সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী-গ্রাহকদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্রাহকদের সঙ্গে পরামর্শ করে সহনশীল পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে খরচ বাড়বে না। সংসদ নেতা বলেন, 'বিশ্বব্যাপী প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। আমরা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন নই। তাই বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্য আমাদেরও দাম বাড়াতে হয়।'
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে একমাত্র স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে একমাত্র স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে
প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি আরো বলেন, উৎপাদন বাড়াতে হলে আর চাহিদা থাকলে দাম অবশ্যই বাড়াতে হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর ক্ষমতায় থাকলেও তারা এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি। তাদের সময় ইমার্জেন্সি ছিল। তাদের ছিল অসীম ক্ষমতা।'
সংসদ নেতা বলেন, 'আগের সরকারগুলো চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে এখন মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। এত কষ্ট পেতে হতো না। আমরা বসে নেই। দ্রুততার সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টা করছি। এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট সফলতা অর্জন করছি।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা ক্ষমতা গ্রহণের পর চার লাখ ৪০ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছি। একই সংখ্যক গ্রাহককে সংযোগ দেওয়া প্রক্রিয়াধীন।'
প্রবাসী আয় : প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কমেছে বলে সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ নেতা বলেন, 'রেমিট্যান্স অর্জন ও জনশক্তি রপ্তানি কমে যাওয়ার বিষয়ে অনেকে ঢালাওভাবে কথা বলেন। কোনো খোঁজ খবর না নিয়ে পত্রিকায় লিখে ফেলেন রেমিট্যান্স কমে গেছে। জনশক্তি রপ্তানিতে ধস নেমেছে। এ কথটি মোটেই ঠিক নয়।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের সরকারের ২ বছর ১০ মাস সময়ে ৩১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আর বিএনপির পাঁচ বছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার।'
বিভাগীয় শহর হবে অর্থনৈতিক জোন : সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে দেশেব বিভাগীয় শহরগুলোকে অর্থনৈতিক জোন হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান সংসদ নেতা। তিনি বলেন, 'আমরা অনেক কাজ করেছি। কত বলব। সামনে আরো অনেক কাজ। কত করব।'
গ্যাসের চাহিদা মেটাতে পেট্রোবাংলা হিমশিম খাচ্ছে : সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চারদলীয় জোট ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার গ্যাস উৎপাদনের বিষয়টি বিবেচনা না করে অতিরিক্ত মাত্রায় সরবরাহের অনুমতি দেওয়ায় চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান অনেক বেড়ে গেছে। এ কারণে আগে সংযোগ দেওয়া গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতেই পেট্রোবাংলাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
No comments