রফতানি ট্রফি বিতরণ-প্রণোদনা চাইলে করও দিতে হবে :প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্যাস উত্তোলনে সরকারকে সহায়তার লক্ষ্যে নিয়মিত কর দিতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রণোদনা বা সহযোগিতা পাওয়ার জন্য কর দেওয়া জরুরি। বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আন্তর্জাতিক বাজারের সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিবেদিত হওয়ার জন্যও বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে 'জাতীয়রফতানি ট্রফি-২০১১' বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন। অনুষ্ঠানে ৪৫টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে জাতীয় রফতানি ট্রফি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ বছর ১৬টি প্রতিষ্ঠান স্বর্ণ, ১৮টি প্রতিষ্ঠান রৌপ্য ও ১১টি প্রতিষ্ঠান ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেছে। বাসস, ইউএনবি, বিডিনিউজ।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথা থেকে কীভাবে কর ফাঁকি দেওয়া যায় তা না খুঁজে ঠিকমতো কর দিলে আমরা আরও সুযোগ-সুবিধা দিতে পারব। বিশ্বায়ন ও উদারীকরণের এ যুগে আমাদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে। এ জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত ব্যবস্থাপনা কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিল্পের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে।
বিশ্বে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বাণিজ্যই নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করছে। এ জন্য আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দিয়েছি এবং বাণিজ্য বিস্তৃতির পথ সুগম করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
দেশের রফতানি খাতের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আসুন, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং জাতিকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে দেশের রফতানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাই। তিনি বলেন, এবার আমরা সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই রফতানি খাতের প্রসারে উদ্যোগ নিয়েছি। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় আমরা দ্বিতীয় প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছি। বেসরকারি খাত সম্প্রসারণে নতুন শিল্পনীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আওতায় পাট, চামড়াজাত শিল্প, চিংড়ি, জাহাজ ভাঙা ও স্থানীয় বস্ত্রখাতসহ ১৭টি খাতে নগদ আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার পণ্যের গুণগত মান ও ডিজাইন উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দানের পাশাপাশি নতুন বাজার সৃজনে অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদার করেছে। গত তিন বছরে সরকার ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় বিভিন্ন পণ্যের শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা আদায় করেছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে রফতানি খাত থেকে প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জিত হয়েছে এবং এ খাতে ৪১ দশমিক ৪৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ ছাড়া শ্রমিকদের মজুরি ১ হাজার ৬৬২ থেকে ৩ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে তৈরি পোশাক রফতানিতে আমরা তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। এটা আমাদের গর্বের বিষয়। তিনি বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কারণে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছেন। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত জাতীয় গ্রিডে ২ হাজার ৪০৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনে ভারত, ভুটান ও নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গ্যাস উৎপাদনও ৩৪৯ মিলিয়ন ঘনফুট বেড়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম আবুল কাশেম মাস্টার, বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন, বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি এ. কে. আজাদ ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু বক্তব্য রাখেন।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথা থেকে কীভাবে কর ফাঁকি দেওয়া যায় তা না খুঁজে ঠিকমতো কর দিলে আমরা আরও সুযোগ-সুবিধা দিতে পারব। বিশ্বায়ন ও উদারীকরণের এ যুগে আমাদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে। এ জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত ব্যবস্থাপনা কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিল্পের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে।
বিশ্বে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বাণিজ্যই নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করছে। এ জন্য আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দিয়েছি এবং বাণিজ্য বিস্তৃতির পথ সুগম করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
দেশের রফতানি খাতের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আসুন, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং জাতিকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে দেশের রফতানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাই। তিনি বলেন, এবার আমরা সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই রফতানি খাতের প্রসারে উদ্যোগ নিয়েছি। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় আমরা দ্বিতীয় প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছি। বেসরকারি খাত সম্প্রসারণে নতুন শিল্পনীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আওতায় পাট, চামড়াজাত শিল্প, চিংড়ি, জাহাজ ভাঙা ও স্থানীয় বস্ত্রখাতসহ ১৭টি খাতে নগদ আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার পণ্যের গুণগত মান ও ডিজাইন উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দানের পাশাপাশি নতুন বাজার সৃজনে অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদার করেছে। গত তিন বছরে সরকার ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় বিভিন্ন পণ্যের শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা আদায় করেছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে রফতানি খাত থেকে প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জিত হয়েছে এবং এ খাতে ৪১ দশমিক ৪৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ ছাড়া শ্রমিকদের মজুরি ১ হাজার ৬৬২ থেকে ৩ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে তৈরি পোশাক রফতানিতে আমরা তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। এটা আমাদের গর্বের বিষয়। তিনি বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কারণে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছেন। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত জাতীয় গ্রিডে ২ হাজার ৪০৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনে ভারত, ভুটান ও নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গ্যাস উৎপাদনও ৩৪৯ মিলিয়ন ঘনফুট বেড়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম আবুল কাশেম মাস্টার, বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন, বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি এ. কে. আজাদ ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু বক্তব্য রাখেন।
No comments