হাইকোর্টের প্রতি খালেদার অনাস্থার আবেদন খারিজ-৭ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা বাতিলের রুলের ওপর শুনানিতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাইকোর্টের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন। তবে আদালত এ অনাস্থার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। আদালত আগামী ৭ ডিসেম্বর রুলের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন।বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার-উল হক ও বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন। মামলার শুনানি মুলতবি রাখার আবেদন নাকচ করায় আদালতের প্রতি
অনাস্থা জানানো হয়। হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা মামলা ওই আদালতে বিচারাধীন। এর আগে হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চের জারি করা রুল নিষ্পত্তির জন্য গতকাল ওই বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা করে আদালতের প্রতি অনাস্থা জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। পরে আদালত আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন।
আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, 'খালেদা জিয়ার পক্ষে ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করে একটি আবেদন করা হলে আদালত আবেদনটি খারিজ করেছেন। আমরা এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করব।' তিনি আরো বলেন, 'সাধারণত কোনো আদালতের সুবিচার না পাওয়ার কথা মৌখিকভাবে বলা হলেই আদালত আর বিষয়টির শুনানি করেন না। আমরাও আশা করেছিলাম আদালত আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে ফেরত পাঠাবেন। কিন্তু তা না করেই আমাদের লিখিত আবেদন খারিজ করা হয়েছে।'
শুনানিতে অংশ নেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। সরকার পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান শুনানিতে অংশ নেন।
গত ২৩ নভেম্বর হাইকোর্টের একই ডিভিশন বেঞ্চ খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি মুলতবি রাখার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ নভেম্বর শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। গতকাল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার শুনানি কার্যতালিকায় ১৭ নম্বর আইটেম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিল। সকালে খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, 'এ মামলার প্রধান কেঁৗসুলি ব্যারিস্টার রফিক উল হক। তিনিই মামলাটিতে এর আগে শুনানি করেছেন। শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ। এ কারণে আপিল বিভাগ তাঁর দুটি মামলার শুনানি মুলতবি করেছেন। আমরা চাই এ মামলার শুনানিও মুলতবি করা হোক। এ ছাড়া এই মামলার চেয়ে অনেক পুরনো ২০০৩ থেকে ২০০৮ সালের অনেক মামলা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। ওই সব মামলার শুনানি না করে এ মামলার শুনানি করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।'
অ্যাটর্নি মুলতবির আবেদনের বিরোধিতা করেন। জবাবে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, 'অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরোধিতা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজনৈতিক কারণেই মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকার শীর্ষে নিয়ে আসা হয়েছে। এ কারণে আদালত তাঁর বক্তব্য শুনতে পারেন না।' এ পর্যায়ে আদালত মুলতবির আবেদন নামঞ্জুর করেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে মৌখিকভাবে অনাস্থার কথা জানানো হলে লিখিত আকারে জানাতে বলা হয়। বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মওদুদ আহমদ আদালতের ওপর একটি অনাস্থার আবেদন দাখিল করেন। অনাস্থার আবেদনের ওপর শুনানিতে অংশ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দুদক মামলা করেছে। কারণ মামলা করার মতো উপাদান এজাহারে রয়েছে।' তিনি বলেন, 'শুনানি মুলতবি করে তাঁরা শুনানিকে বিলম্বিত করতে চান।' অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতের ওপর অনাস্থার আবেদনকে অগ্রহণযোগ্য ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
দুদকের আইনজীবী বলেন, 'মামলা শুনানি করতে কার্যতালিকায় আসার জন্য যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় এখানে সব কিছু করা হয়েছে। হঠাৎ করে এটি কার্যতালিকায় আসেনি।'
মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা মামলা ওই আদালতে বিচারাধীন। এর আগে হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চের জারি করা রুল নিষ্পত্তির জন্য গতকাল ওই বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা করে আদালতের প্রতি অনাস্থা জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। পরে আদালত আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন।
আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, 'খালেদা জিয়ার পক্ষে ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করে একটি আবেদন করা হলে আদালত আবেদনটি খারিজ করেছেন। আমরা এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করব।' তিনি আরো বলেন, 'সাধারণত কোনো আদালতের সুবিচার না পাওয়ার কথা মৌখিকভাবে বলা হলেই আদালত আর বিষয়টির শুনানি করেন না। আমরাও আশা করেছিলাম আদালত আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে ফেরত পাঠাবেন। কিন্তু তা না করেই আমাদের লিখিত আবেদন খারিজ করা হয়েছে।'
শুনানিতে অংশ নেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। সরকার পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান শুনানিতে অংশ নেন।
গত ২৩ নভেম্বর হাইকোর্টের একই ডিভিশন বেঞ্চ খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি মুলতবি রাখার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ নভেম্বর শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। গতকাল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার শুনানি কার্যতালিকায় ১৭ নম্বর আইটেম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিল। সকালে খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, 'এ মামলার প্রধান কেঁৗসুলি ব্যারিস্টার রফিক উল হক। তিনিই মামলাটিতে এর আগে শুনানি করেছেন। শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ। এ কারণে আপিল বিভাগ তাঁর দুটি মামলার শুনানি মুলতবি করেছেন। আমরা চাই এ মামলার শুনানিও মুলতবি করা হোক। এ ছাড়া এই মামলার চেয়ে অনেক পুরনো ২০০৩ থেকে ২০০৮ সালের অনেক মামলা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। ওই সব মামলার শুনানি না করে এ মামলার শুনানি করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।'
অ্যাটর্নি মুলতবির আবেদনের বিরোধিতা করেন। জবাবে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, 'অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরোধিতা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজনৈতিক কারণেই মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকার শীর্ষে নিয়ে আসা হয়েছে। এ কারণে আদালত তাঁর বক্তব্য শুনতে পারেন না।' এ পর্যায়ে আদালত মুলতবির আবেদন নামঞ্জুর করেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে মৌখিকভাবে অনাস্থার কথা জানানো হলে লিখিত আকারে জানাতে বলা হয়। বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মওদুদ আহমদ আদালতের ওপর একটি অনাস্থার আবেদন দাখিল করেন। অনাস্থার আবেদনের ওপর শুনানিতে অংশ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দুদক মামলা করেছে। কারণ মামলা করার মতো উপাদান এজাহারে রয়েছে।' তিনি বলেন, 'শুনানি মুলতবি করে তাঁরা শুনানিকে বিলম্বিত করতে চান।' অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতের ওপর অনাস্থার আবেদনকে অগ্রহণযোগ্য ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
দুদকের আইনজীবী বলেন, 'মামলা শুনানি করতে কার্যতালিকায় আসার জন্য যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় এখানে সব কিছু করা হয়েছে। হঠাৎ করে এটি কার্যতালিকায় আসেনি।'
No comments