বৌদ্ধ ধর্মগুরু বনভান্তে আর নেই
দেশের বৌদ্ধসম্প্রদায়ের অন্যতম শীর্ষ ধর্মীয় গুরু শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবিরের (বনভান্তে) মহাপ্রয়াণ হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল চারটায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চাকমা সার্কেলের রাজা দেবাশীষ রায় প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, গত ৮ জানুয়ারি ৯৩তম জন্মদিন উদ্যাপন করা বনভান্তে বার্ধক্যজনিত রোগ ছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ, ঠান্ডাজনিত ও ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে পরদিন শুক্রবার সকালে তাঁকে রাঙামাটি থেকে হেলিকপ্টারযোগে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। গতকাল সেখানেই তাঁর মহাপ্রয়াণ ঘটে।
রাঙামাটির রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি গৌতম দেওয়ান প্রথম আলোকে জানান, আজ মঙ্গলবার সকাল আটটায় রাজধানীর কলাবাগান মাঠে বনভান্তের মরদেহ রাখা হবে। সেখানে তাঁর পারলৌকিক সদ্গতি কামনা করে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা হবে। সকাল ১০টায় মরদেহ নিয়ে সড়কপথে রাঙামাটির উদ্দেশে রওনা করা হবে। সেখানে বনভান্তের নিজস্ব ভবনে মরদেহ সংরক্ষণ করা হবে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা অর্পণের জন্য পরে বনভান্তের মরদেহ নেওয়া হবে রাজবন বিহারের মাঠে।
বনভান্তের প্রয়াণের খবরে সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণ শোকাতুর হয়ে পড়েন। তাঁরা দৈনন্দিন কাজ বন্ধ করে প্রার্থনায় মনোনিবেশ করেন। সন্ধ্যায় কয়েক হাজার পুণ্যার্থী রাজবন বিহারে জড়ো হন। তাঁরা সেখানে বনভান্তের পারলৌকিক সদ্গতি কামনায় প্রার্থনা করেন।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই ধর্মগুরু ১৯২০ সালের ২০ জানুয়ারি রাঙামাটি সদর উপজেলার মগবান ইউনিয়নের মোড়ঘোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পারিবারিক নাম ছিল রথীন্দ্র চাকমা। বাবার নাম হারুমোহন চাকমা। মায়ের নাম বীরপুদি চাকমা।
চট্টগ্রামের নন্দনকানন বৌদ্ধবিহারে ১৯৪৯ সালে রথীন্দ্র চাকমা বৌদ্ধ সাধকের প্রব্রজ্যা গ্রহণ করে ‘শ্রীমৎ সাধনানন্দ ভিক্ষু’ নাম ধারণ করেন। পরে তিনি রাঙামাটির ধনপাতার গভীর বনে দীর্ঘকাল লোকোত্তর সাধনায় নিয়োজিত ছিলেন। সাধনানন্দ ভিক্ষু বৌদ্ধ ধর্মের দর্শন ও বাণী অনর্গলভাবে স্থানীয় ভাষায় সহজে উপস্থাপনসহ হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-মোহ, হানাহানির কুফল এবং ত্যাগ, ক্ষমা ও সম্প্রীতির মহিমা প্রচারের কারণে ‘বনভান্তে’ নামে খ্যাতি লাভ করেন।
বনভান্তে ১৯৭৬ সালে রাঙামাটির রাজবন বিহারে আসেন। তখন থেকে তাঁর বাণী পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশ ও বিশ্বের বৌদ্ধসম্প্রদায়ের কাছে সমাদৃত।
বনভান্তের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া, জনসংহতি সমিতি, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদসহ বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
রাঙামাটির রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি গৌতম দেওয়ান প্রথম আলোকে জানান, আজ মঙ্গলবার সকাল আটটায় রাজধানীর কলাবাগান মাঠে বনভান্তের মরদেহ রাখা হবে। সেখানে তাঁর পারলৌকিক সদ্গতি কামনা করে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা হবে। সকাল ১০টায় মরদেহ নিয়ে সড়কপথে রাঙামাটির উদ্দেশে রওনা করা হবে। সেখানে বনভান্তের নিজস্ব ভবনে মরদেহ সংরক্ষণ করা হবে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা অর্পণের জন্য পরে বনভান্তের মরদেহ নেওয়া হবে রাজবন বিহারের মাঠে।
বনভান্তের প্রয়াণের খবরে সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণ শোকাতুর হয়ে পড়েন। তাঁরা দৈনন্দিন কাজ বন্ধ করে প্রার্থনায় মনোনিবেশ করেন। সন্ধ্যায় কয়েক হাজার পুণ্যার্থী রাজবন বিহারে জড়ো হন। তাঁরা সেখানে বনভান্তের পারলৌকিক সদ্গতি কামনায় প্রার্থনা করেন।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই ধর্মগুরু ১৯২০ সালের ২০ জানুয়ারি রাঙামাটি সদর উপজেলার মগবান ইউনিয়নের মোড়ঘোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পারিবারিক নাম ছিল রথীন্দ্র চাকমা। বাবার নাম হারুমোহন চাকমা। মায়ের নাম বীরপুদি চাকমা।
চট্টগ্রামের নন্দনকানন বৌদ্ধবিহারে ১৯৪৯ সালে রথীন্দ্র চাকমা বৌদ্ধ সাধকের প্রব্রজ্যা গ্রহণ করে ‘শ্রীমৎ সাধনানন্দ ভিক্ষু’ নাম ধারণ করেন। পরে তিনি রাঙামাটির ধনপাতার গভীর বনে দীর্ঘকাল লোকোত্তর সাধনায় নিয়োজিত ছিলেন। সাধনানন্দ ভিক্ষু বৌদ্ধ ধর্মের দর্শন ও বাণী অনর্গলভাবে স্থানীয় ভাষায় সহজে উপস্থাপনসহ হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-মোহ, হানাহানির কুফল এবং ত্যাগ, ক্ষমা ও সম্প্রীতির মহিমা প্রচারের কারণে ‘বনভান্তে’ নামে খ্যাতি লাভ করেন।
বনভান্তে ১৯৭৬ সালে রাঙামাটির রাজবন বিহারে আসেন। তখন থেকে তাঁর বাণী পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশ ও বিশ্বের বৌদ্ধসম্প্রদায়ের কাছে সমাদৃত।
বনভান্তের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া, জনসংহতি সমিতি, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদসহ বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
No comments