বাংলাদেশকে কী সংকটেই না ফেলল পাকিস্তান!-ম্যাচ শুরু দেড়টায়। দেখাবে বাংলাদেশ টেলিভিশন by মাসুদ পারভেজ
পাকিস্তানের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে বোধহয় বাংলাদেশের সংকটকালও শুরু হয়ে গেছে!তাও আবার একমুখী সংকট হলে কথা ছিল। এ যে রীতিমতো উভয় সংকট। এর আগে কত দলই তো এখানে এসেছে এবং খেলেও গেছে। আর স্পিনাররাই যেহেতু বাংলাদেশের মূল শক্তি, তাই প্রতিবারই স্পিন ফাঁদ পেতে রাখাতে সাফল্যের সূত্র খুঁজে এসেছে টাইগাররা। এবারও সেভাবেই খুঁজতে যাওয়ার বিপদসংকেত কিন্তু বাজিয়ে দিয়েছে গত পরশুর একমাত্র টি-টোয়েন্টি
ম্যাচ। পরের জন্য গর্ত খুঁড়ে সেই গর্তে উল্টো নিজেদের পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাকেই যে উসকে দিচ্ছে পাকিস্তানের বৈচিত্র্যময় স্পিন অ্যাটাক!
এ শিক্ষা বাংলাদেশের ওয়ানডে এবং টেস্ট ভাবনায় পরিবর্তন এনে থাকলেও সুস্থির হওয়ার উপায় নেই। কারণ পাকিস্তানের পেস অ্যাটাকও তো কম সমীহ জাগানো নয়। আবার ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটে খেললেও চিন্তামুক্ত হওয়া কঠিন। কারণ সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সফল হবেনই, এমন নিশ্চয়তাও দেওয়া যায় না তাঁদের অতীত বিবেচনায়। অন্যদিকে পাকিস্তান যেন সাফল্যের জন্য দারুণ এক প্যাকেজ নিয়েই এসেছে। বাংলাদেশ দলের হেড কোচ স্টুয়ার্ট ল'ও তাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ এক দলের মর্যাদা দিতে কুণ্ঠা করছেন না, 'দুর্দান্ত সব স্পিনার আর দারুণ পেস বোলারদের সঙ্গে ওদের দলে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানেরও অভাব নেই।'
যেজন্য ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে জেতার আশা ছেড়ে না দিয়েও তাঁকে বলতে হচ্ছে, 'এ দলের বিপক্ষে ফল বের করাটা বড্ড কঠিন।' সেটা বাংলাদেশ যে উইকেটেই খেলুক না কেন। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের উইকেটে টার্নের সঙ্গে বাউন্সও থাকার সুফলটা পাকিস্তানি স্পিনাররাই ভোগ করেছেন বেশি। যদিও দর্শক বিনোদনের কথা ভেবে ম্যাচটা ব্যাটিং উইকেটে হলেই ভালো হতো বলে মত দিয়েছিলেন অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। তবে প্রথম ওয়ানডের জন্য মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের ছয় নম্বর উইকেট বেছে নেওয়া মান বাঁচানোর চিন্তা থেকে। এ উইকেটেই ২০১১ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৭০ রান করেছিল ভারত। জবাবে ২৮৩ করে ৮৭ রানের হার সম্মানজনক আখ্যাই পেয়েছিল!
সেরকম কিছুর জন্য খেললে আবার বাংলাদেশের স্পিনারদের করার কিছুই থাকে না। স্পিনারদের জন্য উইকেট বেছে নিতে গেলেও পাকিস্তানের চতুর্মুখী স্পিন আক্রমণের ভয়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশকে এমন ধাঁধার মধ্যে আর কেউ ফেলেছে বলে মনে হয় না। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের স্পিনিং উইকেটে যেমন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভোগান্তিই বেশি দেখেছেন ইউনিস খান, 'আমাদের দারুণ সব স্পিনার আছে। গত রাতেই (পরশু) তো দেখা গেছে বাংলাদেশ স্পিনে আমাদের চেয়ে বেশি ভুগেছে।' এ অভিজ্ঞতায় স্বাগতিকরা ভিন্ন চিন্তায় এগোলেও পাকিস্তানের তাতে কিছু এসে যায় না বলে কাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দিয়েছেন এ সাবেক অধিনায়ক, 'পেস বোলারদের জন্য সহায়তা থাকলেও আমাদের সমস্যা নেই। উইকেট যেমনই হোক না কেন, আমাদের সমস্যা নেই।'
বাংলাদেশের যে আবার স্পিনারদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে না দিলেই সমস্যা। তাতে দলের বোলিংটাই নির্বিষ হয়ে যায়। তাঁদের বিষাক্ত হয়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে গেলে তুলনায় বরং বেশিই ধারালো হয়ে উঠবেন পাকিস্তানিরা। নিজ দলের স্পিনারদের নিয়ে মুগ্ধতার আবেশ ইউনিসের কথায়ও, 'আমাদের স্পিন আক্রমণ এক কথায় অসাধারণ। আজমল-আফ্রিদির সঙ্গে হাফিজ ও মালিকের মতো ব্যাকআপ বোলার আছে।' এ চারজন মিলে টি-টোয়েন্টিতে বোলিং করেছেন ১৪ ওভার। ওয়ানডেতে অধিনায়ক চারজনকে দিয়ে ৪০ ওভার করিয়ে ফেললে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য সামলানো কঠিন হয়ে যাবে যদি উইকেটটা স্পিন সহায়ক হয়। এর আগেও দেশের মাঠে স্পিনিং উইকেটে প্রতিপক্ষের স্পিনের ঝাঁজ সইতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে সেসব ক্ষেত্রে একজনই ছিলেন হুমকি। এখানে উদাহরণ হিসেবে শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরনের নাম আসতে পারে। কিন্তু এবারের মতো সব স্পিনার মিলে সদলবলে ঝাঁপিয়ে পড়ার হুমকি কখনোই ছিল না।
এঁদের মধ্যে এক শোয়েব মালিককে আলাদা করে রাখলে বাকি সবাই ওয়ানডের শীর্ষ বোলারদের মধ্যেই পড়েন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কা সিরিজে ১১ উইকেট নিয়ে আইসিসির ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের এক নম্বর বোলার হয়ে গেছেন সাঈদ আজমল। চলতি বছর ১৭ ওয়ানডেতে ৩০ উইকেট নেওয়া এ অফস্পিনার টেস্টেও কম ঈর্ষণীয় নন। মাত্র ছয় টেস্ট খেলে শিকার ৪১! আরেক অফস্পিনার মোহাম্মদ হাফিজকেও এখন আর পার্টটাইমার বলার উপায় নেই। কারণ ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে তাঁর অবস্থানও এখন আট নম্বরে। আর সাত নম্বরে থাকা শহীদ আফ্রিদি আবার ভিন্ন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের। সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কা সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নেওয়া এ সাবেক অধিনায়ক যে লেগস্পিনার। যে ধরনের স্পিনের বিপক্ষে বরাবরই টালমাটাল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এককালের দানিশ কানেরিয়া থেকে শুরু করে হালের দেবেন্দ্র বিশু, কারো বিপক্ষেই তাঁরা ঠিক সাবলীল হতে পারেননি। কাজেই স্পিনিং উইকেটে খেলতে গেলে পাল্টা আক্রমণে নিজেদেরই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হুমকি!
পাকিস্তান না যাওয়া পর্যন্তই বোধহয় সংকটটা থাকছে!
এ শিক্ষা বাংলাদেশের ওয়ানডে এবং টেস্ট ভাবনায় পরিবর্তন এনে থাকলেও সুস্থির হওয়ার উপায় নেই। কারণ পাকিস্তানের পেস অ্যাটাকও তো কম সমীহ জাগানো নয়। আবার ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটে খেললেও চিন্তামুক্ত হওয়া কঠিন। কারণ সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সফল হবেনই, এমন নিশ্চয়তাও দেওয়া যায় না তাঁদের অতীত বিবেচনায়। অন্যদিকে পাকিস্তান যেন সাফল্যের জন্য দারুণ এক প্যাকেজ নিয়েই এসেছে। বাংলাদেশ দলের হেড কোচ স্টুয়ার্ট ল'ও তাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ এক দলের মর্যাদা দিতে কুণ্ঠা করছেন না, 'দুর্দান্ত সব স্পিনার আর দারুণ পেস বোলারদের সঙ্গে ওদের দলে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানেরও অভাব নেই।'
যেজন্য ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে জেতার আশা ছেড়ে না দিয়েও তাঁকে বলতে হচ্ছে, 'এ দলের বিপক্ষে ফল বের করাটা বড্ড কঠিন।' সেটা বাংলাদেশ যে উইকেটেই খেলুক না কেন। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের উইকেটে টার্নের সঙ্গে বাউন্সও থাকার সুফলটা পাকিস্তানি স্পিনাররাই ভোগ করেছেন বেশি। যদিও দর্শক বিনোদনের কথা ভেবে ম্যাচটা ব্যাটিং উইকেটে হলেই ভালো হতো বলে মত দিয়েছিলেন অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। তবে প্রথম ওয়ানডের জন্য মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের ছয় নম্বর উইকেট বেছে নেওয়া মান বাঁচানোর চিন্তা থেকে। এ উইকেটেই ২০১১ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৭০ রান করেছিল ভারত। জবাবে ২৮৩ করে ৮৭ রানের হার সম্মানজনক আখ্যাই পেয়েছিল!
সেরকম কিছুর জন্য খেললে আবার বাংলাদেশের স্পিনারদের করার কিছুই থাকে না। স্পিনারদের জন্য উইকেট বেছে নিতে গেলেও পাকিস্তানের চতুর্মুখী স্পিন আক্রমণের ভয়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশকে এমন ধাঁধার মধ্যে আর কেউ ফেলেছে বলে মনে হয় না। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের স্পিনিং উইকেটে যেমন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভোগান্তিই বেশি দেখেছেন ইউনিস খান, 'আমাদের দারুণ সব স্পিনার আছে। গত রাতেই (পরশু) তো দেখা গেছে বাংলাদেশ স্পিনে আমাদের চেয়ে বেশি ভুগেছে।' এ অভিজ্ঞতায় স্বাগতিকরা ভিন্ন চিন্তায় এগোলেও পাকিস্তানের তাতে কিছু এসে যায় না বলে কাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দিয়েছেন এ সাবেক অধিনায়ক, 'পেস বোলারদের জন্য সহায়তা থাকলেও আমাদের সমস্যা নেই। উইকেট যেমনই হোক না কেন, আমাদের সমস্যা নেই।'
বাংলাদেশের যে আবার স্পিনারদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে না দিলেই সমস্যা। তাতে দলের বোলিংটাই নির্বিষ হয়ে যায়। তাঁদের বিষাক্ত হয়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে গেলে তুলনায় বরং বেশিই ধারালো হয়ে উঠবেন পাকিস্তানিরা। নিজ দলের স্পিনারদের নিয়ে মুগ্ধতার আবেশ ইউনিসের কথায়ও, 'আমাদের স্পিন আক্রমণ এক কথায় অসাধারণ। আজমল-আফ্রিদির সঙ্গে হাফিজ ও মালিকের মতো ব্যাকআপ বোলার আছে।' এ চারজন মিলে টি-টোয়েন্টিতে বোলিং করেছেন ১৪ ওভার। ওয়ানডেতে অধিনায়ক চারজনকে দিয়ে ৪০ ওভার করিয়ে ফেললে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য সামলানো কঠিন হয়ে যাবে যদি উইকেটটা স্পিন সহায়ক হয়। এর আগেও দেশের মাঠে স্পিনিং উইকেটে প্রতিপক্ষের স্পিনের ঝাঁজ সইতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে সেসব ক্ষেত্রে একজনই ছিলেন হুমকি। এখানে উদাহরণ হিসেবে শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরনের নাম আসতে পারে। কিন্তু এবারের মতো সব স্পিনার মিলে সদলবলে ঝাঁপিয়ে পড়ার হুমকি কখনোই ছিল না।
এঁদের মধ্যে এক শোয়েব মালিককে আলাদা করে রাখলে বাকি সবাই ওয়ানডের শীর্ষ বোলারদের মধ্যেই পড়েন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কা সিরিজে ১১ উইকেট নিয়ে আইসিসির ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের এক নম্বর বোলার হয়ে গেছেন সাঈদ আজমল। চলতি বছর ১৭ ওয়ানডেতে ৩০ উইকেট নেওয়া এ অফস্পিনার টেস্টেও কম ঈর্ষণীয় নন। মাত্র ছয় টেস্ট খেলে শিকার ৪১! আরেক অফস্পিনার মোহাম্মদ হাফিজকেও এখন আর পার্টটাইমার বলার উপায় নেই। কারণ ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে তাঁর অবস্থানও এখন আট নম্বরে। আর সাত নম্বরে থাকা শহীদ আফ্রিদি আবার ভিন্ন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের। সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কা সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নেওয়া এ সাবেক অধিনায়ক যে লেগস্পিনার। যে ধরনের স্পিনের বিপক্ষে বরাবরই টালমাটাল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এককালের দানিশ কানেরিয়া থেকে শুরু করে হালের দেবেন্দ্র বিশু, কারো বিপক্ষেই তাঁরা ঠিক সাবলীল হতে পারেননি। কাজেই স্পিনিং উইকেটে খেলতে গেলে পাল্টা আক্রমণে নিজেদেরই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হুমকি!
পাকিস্তান না যাওয়া পর্যন্তই বোধহয় সংকটটা থাকছে!
No comments