জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদানকালে ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী-প্রতিযোগিতায় টিকতে আন্তর্জাতিক বাজারের খোঁজখবর রাখুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আন্তর্জাতিক বাজারের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখার এবং গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিবেদিত হওয়ার জন্য বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী গতকাল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে 'জাতীয় রপ্তানি ট্রফি-২০১১' প্রদানকালে এ আহ্বান জানান। এ সময় ব্যবসায়ীদের কর ফাঁকির প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিশ্বায়ন ও উদারীকরণের এ যুগে আমাদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে। এ জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত ব্যবস্থাপনা কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিল্পের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে।'
'বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী'_পুরনো এ প্রবাদটি আধুনিক বিশ্বেও সমুজ্জ্বল_এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'এখন বিশ্বের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বাণিজ্যই নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করছে।'
২০০৯-১০ অর্থবছরে শীর্ষ রপ্তানিকারক হিসেবে অনুষ্ঠানে ২৫টি পণ্য খাতে ৪৫টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। ট্রফিগুলোর মধ্যে ১৬টি স্বর্ণ, ১৮টি রৌপ্য ও ১১টি ব্রোঞ্জ পদক। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম আবুল কাশেম, এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ, বাণিজ্যসচিব মো. গোলাম হোসেন ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান শুভাসিস বসু উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়িক সহযোগিতা বা প্রণোদনা পেতে হলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। এর জন্য ব্যবসায়ীদের উচিত কর ফাঁকি দেওয়ার মানসিকতা পরিহার করে সঠিকভাবে কর দেওয়া। হয়রানি ও ভয় পরিহার করে সরকারি কর্মকর্তাদেরও উচিত এ বিষয়টি ব্যবসায়ীদের মধ্যে যথাযথভাবে তুলে ধরা। এই দুইয়ের সমন্বয়ে রাজস্ব আয় বাড়াতে পারলে সরকারও দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়নে আরো বেশি সুযোগ-সুবিধা দিতে পারবে। বর্ধিত রাজস্ব আয় বিদ্যুৎ উৎপাদন, অবকাঠামো নির্মাণ ও গ্যাস উত্তোলনে সরকারকে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, উচ্চতর রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশি পণ্যের গুণগত মান বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন বাজার সৃষ্টি ও পণ্যের বহুমুখীকরণে আরো মনোযোগী হতে হবে। বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে তিনি উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখতে গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আরো নিবেদিত হওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, 'দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই রপ্তানি খাতের প্রসারে উদ্যোগ নিই। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় আমরা এখন দ্বিতীয় প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছি। বেসরকারি খাত সম্প্রসারণে নতুন শিল্পনীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আওতায় পাট, চামড়াজাত শিল্প, চিংড়ি, জাহাজভাঙা ও স্থানীয় বস্ত্র খাতসহ ১৭টি খাতে নগদ আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।'
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তাঁর সরকার পণ্যের গুণগত মান ও ডিজাইন উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দানের পাশাপাশি নতুন বাজার সৃজনে অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদার করেছে। গত তিন বছরে রপ্তানি উন্নয়নে সরকার ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় বিভিন্ন পণ্যের শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা আদায় নিশ্চিত করেছে।
বিদেশি বিনিয়োগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদ দমনে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দারুণভাবে আকৃষ্ট হয়েছে। স্থানীয় বিনিয়োগকারীরাও উৎসাহিত হয়ে দেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে। বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত জাতীয় গ্রিডে দুই হাজার ৪০৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনে ভারত, ভুটান ও নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গ্যাস উৎপাদনও ৩৪৯ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
শেখ হাসিনা শ্রমিকদের সার্বিক কল্যাণের দিকে লক্ষ রাখতেও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, শ্রমিকদের সচ্ছল জীবন উৎপাদন বৃদ্ধির সহায়ক এবং এতে মুনাফাও বেড়ে যাবে।
জাতীয় রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় শীর্ষ রপ্তানিকারকদের ট্রফি দিয়ে সম্মাননার আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
'বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী'_পুরনো এ প্রবাদটি আধুনিক বিশ্বেও সমুজ্জ্বল_এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'এখন বিশ্বের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বাণিজ্যই নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করছে।'
২০০৯-১০ অর্থবছরে শীর্ষ রপ্তানিকারক হিসেবে অনুষ্ঠানে ২৫টি পণ্য খাতে ৪৫টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। ট্রফিগুলোর মধ্যে ১৬টি স্বর্ণ, ১৮টি রৌপ্য ও ১১টি ব্রোঞ্জ পদক। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম আবুল কাশেম, এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ, বাণিজ্যসচিব মো. গোলাম হোসেন ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান শুভাসিস বসু উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়িক সহযোগিতা বা প্রণোদনা পেতে হলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। এর জন্য ব্যবসায়ীদের উচিত কর ফাঁকি দেওয়ার মানসিকতা পরিহার করে সঠিকভাবে কর দেওয়া। হয়রানি ও ভয় পরিহার করে সরকারি কর্মকর্তাদেরও উচিত এ বিষয়টি ব্যবসায়ীদের মধ্যে যথাযথভাবে তুলে ধরা। এই দুইয়ের সমন্বয়ে রাজস্ব আয় বাড়াতে পারলে সরকারও দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়নে আরো বেশি সুযোগ-সুবিধা দিতে পারবে। বর্ধিত রাজস্ব আয় বিদ্যুৎ উৎপাদন, অবকাঠামো নির্মাণ ও গ্যাস উত্তোলনে সরকারকে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, উচ্চতর রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশি পণ্যের গুণগত মান বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন বাজার সৃষ্টি ও পণ্যের বহুমুখীকরণে আরো মনোযোগী হতে হবে। বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে তিনি উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখতে গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আরো নিবেদিত হওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, 'দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই রপ্তানি খাতের প্রসারে উদ্যোগ নিই। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় আমরা এখন দ্বিতীয় প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছি। বেসরকারি খাত সম্প্রসারণে নতুন শিল্পনীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আওতায় পাট, চামড়াজাত শিল্প, চিংড়ি, জাহাজভাঙা ও স্থানীয় বস্ত্র খাতসহ ১৭টি খাতে নগদ আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।'
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তাঁর সরকার পণ্যের গুণগত মান ও ডিজাইন উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দানের পাশাপাশি নতুন বাজার সৃজনে অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদার করেছে। গত তিন বছরে রপ্তানি উন্নয়নে সরকার ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় বিভিন্ন পণ্যের শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা আদায় নিশ্চিত করেছে।
বিদেশি বিনিয়োগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদ দমনে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দারুণভাবে আকৃষ্ট হয়েছে। স্থানীয় বিনিয়োগকারীরাও উৎসাহিত হয়ে দেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে। বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত জাতীয় গ্রিডে দুই হাজার ৪০৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনে ভারত, ভুটান ও নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গ্যাস উৎপাদনও ৩৪৯ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
শেখ হাসিনা শ্রমিকদের সার্বিক কল্যাণের দিকে লক্ষ রাখতেও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, শ্রমিকদের সচ্ছল জীবন উৎপাদন বৃদ্ধির সহায়ক এবং এতে মুনাফাও বেড়ে যাবে।
জাতীয় রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় শীর্ষ রপ্তানিকারকদের ট্রফি দিয়ে সম্মাননার আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
No comments