লাল-সবুজের পাশে-গাছে কাঁঠাল, মুখে টাইল্স by আনিসুল হক
লাইবেরিয়া সীমান্তের কাছে দানানে। এখানে একটা বৃক্ষনীড় আছে। দুটো বিশাল গাছ পাশাপাশি। তাতে পাটাতন বেঁধে একটা শখের ঘর বানিয়েছেন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা। এটাকে বলা হয় ব্যানব্যাট-৩। এর খুব কাছে ‘ইতি’ সোনার খনি। ১৫ দিনে ১০০ কেজি অশোধিত সোনার বার উৎপাদিত হয় এখানে। একেকটা বারের আকার হয় ইটের সমান। হাতে ধরে তোলাও কঠিন।
সুইজারল্যান্ড থেকে হেলিকপ্টার আসে। সেই সোনা সোজা সুইজারল্যান্ডে চলে যায়। মাটি খুঁড়েই তোলা হয় আকর। কাঁচা সোনা গলানো হয় এক হাজার ডিগ্রি তাপে। তারপর আকার পায় সোনা। এই গল্প করেন লে. কর্নেল গোলাম রসুল। মানে পাঁচ শয্যার হাসপাতালে কর্মরত তিনি।
আইভরি কোস্ট সেই সোনার ৫ কি ১০ ভাগ পেয়ে থাকে। বাকি পুরোটাই চলে যায় ইউরোপে। ফ্রান্সের বার্ষিক বাজেটের অনেকটাই নাকি যায় আইভরি কোস্ট থেকে!
৩০ জানুয়ারি মান থেকে আমরা চলে আসি বোয়াফ্লে নামের বাংলাদেশ ক্যাম্পে। দুপুরের খাবার খেতে খেতে ক্যাপ্টেন রহমতের কাছে শোনা হয় তাঁদের নানা অভিযানের গল্প। সেখান থেকে আমরা চলে এসেছি জেনুলা।
জেনুলা বাংলাদেশি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর (ব্যানব্যাট-১)। কর্নেল সুলতানুজ্জামানের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার। সাড়ে ৭০০ শান্তিরক্ষী থাকেন এখানে। অনেক বড় জায়গা নিয়ে এই শিবির। গাছপালায় ঢাকা। বিকেলে এসে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে পাকা কাঁঠাল খেয়ে আপ্যায়িত হতে হলো। ‘স্যার দেখেছেন, গাছে কত কাঁঠাল!’ ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ সেলিম রসিকতা করে বললেন, ‘এ জন্য তোমাদের গোঁফে গোঁফে তেল।’
ছোটবেলায়, যখন হামাগুড়ি দিতে কেবল শিখেছি, গ্রামের বাড়িতে একদিন আমি নাকি হারিয়ে গিয়েছিলাম। খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল একটা চৌকির নিচে; সেখানে বসে পাকা কাঁঠাল ভেঙে খাচ্ছিলাম। এই গল্প বলে বড় ভাইবোনেরা যে আমাকে কত খেপিয়েছে! দেশে আজকাল আর কাঁঠাল খাওয়াই হয় না। আইভরি কোস্টে এসে কাঁঠাল খেতে হচ্ছে।
এই কাঁঠাল কিন্তু গত মার্চ-এপ্রিলের গৃহযুদ্ধের সময় আমাদের সৈনিকদের বড় উপকার করেছিল। বাগবো-সমর্থক সেনারা জাতিসংঘ বাহিনীকে খাদ্য সরবরাহকারী লরিতে হামলা করে। ফলে শিবিরে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। প্যাকেট করা শুকনো খাবার ছিল একমাত্র সম্বল। সেই খাবার সৈন্যদের মুখে জুটতে চাইত না। বিস্কুটের নাম তাঁরা দিয়েছেন ‘টাইলস’। খাবারের প্যাকেটের নাম ‘জুতার বাক্স’। তখন গাছের যত কাঁঠাল, যত এঁচোড়—সব খেয়েছেন বাঙালি সৈনিকেরা। ২৪ দিন এভাবে কেটেছে তাঁদের।
জেনুলা শিবিরে বিকেলবেলা বসি সৈনিকদের সঙ্গে গল্পগুজব করতে। মাথার ওপরে আম-কাঁঠাল গাছ তো আছেই, হয়তো নিমগাছও দেখা যাচ্ছে। আমার সঙ্গে আছেন লে. ক. তৌফিক আর মেজর মাসুদ।
সৈনিকেরা তাঁদের অভিজ্ঞতা শোনাচ্ছেন। ল্যান্স করপোরাল সুভাষ শোনালেন যুদ্ধকালে আবিদজানের গল্প। তিনি এপিসি (আর্মার্ড পারসোনেল ক্যারিয়ার) চালাচ্ছিলেন। বাগবোর সৈন্যরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছে। সব ভেঙেচুরে যাচ্ছেন তিনি। এ সময় সামনে দেখলেন লাশ দিয়ে বানানো ব্যারিকেড! সেসব ভেঙে সরিয়ে বেরিয়ে এল তাঁদের যান। দুপাশ থেকে আসছে গুলি। দাঁড়ানোর উপায় নেই। গলফ হোটেলে যখন ডাক্তার সুমন গুলিবিদ্ধ হন, তখন বাংলাদেশের মর্টার প্লাটুনের সঙ্গে ছিলেন ওয়ারেন্ট অফিসার শওকত। এই হোটেলেই ছিলেন প্রেসিডেন্ট ওয়াতারা। কীভাবে দিনরাত যুদ্ধ হয়েছে, তার বর্ণনা শোনা গেল শওকত সাহেবের মুখে। তাঁর সাক্ষাৎকার অবশ্য ওই সময়ে সিএনএন-বিবিসির মাধ্যমে সারা পৃথিবীই দেখতে পেয়েছে। ডা. সুমন গুলিবিদ্ধ হলে সৈনিক মামুন তাঁকে কাঁধে করে হাসপাতাল নিয়ে যান। সার্জেন্ট কুদ্দুস তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
দালোয়া বিমানবন্দরে এপিসি নিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা। বাগবোর বাহিনী ফ্যানসি গাড়ি নিয়ে তাঁদের পিছু নেয়। ক্যাপ্টেন তৌহিদ আপত্তি করেন, ‘তোমরা আমাদের ফলো করছ কেন? গাড়ি ঘোরাও।’ ওরাও ঘোরাবে না। দুই পক্ষের সৈন্যরা তাড়াতাড়ি অস্ত্র হাতে অবস্থান নিয়ে নিল। মেজর মাসুদ খবর পেয়ে ছুটে এলেন। দূরে গাড়ি রেখে তিনি গেলেন খালি হাতে। ওদের বললেন, ‘দেখো, তোমরাও নিয়মিত সৈন্য, আমরাও সৈন্য। আমি অফিসার, আমার কথা তোমাকে শুনতে হবে। তোমাদের গাড়ি ঘোরাও।’ এর মধ্যে সার্জেন্ট তাজুল খবর পেয়ে আরেকটা এপিসি নিয়ে ফ্যানসির পেছনে অবস্থান নিয়েছেন। দুই পাশ থেকে ঘেরাও হওয়ার পর ফ্যানসি নিজেদের সরিয়ে নিতে সম্মত হয়। রক্তপাত এড়ানো যায়। এমনই কত গল্প করেন সৈন্যরা। তাঁরা ফিরে যাচ্ছেন দেশে, ফেব্রুয়ারিতে তাঁদের এক বছরের মেয়াদ শেষ হবে। আইভরি কোস্টের ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস দিনগুলোতে মিশন করলেন তাঁরা। এটা তাঁরা জীবনেও ভুলবেন না।
এসব স্মৃতি একত্র করে একটা ভিডিওচিত্র বানিয়েছেন লে. কর্নেল তৌফিক। শিরোনাম ‘ফিরে দেখা’। শান্তিরক্ষীরা দেশে ফিরে যাবেন, সঙ্গে নিয়ে যাবেন এই স্মৃতিগুলো। মেজর আলীমুল করিম চৌধুরী যেমন দিন গুনছেন—২৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর ফেরার ফ্লাইট, সাত বছরের মেয়ে আরিয়ার জন্য চকলেট আর জামা কিনে রেখেছেন তিনি।
একদিকে যুদ্ধ, আরেকদিকে স্থানীয় মানুষকে নানাভাবে সেবা করা। ডাক্তাররা বিনা পয়সায় তাদের চিকিৎসা করেছেন। খাওয়ার পানি দেওয়া হয়েছে। খাবারও। স্থানীয় মানুষের অনেকেই বাংলা জানে। যেমন জানে টগবগে যুবক এমি। সে ডিগ্রি পাস, অনুবাদকের কাজ করে এই ব্যাটালিয়নে। তাঁকে বললাম, ‘গান শোনাও।’ সে গান ধরল, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না...’।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জাহিদুল ইসলাম এ ব্যাপারগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। বলেন, ‘যে গ্রামেই যাচ্ছি, কেউ না কেউ এসে বাংলায় কথা বলছে, সবাই হাত নেড়ে বিদায় জানায়। এই যে মানুষের সঙ্গে মানুষের সুসম্পর্ক, এটাকে রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্কে উন্নীত করতে হবে।’
এই মত আমাদের অনেকেরই। বাংলাদেশ সরকারের উচিত এসব দেশের সঙ্গে ন্যূনতম পর্যায়েও হলেও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা।
আইভরি কোস্ট সেই সোনার ৫ কি ১০ ভাগ পেয়ে থাকে। বাকি পুরোটাই চলে যায় ইউরোপে। ফ্রান্সের বার্ষিক বাজেটের অনেকটাই নাকি যায় আইভরি কোস্ট থেকে!
৩০ জানুয়ারি মান থেকে আমরা চলে আসি বোয়াফ্লে নামের বাংলাদেশ ক্যাম্পে। দুপুরের খাবার খেতে খেতে ক্যাপ্টেন রহমতের কাছে শোনা হয় তাঁদের নানা অভিযানের গল্প। সেখান থেকে আমরা চলে এসেছি জেনুলা।
জেনুলা বাংলাদেশি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর (ব্যানব্যাট-১)। কর্নেল সুলতানুজ্জামানের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার। সাড়ে ৭০০ শান্তিরক্ষী থাকেন এখানে। অনেক বড় জায়গা নিয়ে এই শিবির। গাছপালায় ঢাকা। বিকেলে এসে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে পাকা কাঁঠাল খেয়ে আপ্যায়িত হতে হলো। ‘স্যার দেখেছেন, গাছে কত কাঁঠাল!’ ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ সেলিম রসিকতা করে বললেন, ‘এ জন্য তোমাদের গোঁফে গোঁফে তেল।’
ছোটবেলায়, যখন হামাগুড়ি দিতে কেবল শিখেছি, গ্রামের বাড়িতে একদিন আমি নাকি হারিয়ে গিয়েছিলাম। খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল একটা চৌকির নিচে; সেখানে বসে পাকা কাঁঠাল ভেঙে খাচ্ছিলাম। এই গল্প বলে বড় ভাইবোনেরা যে আমাকে কত খেপিয়েছে! দেশে আজকাল আর কাঁঠাল খাওয়াই হয় না। আইভরি কোস্টে এসে কাঁঠাল খেতে হচ্ছে।
এই কাঁঠাল কিন্তু গত মার্চ-এপ্রিলের গৃহযুদ্ধের সময় আমাদের সৈনিকদের বড় উপকার করেছিল। বাগবো-সমর্থক সেনারা জাতিসংঘ বাহিনীকে খাদ্য সরবরাহকারী লরিতে হামলা করে। ফলে শিবিরে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। প্যাকেট করা শুকনো খাবার ছিল একমাত্র সম্বল। সেই খাবার সৈন্যদের মুখে জুটতে চাইত না। বিস্কুটের নাম তাঁরা দিয়েছেন ‘টাইলস’। খাবারের প্যাকেটের নাম ‘জুতার বাক্স’। তখন গাছের যত কাঁঠাল, যত এঁচোড়—সব খেয়েছেন বাঙালি সৈনিকেরা। ২৪ দিন এভাবে কেটেছে তাঁদের।
জেনুলা শিবিরে বিকেলবেলা বসি সৈনিকদের সঙ্গে গল্পগুজব করতে। মাথার ওপরে আম-কাঁঠাল গাছ তো আছেই, হয়তো নিমগাছও দেখা যাচ্ছে। আমার সঙ্গে আছেন লে. ক. তৌফিক আর মেজর মাসুদ।
সৈনিকেরা তাঁদের অভিজ্ঞতা শোনাচ্ছেন। ল্যান্স করপোরাল সুভাষ শোনালেন যুদ্ধকালে আবিদজানের গল্প। তিনি এপিসি (আর্মার্ড পারসোনেল ক্যারিয়ার) চালাচ্ছিলেন। বাগবোর সৈন্যরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছে। সব ভেঙেচুরে যাচ্ছেন তিনি। এ সময় সামনে দেখলেন লাশ দিয়ে বানানো ব্যারিকেড! সেসব ভেঙে সরিয়ে বেরিয়ে এল তাঁদের যান। দুপাশ থেকে আসছে গুলি। দাঁড়ানোর উপায় নেই। গলফ হোটেলে যখন ডাক্তার সুমন গুলিবিদ্ধ হন, তখন বাংলাদেশের মর্টার প্লাটুনের সঙ্গে ছিলেন ওয়ারেন্ট অফিসার শওকত। এই হোটেলেই ছিলেন প্রেসিডেন্ট ওয়াতারা। কীভাবে দিনরাত যুদ্ধ হয়েছে, তার বর্ণনা শোনা গেল শওকত সাহেবের মুখে। তাঁর সাক্ষাৎকার অবশ্য ওই সময়ে সিএনএন-বিবিসির মাধ্যমে সারা পৃথিবীই দেখতে পেয়েছে। ডা. সুমন গুলিবিদ্ধ হলে সৈনিক মামুন তাঁকে কাঁধে করে হাসপাতাল নিয়ে যান। সার্জেন্ট কুদ্দুস তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
দালোয়া বিমানবন্দরে এপিসি নিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা। বাগবোর বাহিনী ফ্যানসি গাড়ি নিয়ে তাঁদের পিছু নেয়। ক্যাপ্টেন তৌহিদ আপত্তি করেন, ‘তোমরা আমাদের ফলো করছ কেন? গাড়ি ঘোরাও।’ ওরাও ঘোরাবে না। দুই পক্ষের সৈন্যরা তাড়াতাড়ি অস্ত্র হাতে অবস্থান নিয়ে নিল। মেজর মাসুদ খবর পেয়ে ছুটে এলেন। দূরে গাড়ি রেখে তিনি গেলেন খালি হাতে। ওদের বললেন, ‘দেখো, তোমরাও নিয়মিত সৈন্য, আমরাও সৈন্য। আমি অফিসার, আমার কথা তোমাকে শুনতে হবে। তোমাদের গাড়ি ঘোরাও।’ এর মধ্যে সার্জেন্ট তাজুল খবর পেয়ে আরেকটা এপিসি নিয়ে ফ্যানসির পেছনে অবস্থান নিয়েছেন। দুই পাশ থেকে ঘেরাও হওয়ার পর ফ্যানসি নিজেদের সরিয়ে নিতে সম্মত হয়। রক্তপাত এড়ানো যায়। এমনই কত গল্প করেন সৈন্যরা। তাঁরা ফিরে যাচ্ছেন দেশে, ফেব্রুয়ারিতে তাঁদের এক বছরের মেয়াদ শেষ হবে। আইভরি কোস্টের ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস দিনগুলোতে মিশন করলেন তাঁরা। এটা তাঁরা জীবনেও ভুলবেন না।
এসব স্মৃতি একত্র করে একটা ভিডিওচিত্র বানিয়েছেন লে. কর্নেল তৌফিক। শিরোনাম ‘ফিরে দেখা’। শান্তিরক্ষীরা দেশে ফিরে যাবেন, সঙ্গে নিয়ে যাবেন এই স্মৃতিগুলো। মেজর আলীমুল করিম চৌধুরী যেমন দিন গুনছেন—২৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর ফেরার ফ্লাইট, সাত বছরের মেয়ে আরিয়ার জন্য চকলেট আর জামা কিনে রেখেছেন তিনি।
একদিকে যুদ্ধ, আরেকদিকে স্থানীয় মানুষকে নানাভাবে সেবা করা। ডাক্তাররা বিনা পয়সায় তাদের চিকিৎসা করেছেন। খাওয়ার পানি দেওয়া হয়েছে। খাবারও। স্থানীয় মানুষের অনেকেই বাংলা জানে। যেমন জানে টগবগে যুবক এমি। সে ডিগ্রি পাস, অনুবাদকের কাজ করে এই ব্যাটালিয়নে। তাঁকে বললাম, ‘গান শোনাও।’ সে গান ধরল, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না...’।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জাহিদুল ইসলাম এ ব্যাপারগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। বলেন, ‘যে গ্রামেই যাচ্ছি, কেউ না কেউ এসে বাংলায় কথা বলছে, সবাই হাত নেড়ে বিদায় জানায়। এই যে মানুষের সঙ্গে মানুষের সুসম্পর্ক, এটাকে রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্কে উন্নীত করতে হবে।’
এই মত আমাদের অনেকেরই। বাংলাদেশ সরকারের উচিত এসব দেশের সঙ্গে ন্যূনতম পর্যায়েও হলেও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা।
No comments