বাংলাদেশ থিয়েটারের রজতজয়ন্তী by মামুন মিজানুর রহমান।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতে ২৫ নভেম্বর শুরু হয়েছে বাংলাদেশ থিয়েটার আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী নাট্যোৎসব। উৎসব প্রাঙ্গণ ঘূরে এসে লিখেছেন মামুন মিজানুর রহমান।নাট্যচর্চায় ২৫টি গৌরবোজ্জ্বল বছর পেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ থিয়েটার। এবার রজতজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ থিয়েটার আয়োজন করেছে সপ্তাহব্যাপী এক নাট্যোৎসবের। প্রতিবছরই এ দলটি নাট্যোৎসবের আয়োজন করে আসছে। দুই দিনের নাট্যোৎসব হতো বরাবর।
২০০৮ সালে এই দলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ১২ দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। এবার রজতজয়ন্তীর আয়োজন আরো লম্বা করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু শিল্পকলার হল সংকটের কারণে এক সপ্তাহের বেশি তা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
'নাটক হোক সুস্থ মননশীলতা সৃষ্টির তীর্থক্ষেত্র' এই স্লোগান নিয়ে শুরু হওয়া এ উৎসবে আমন্ত্রিত হয়েছে দেশের জনপ্রিয়, মানসম্মত ও আলোচিত নাটক। প্রতিদিন সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হচ্ছে একটি নাটক।
২৫ নভেম্বর সকাল ১০টায় আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসব। সকাল ১১টায় জাতীয় নাট্যশালা চত্বরে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। বিশিষ্ট নাট্যজন, নাট্যকর্মী ও নাট্য অনুরাগীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল মঞ্চমেলা। এ পর্বে অনুষ্ঠিত হয় মঞ্চকর্মীদের আড্ডা ও তাঁদের নিয়ে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। বিকেল ৪টায় শুরু হয় লোকসংগীতের আসর। সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হয় নাটক 'সি-মোরগ'। বাংলাদেশ থিয়েটার পরিবেশিত আসাদুল্লাহ ফারাজী রচিত নাটকটির নির্দেশনা দেন হুমায়ুন কবীর। উল্লেখ্য, সে দিনও শিল্পকলায় চলছিল লোক নাট্যদলের নাট্যোৎসব। দুই উৎসবের ঘনঘটায় বাংলাদেশ থিয়েটারের আয়োজনে দর্শকের অভাব ছিল না।
দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় লোক নাট্যদলের [সিদ্ধেশ্বরী] পরিবেশনায় জনপ্রিয় নাটক 'কঞ্জুস'। মলিয়ের রচিত এ হাসির নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন লিয়াকত আলী লাকী। হাসির নাটক নিয়ে সাধারণ দর্শকদের আগ্রহ বরাবরই একটু বেশি। ফলে এ নাটকের সব শোতেই দর্শকের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়। সেদিনের প্রদর্শনীতেও ছিল হলভর্তি দর্শক। প্রত্যাশা বেশি বলেই হয়তো নাটক দেখে অনেকেই যেমন হাততালির ঝড় তুলেছেন, তেমনি বিরক্তি প্রকাশও করেছেন কেউ কেউ। এ নাটকে ব্যাকগ্রাউন্ডে ব্যবহৃত হয়েছে জনপ্রিয় হিন্দি ক্ল্যাসিক গান। বাংলা নাটকে এ ধরনের ভিন্ন ভাষার গান এবং সেই গানের সঙ্গে সিনেমাটিক অভিনয়ে বিরক্তি চেপে রাখতে পারেননি প্রতিবেদকের পাশের আসনে বসা এক দর্শক। টাঙ্গাইলের হাবিবুর রহমান সম্প্রতি ফিরেছেন প্রবাস থেকে। তিনি অনেক দিন পর মঞ্চনাটক দেখতে এসেছিলেন। নাটকের আবহ সংগীতে হিন্দির ব্যবহার দেখে তিনি বলেন, 'বাংলা নাটকে হিন্দি গান ব্যবহার করা দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধের অভাব প্রমাণ করে। এটা কলকাতা নয় যে এখানে বাংলা নাটকে হিন্দি গান ব্যবহার করা সংগত হবে।'
২৭ নভেম্বর মঞ্চস্থ হয় 'নষ্টনীড়'। ঢাকা থিয়েটারের পরিবেশনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত এ নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন রুবাইয়াৎ আহমেদ। নির্দেশনা দিয়েছেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৮ নভেম্বর নাট্যকেন্দ্র মঞ্চস্থ করে 'ডালিম কুমার'। লোকপুরাণভিত্তিক এ নাটকটি লিখেছেন শুভাশিস সিনহা। নির্দেশনা দিয়েছেন ইউসুফ হাসান অর্ক। ২৯ নভেম্বর থিয়েটার [বেইলি রোড] পরিবেশন করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'মুক্তধারা'। নির্দেশনা দিয়েছেন নায়লা আজাদ। সম্প্রতি এ নাটক এবং 'নষ্টনীড়' নাটকটি মঞ্চে এসেছে সরকারি অনুদানে রবীন্দ্রনাট্য মঞ্চায়নের অংশ হিসেবে। আগামীকাল শুক্রবার মঞ্চস্থ হবে নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের জনপ্রিয় নাটক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'রক্তকরবী'। আতাউর রহমানের নির্দেশনায় এ নাটকটির শততম মঞ্চায়ন হবে আগামীকাল। উৎসবের শেষ দিন মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের পরিবেশনায় এবং মামুনুর রশীদের রচনা ও নির্দেশনায় 'রাঢ়াঙ'।
বাংলাদেশ থিযেটারের রজতজয়ন্তী উৎসব চলছে বেশ। দর্শক ও নাট্যকর্মীদের মধ্যে চলছে এ উৎসব নিয়ে আনন্দ-হুল্লোড়।
'নাটক হোক সুস্থ মননশীলতা সৃষ্টির তীর্থক্ষেত্র' এই স্লোগান নিয়ে শুরু হওয়া এ উৎসবে আমন্ত্রিত হয়েছে দেশের জনপ্রিয়, মানসম্মত ও আলোচিত নাটক। প্রতিদিন সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হচ্ছে একটি নাটক।
২৫ নভেম্বর সকাল ১০টায় আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসব। সকাল ১১টায় জাতীয় নাট্যশালা চত্বরে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। বিশিষ্ট নাট্যজন, নাট্যকর্মী ও নাট্য অনুরাগীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল মঞ্চমেলা। এ পর্বে অনুষ্ঠিত হয় মঞ্চকর্মীদের আড্ডা ও তাঁদের নিয়ে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। বিকেল ৪টায় শুরু হয় লোকসংগীতের আসর। সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হয় নাটক 'সি-মোরগ'। বাংলাদেশ থিয়েটার পরিবেশিত আসাদুল্লাহ ফারাজী রচিত নাটকটির নির্দেশনা দেন হুমায়ুন কবীর। উল্লেখ্য, সে দিনও শিল্পকলায় চলছিল লোক নাট্যদলের নাট্যোৎসব। দুই উৎসবের ঘনঘটায় বাংলাদেশ থিয়েটারের আয়োজনে দর্শকের অভাব ছিল না।
দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় লোক নাট্যদলের [সিদ্ধেশ্বরী] পরিবেশনায় জনপ্রিয় নাটক 'কঞ্জুস'। মলিয়ের রচিত এ হাসির নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন লিয়াকত আলী লাকী। হাসির নাটক নিয়ে সাধারণ দর্শকদের আগ্রহ বরাবরই একটু বেশি। ফলে এ নাটকের সব শোতেই দর্শকের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়। সেদিনের প্রদর্শনীতেও ছিল হলভর্তি দর্শক। প্রত্যাশা বেশি বলেই হয়তো নাটক দেখে অনেকেই যেমন হাততালির ঝড় তুলেছেন, তেমনি বিরক্তি প্রকাশও করেছেন কেউ কেউ। এ নাটকে ব্যাকগ্রাউন্ডে ব্যবহৃত হয়েছে জনপ্রিয় হিন্দি ক্ল্যাসিক গান। বাংলা নাটকে এ ধরনের ভিন্ন ভাষার গান এবং সেই গানের সঙ্গে সিনেমাটিক অভিনয়ে বিরক্তি চেপে রাখতে পারেননি প্রতিবেদকের পাশের আসনে বসা এক দর্শক। টাঙ্গাইলের হাবিবুর রহমান সম্প্রতি ফিরেছেন প্রবাস থেকে। তিনি অনেক দিন পর মঞ্চনাটক দেখতে এসেছিলেন। নাটকের আবহ সংগীতে হিন্দির ব্যবহার দেখে তিনি বলেন, 'বাংলা নাটকে হিন্দি গান ব্যবহার করা দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধের অভাব প্রমাণ করে। এটা কলকাতা নয় যে এখানে বাংলা নাটকে হিন্দি গান ব্যবহার করা সংগত হবে।'
২৭ নভেম্বর মঞ্চস্থ হয় 'নষ্টনীড়'। ঢাকা থিয়েটারের পরিবেশনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত এ নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন রুবাইয়াৎ আহমেদ। নির্দেশনা দিয়েছেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৮ নভেম্বর নাট্যকেন্দ্র মঞ্চস্থ করে 'ডালিম কুমার'। লোকপুরাণভিত্তিক এ নাটকটি লিখেছেন শুভাশিস সিনহা। নির্দেশনা দিয়েছেন ইউসুফ হাসান অর্ক। ২৯ নভেম্বর থিয়েটার [বেইলি রোড] পরিবেশন করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'মুক্তধারা'। নির্দেশনা দিয়েছেন নায়লা আজাদ। সম্প্রতি এ নাটক এবং 'নষ্টনীড়' নাটকটি মঞ্চে এসেছে সরকারি অনুদানে রবীন্দ্রনাট্য মঞ্চায়নের অংশ হিসেবে। আগামীকাল শুক্রবার মঞ্চস্থ হবে নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের জনপ্রিয় নাটক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'রক্তকরবী'। আতাউর রহমানের নির্দেশনায় এ নাটকটির শততম মঞ্চায়ন হবে আগামীকাল। উৎসবের শেষ দিন মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের পরিবেশনায় এবং মামুনুর রশীদের রচনা ও নির্দেশনায় 'রাঢ়াঙ'।
বাংলাদেশ থিযেটারের রজতজয়ন্তী উৎসব চলছে বেশ। দর্শক ও নাট্যকর্মীদের মধ্যে চলছে এ উৎসব নিয়ে আনন্দ-হুল্লোড়।
No comments