বিজয়ের মাস-হাজারো মোমের আলোয় উদ্ভাসিত প্রথম প্রহর by আজিজুল পারভেজ
৪০ হাজার মোমের আলোয় উদ্ভাসিত হলো বিজয়ের মাসের প্রথম প্রহর। প্রদীপের আলোয় অঙ্কিত হলো জাতির জনকের মুখচ্ছবি। আলোছায়ার খেলায় উন্মুক্ত বিশাল প্রাঙ্গণজুড়ে ভেসে উঠল অবিনাশী একাত্তরে হানাদার বাহিনীর নির্মমতার ছবি। এই আয়োজন ছিল বিজয়ের মাস শুরুর মুহূর্ত গতকাল বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটে। আয়োজক বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী। আর এই ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হলো বিজয়ের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে
আয়োজিত শিল্পকলা একাডেমীর অনুষ্ঠানমালা।বর্ণিল আয়োজনকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত নানা অনুষ্ঠানে মুখর ছিল শিল্পকলার মুক্ত মঞ্চ। গত রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রদীপ প্রজ্বালনে অংশ নেন শিল্পী, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মী, রাজনীতিবিদসহ নানা পেশার হাজারো মানুষ।
প্রদীপ প্রজ্বালনের উদ্বোধন করেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতা গোলাম কুদ্দুছ, শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
এ সময় কবিতা পাঠ করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ।
মধ্যরাতে ব্ল্যাক-আউটের পর শিশু-কিশোরদের কণ্ঠে 'আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে...' গানটি অন্যরকম আবহ তৈরি করে। গান শেষ হতেই একসঙ্গে জ্বলে ওঠে সব মোমবাতির শিখা। মায়াবী আলোয় জেগে ওঠে একাত্তর। খোলা প্রান্তরের ঠিক মাঝখানে ভেসে ওঠে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশাল প্রতিকৃতি। পাশের ডোবায় ছিল একাত্তরের প্রতীকী রূপ। পানিতে গিয়ে মিশেছে ৩০টি কাঠের সিঁড়ি, ৩০ লাখ শহীদের স্মরণে। ওপরে ছিল নির্মমতার প্রতীক মাথার খুলি। ডোবার জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয় ৩০টি প্রজ্বালিত প্রদীপ। পুকুরপাড়ে উড়তে থাকে লাল-সবুজের পতাকা।
একাডেমীর বিভিন্ন স্থানে সাউন্ড ও লাইটের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় একাত্তরের গণহত্যা, বধ্যভূমি, নারী নির্যাতনের নানা চিত্র। 'ভেব না গো মা তোমার ছেলেরা/হারিয়ে গিয়েছে পথে, ওরা আছে মাগো হাজার মনের বিপ্লবী চেতনাতে' শীর্ষক ইনস্টলেশনের মাধ্যমে দেখানো হয় স্মৃতিজাগানিয়া গণহত্যার ভয়াবহতা।
একাডেমী প্রাঙ্গণের দুটি স্থানে তৈরি করা হয় বধ্যভূমির ভয়াল আবহ। একটির শিরোনাম_ 'তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা', অন্যটির 'ভুলেনি বাংলাদেশ ভুলেনি অত্যাচার/কতো যে ঘৃণা খানসেনা আর বর্বর রাজাকার।' এবড়োখেবড়ো পড়ে থাকতে দেখা যায় নারী-শিশু আর অসহায় মানুষের লাশ।
গতকাল সন্ধ্যা থেকে কফি হাউস মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করে গানের দল উদীচী, সুরের ধারা, ঋষিজ, বহ্নিশিখা ও নিবেদন। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে দিব্য সাংস্কৃতিক সংগঠন, নৃত্যালোক সাংস্কৃতিককেন্দ্র, নৃত্যনন্দন ও বাংলাদেশ একাডেমী অব ফাইন আর্টস। বাউলসংগীত পরিবেশন করেন কুদ্দুস বয়াতি, সমীর বাউল, আমজাদ দেওয়ান, জয়দেব কর্মকার, পাগলা বাবলু, মমতা দাসী ও তাঁদের দল। একক সংগীত পরিবেশন করেন আকরামুল ইসলাম, অনুপ ভট্টাচার্য, কানন বালা সরকার, মহিউজ্জামান চৌধুরী, আরতি ধর প্রমুখ।
শিল্পীদের গাওয়া 'জনতার সংগ্রাম চলবেই আমাদের সংগ্রাম চলবেই', 'সোনায় মোড়ানো বাংলা মোদের শ্মশান করেছে কে', 'এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা', 'ও আমার দেশের মাটি', 'কারার ওই লৌহ কপাট', 'তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর', 'ধন ধান্য পুষ্প ভরা', 'পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে', 'নোঙ্গর তোলো তোলো সময় যে হলো হলো', 'বিজয় নিশান উড়ছে', মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি' ইত্যাদি গান শ্রোতাদের উজ্জীবিত করে তোলে।
আজ বৃহস্পতিবারও কফি হাউস মঞ্চে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চলবে গান, কবিতা, মঞ্চনাটক ও ছবির প্রদর্শনী। চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে ঢাকা শহরের ১০টি এলাকায়। শিল্পকলা একাডেমীর জেলা শাখাগুলোও অনুরূপ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
প্রদীপ প্রজ্বালনের উদ্বোধন করেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতা গোলাম কুদ্দুছ, শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
এ সময় কবিতা পাঠ করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ।
মধ্যরাতে ব্ল্যাক-আউটের পর শিশু-কিশোরদের কণ্ঠে 'আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে...' গানটি অন্যরকম আবহ তৈরি করে। গান শেষ হতেই একসঙ্গে জ্বলে ওঠে সব মোমবাতির শিখা। মায়াবী আলোয় জেগে ওঠে একাত্তর। খোলা প্রান্তরের ঠিক মাঝখানে ভেসে ওঠে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশাল প্রতিকৃতি। পাশের ডোবায় ছিল একাত্তরের প্রতীকী রূপ। পানিতে গিয়ে মিশেছে ৩০টি কাঠের সিঁড়ি, ৩০ লাখ শহীদের স্মরণে। ওপরে ছিল নির্মমতার প্রতীক মাথার খুলি। ডোবার জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয় ৩০টি প্রজ্বালিত প্রদীপ। পুকুরপাড়ে উড়তে থাকে লাল-সবুজের পতাকা।
একাডেমীর বিভিন্ন স্থানে সাউন্ড ও লাইটের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় একাত্তরের গণহত্যা, বধ্যভূমি, নারী নির্যাতনের নানা চিত্র। 'ভেব না গো মা তোমার ছেলেরা/হারিয়ে গিয়েছে পথে, ওরা আছে মাগো হাজার মনের বিপ্লবী চেতনাতে' শীর্ষক ইনস্টলেশনের মাধ্যমে দেখানো হয় স্মৃতিজাগানিয়া গণহত্যার ভয়াবহতা।
একাডেমী প্রাঙ্গণের দুটি স্থানে তৈরি করা হয় বধ্যভূমির ভয়াল আবহ। একটির শিরোনাম_ 'তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা', অন্যটির 'ভুলেনি বাংলাদেশ ভুলেনি অত্যাচার/কতো যে ঘৃণা খানসেনা আর বর্বর রাজাকার।' এবড়োখেবড়ো পড়ে থাকতে দেখা যায় নারী-শিশু আর অসহায় মানুষের লাশ।
গতকাল সন্ধ্যা থেকে কফি হাউস মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করে গানের দল উদীচী, সুরের ধারা, ঋষিজ, বহ্নিশিখা ও নিবেদন। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে দিব্য সাংস্কৃতিক সংগঠন, নৃত্যালোক সাংস্কৃতিককেন্দ্র, নৃত্যনন্দন ও বাংলাদেশ একাডেমী অব ফাইন আর্টস। বাউলসংগীত পরিবেশন করেন কুদ্দুস বয়াতি, সমীর বাউল, আমজাদ দেওয়ান, জয়দেব কর্মকার, পাগলা বাবলু, মমতা দাসী ও তাঁদের দল। একক সংগীত পরিবেশন করেন আকরামুল ইসলাম, অনুপ ভট্টাচার্য, কানন বালা সরকার, মহিউজ্জামান চৌধুরী, আরতি ধর প্রমুখ।
শিল্পীদের গাওয়া 'জনতার সংগ্রাম চলবেই আমাদের সংগ্রাম চলবেই', 'সোনায় মোড়ানো বাংলা মোদের শ্মশান করেছে কে', 'এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা', 'ও আমার দেশের মাটি', 'কারার ওই লৌহ কপাট', 'তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর', 'ধন ধান্য পুষ্প ভরা', 'পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে', 'নোঙ্গর তোলো তোলো সময় যে হলো হলো', 'বিজয় নিশান উড়ছে', মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি' ইত্যাদি গান শ্রোতাদের উজ্জীবিত করে তোলে।
আজ বৃহস্পতিবারও কফি হাউস মঞ্চে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চলবে গান, কবিতা, মঞ্চনাটক ও ছবির প্রদর্শনী। চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে ঢাকা শহরের ১০টি এলাকায়। শিল্পকলা একাডেমীর জেলা শাখাগুলোও অনুরূপ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
No comments