ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ভুল!
ভবিষ্যৎ না বুঝে হাতের পাঁচ ছেড়ে দিয়ে অনেকেই পরে আফসোস করেন। কারো কারো ভুল হয় মাত্রাছাড়া। তবে কারো ভুল কি রোন্যাল্ড ওয়েনের চেয়ে বড় হবে? ৩৫ বছর আগে প্রয়োজনের তাগিদে তিনি যা বিক্রি করেছিলেন মাত্র ২৮ ডলারে, বর্তমানে তার বাজারমূল্য ৩৫ বিলিয়ন ডলার! কী ছিল সেই মহার্ঘ্য বস্তু? উত্তরটাও ঘোর লাগার মতো, অ্যাপলের মালিকানা।অ্যাপল। আধ-খাওয়া আপেলের লোগোসংবলিত এই ব্র্যান্ডটি বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয়
কম্পিউটার বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত। সদ্য প্রয়াত স্টিভ জবসের এই প্রতিষ্ঠানটির নাম এখন বিশ্বজুড়ে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের মুখে মুখে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে স্টিভ জবস সব সময় পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত থাকলেও অ্যাপল মূলত দুজনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। আরেক মালিক হচ্ছেন স্টিভ ওজনিয়াক। প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পদের বর্তমান বাজারমূল্য ৩৫০ বিলিয়ন ডলার। এই বিশাল সম্পদের আংশিক মালিক থাকতে পারতেন রোন্যাল্ড জি ওয়েইন নামে আরেক ব্যক্তি। অ্যাপল প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে তিনিও ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ১০ শতাংশ মালিকানার অংশীদার। কিন্তু, ভয়াবহ আর্থিক বিপর্যয় ও ভবিষ্যৎ দেখতে না পারার অক্ষমতার কারণে ১৯৭৬ সালে চুক্তিপত্র করে মাত্র ৮০০ ডলারে তিনি তাঁর হাতে থাকা শেয়ারের কাগজ তুলে দেন জবস ও ওজনিয়াকের হাতে। সম্প্রতি 'সোথেবিজ নিউ ইয়র্ক' নামে একটি নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ৩৬ বছর আগে নিষ্পন্ন এই চুক্তিপত্রটিসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলিল-দস্তাবেজ নিলামে উঠিয়েছে। আর তাতে ওয়েইনের জন্য হা-হুতাশ উঠেছে পুরো নিউ ইয়র্কজুড়ে।
সাংবাদিকরা এরপর ছুটে যান ৭৭ বছর বয়সী রোন্যাল্ড ওয়েইনের কাছে। জীবদ্দশায় মাত্র ৩৬ বছর পর ২৮ ডলারের শেয়ারমূল্য ৩৫ বিলিয়ন ডলার দেখাতে তিনি হতাশাগ্রস্ত কি না জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর কাছে। জীবনসায়াহ্নে দাঁড়িয়ে ওয়েইন জানিয়েছেন, সিদ্ধান্তটির জন্য তাঁর কোনো অনুতাপ বা আফসোস নেই। বরং বলেন, ওই মুহূর্তে যা করেছেন, ঠিকই করেছেন। তিনি এটাও স্বীকার করেন, ৩৭ বছর আগে শুধু স্বপ্নের ওপরে ভর করে একটা ভাড়া করা গ্যারেজে শুরু করা কম্পিউটার বানানোর কারখানা সত্যিই আজকের অবস্থানে আসবে এটা তিনি কল্পনাও করেননি। বরং আর্থিক দুর্দশায় পরে ওই চুক্তি করে অ্যাপলে খাটানো ডলার কয়টি উদ্ধার করাকেই সে সময়ে তাঁর কাছে মনে হয়েছিল বুদ্ধিমানের কাজ। হতে পারে এটা একটা ঐতিহাসিক ভুল। হয়তো ওই শেয়ারের কাগজটি এখন তাঁর হাতে থাকলে তিনি এ মুহূর্তে বিলিয়নিয়ার, কিন্তু অতিশয় ধনী হয়ে কবরে যাওয়ার কোনো ইচ্ছে তাঁর ছিল না, এখনো নেই। তবে স্টিভ জবস ও ওজনিয়াককে তাঁর প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন অসাধারণ মানুষ মনে হয়েছিল। স্মৃতিচারণায় তিনি বলেন, 'স্টিভ জবস তাঁকে বাবার আসনে বসিয়েছিলেন বলে সম্মানিত বোধ করতেন। এঁদের তিনি 'ঘূর্ণিবায়ু' হিসেবে সেসব ক্ষণজন্মাদের কাতারে ফেলেছেন, যাদের জন্য পৃথিবী শত শত বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকে। সূত্র : ডেইলি মেইল অনলাইন।
সাংবাদিকরা এরপর ছুটে যান ৭৭ বছর বয়সী রোন্যাল্ড ওয়েইনের কাছে। জীবদ্দশায় মাত্র ৩৬ বছর পর ২৮ ডলারের শেয়ারমূল্য ৩৫ বিলিয়ন ডলার দেখাতে তিনি হতাশাগ্রস্ত কি না জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর কাছে। জীবনসায়াহ্নে দাঁড়িয়ে ওয়েইন জানিয়েছেন, সিদ্ধান্তটির জন্য তাঁর কোনো অনুতাপ বা আফসোস নেই। বরং বলেন, ওই মুহূর্তে যা করেছেন, ঠিকই করেছেন। তিনি এটাও স্বীকার করেন, ৩৭ বছর আগে শুধু স্বপ্নের ওপরে ভর করে একটা ভাড়া করা গ্যারেজে শুরু করা কম্পিউটার বানানোর কারখানা সত্যিই আজকের অবস্থানে আসবে এটা তিনি কল্পনাও করেননি। বরং আর্থিক দুর্দশায় পরে ওই চুক্তি করে অ্যাপলে খাটানো ডলার কয়টি উদ্ধার করাকেই সে সময়ে তাঁর কাছে মনে হয়েছিল বুদ্ধিমানের কাজ। হতে পারে এটা একটা ঐতিহাসিক ভুল। হয়তো ওই শেয়ারের কাগজটি এখন তাঁর হাতে থাকলে তিনি এ মুহূর্তে বিলিয়নিয়ার, কিন্তু অতিশয় ধনী হয়ে কবরে যাওয়ার কোনো ইচ্ছে তাঁর ছিল না, এখনো নেই। তবে স্টিভ জবস ও ওজনিয়াককে তাঁর প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন অসাধারণ মানুষ মনে হয়েছিল। স্মৃতিচারণায় তিনি বলেন, 'স্টিভ জবস তাঁকে বাবার আসনে বসিয়েছিলেন বলে সম্মানিত বোধ করতেন। এঁদের তিনি 'ঘূর্ণিবায়ু' হিসেবে সেসব ক্ষণজন্মাদের কাতারে ফেলেছেন, যাদের জন্য পৃথিবী শত শত বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকে। সূত্র : ডেইলি মেইল অনলাইন।
No comments