেন, “হাইয়েস্ট অথরিটি (সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ) এ ব্যাপারে অবগত আছেন।” প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গেও তিনি (নিজামী) কথা বলেছেন বলে আমাকে জানান। তাই আমাদের আলাদাভাবে কিছু করার দরকার নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন। মন্ত্রীর কাছে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলাপের কথা শুনে আমি আর এ বিষয়ে কোনো বিতর্কে যাইনি।’
ঘটনার সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব (পরে সচিব) নুরুল আমিনের রহস্যজনক ভূমিকার কথা তুলে ধরে শোয়েব আহমেদ বলেন, শিল্পমন্ত্রী নিজামী ও শিল্পসচিব নুরুল আমিন ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তৎপর ছিলেন বলে আমার সন্দেহ হয়।’
সাক্ষ্যদান শেষে নিজামীসহ তিন আসামির কৌঁসুলি শোয়েব আহমেদকে জেরা করেন। বিচারক আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আদালত মুলতবি ঘোষণা করেন।
শোয়েব আহমেদ এর আগে অস্ত্র মামলায় সাক্ষ্য দেন।
গতকাল সাক্ষ্য গ্রহণকালে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ গ্রেপ্তার করা ১০ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। সিইউএফএলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এনামুল হক অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে আদালতে হাজির করা যায়নি।
সাক্ষীকে হুমকি: সাক্ষ্য দেওয়ার একপর্যায়ে শোয়েব আহমেদ আদালতকে বলেন, তাঁকে দুটি চিঠি পাঠিয়ে ও একাধিকবার ফোন করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা হুমকি দিচ্ছে। তিনি আদালতের কাছে নিরাপত্তা চান। আদালত তাঁকে নিরাপত্তা দিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনারদের নির্দেশ দেন।
সাবেক সচিব শোয়েব আহমেদ পরে প্রথম আলোকে বলেন, হুমকি পেয়ে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল চট্টগ্রামের ইউরিয়া সার কারখানার (সিইউএফএল) জেটিঘাট থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক হয়। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার জন্য অস্ত্রগুলো আনা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের পর গত বছরের ২৬ জুন সিআইডি এ-সংক্রান্ত দুটি মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়। গত ২৯ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলা দুটির বিচারকাজ শুরু হয়।
ঘটনার সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব (পরে সচিব) নুরুল আমিনের রহস্যজনক ভূমিকার কথা তুলে ধরে শোয়েব আহমেদ বলেন, শিল্পমন্ত্রী নিজামী ও শিল্পসচিব নুরুল আমিন ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তৎপর ছিলেন বলে আমার সন্দেহ হয়।’
সাক্ষ্যদান শেষে নিজামীসহ তিন আসামির কৌঁসুলি শোয়েব আহমেদকে জেরা করেন। বিচারক আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আদালত মুলতবি ঘোষণা করেন।
শোয়েব আহমেদ এর আগে অস্ত্র মামলায় সাক্ষ্য দেন।
গতকাল সাক্ষ্য গ্রহণকালে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ গ্রেপ্তার করা ১০ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। সিইউএফএলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এনামুল হক অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে আদালতে হাজির করা যায়নি।
সাক্ষীকে হুমকি: সাক্ষ্য দেওয়ার একপর্যায়ে শোয়েব আহমেদ আদালতকে বলেন, তাঁকে দুটি চিঠি পাঠিয়ে ও একাধিকবার ফোন করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা হুমকি দিচ্ছে। তিনি আদালতের কাছে নিরাপত্তা চান। আদালত তাঁকে নিরাপত্তা দিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনারদের নির্দেশ দেন।
সাবেক সচিব শোয়েব আহমেদ পরে প্রথম আলোকে বলেন, হুমকি পেয়ে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল চট্টগ্রামের ইউরিয়া সার কারখানার (সিইউএফএল) জেটিঘাট থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক হয়। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার জন্য অস্ত্রগুলো আনা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের পর গত বছরের ২৬ জুন সিআইডি এ-সংক্রান্ত দুটি মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়। গত ২৯ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলা দুটির বিচারকাজ শুরু হয়।
No comments