মেলে দাও ইচ্ছেডানা অপেক্ষার পালা শেষ! by শ্রাবণ সরকার
মুক্তির আগেই ছবির পোস্টার, প্রোমো, গান এমনকি তার নামও যখন আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে চলে আসে, অভিজ্ঞতা বলে, বঙ্ অফিসে ফাটাফাটি একটি কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবে সেই ছবি! অন্তত বলিউডি ছবির দর্শকরা আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে সে ধরনের আগাম 'ঝড়তোলা' ছবি দেখার জন্য! তবে মুক্তির আগের দিন পর্যন্ত ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রী, প্রযোজক-পরিচালক থেকে শুরু করে কলাকুশলীদের 'রক্তচাপ' থাকে ঊর্ধ্বগামী!
টেনশন, উত্তেজনা সমান্তরালে চলতে থাকে মনের মধ্যে_দর্শকরা কিভাবে গ্রহণ করবে ছবি, ভালো লাগবে তো মানুষের?
'দ্য ডার্টি পিকচার' নিয়ে এমন স্নায়বিক চাপের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছে ছবির গোটা টিম। আগামী শুক্রবার মুক্তি পেতে যাচ্ছে ছবিটি। তবে শেষ মুহূর্তেও মনের চাপের পারদ কমছে, বরং তা যেন কয়েক ডিগ্রি বেশি সিনেমাটির মুখ্য চরিত্র সিল্কের! সিনেমার এই 'সিল্ক' বাস্তবের বিদ্যা বালান।
খোলামেলা পোশাক, অকপট অভিব্যক্তি ও স্বেচ্ছাচারী (!) জীবনযাপনে অভ্যস্ত সিল্কের 'সিল্কি' চরিত্র নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলার ব্যাপারে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী বিদ্যা। নিজের নাছোড়বান্দা মনোবল ও কঠোর পরিশ্রম দিয়ে জয় করেছেন সব বাধা। তবে সিল্কের 'ভয়' অন্যখানে!
ছবির প্রোমোনির্ভর বিদ্যা তথা সিল্কের খোলামেলা পোশাকের বিচারে 'দ্য ডার্টি পিকচার'ই নাকি তাঁর সবচেয়ে বোল্ড (সাহসী) ছবি! এমন হাওয়াই নাকি পাক খাচ্ছে বলিউডের দর্শক-ভুবনে! বিদ্যাও স্বীকার করেন সে কথা। তবে তিনি তর্ক জুড়ে দেন, 'বোল্ডনেস'-এর সংজ্ঞা ও তার সূচক নির্ধারণের ধরন-ধারণ নিয়ে। তাঁর ভাষায়, "হ্যাঁ, এক অর্থে বলা যেতেই পারে এটা আমার সবচেয়ে বোল্ড ছবি। পোশাকে বোল্ডনেস আছে, তাই লোকের চোখে বেশি করে পড়ছে। নয়তো 'পা'-এর একলা এক মায়ের গল্প, 'ইশকিয়া' ছবিতে এক পুরুষের সঙ্গে এক রাত কাটানো কিংবা 'জেসিকা'-য় ১১ বছরের লড়াই-সংগ্রাম_এসব চরিত্রই কিন্তু সাহসী। তবে সিল্ক যেহেতু বেশি খোলামেলা এবং গানের দৃশ্যে তাঁর নাচের যৌনাবেদনময় ভঙ্গি দেখে লোকের মনে হচ্ছে 'দ্য ডার্টি পিকচার' একটু বেশিই বোল্ড।"
তবে এই 'একচোখা' বোল্ডনেসের বাইরে ছবির সিল্ক হয়ে ওঠার জন্য, চরিত্রের বোল্ডনেস ফুটিয়ে তোলার জন্য মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি করা সবচেয়ে কঠিন ছিল বলে বিদ্যার দাবি। সিল্ক এমন এক নারী যে তার স্রোতে গা ভাসিয়ে দেওয়া জীবনযাত্রা, প্রয়োজনের তুলনায় স্বল্প দৈর্ঘ্য-প্রস্থের পোশাক-পরিচ্ছদ_কোনো কিছু নিয়েই লজ্জিত নন, ভীত নন।
সংস্কারমুক্ত, আপসহীন বেঁচে থাকা, যেখানে যেমন ইচ্ছা ডানা মেলে হারিয়ে যাওয়া নারী সিল্ককে চিত্রায়ণ করা, বিদ্যার ভাষায় 'পোট্র্রেট' করা বেশ কঠিন ছিল। বিদ্যা মনে করেন, ভারতীয় ছবিতে কোনো নায়িকাই এমন রাখঢাকহীন কথাবার্তা (এঙ্প্লিসিট ডায়লগ) বলেননি এর আগে। তাই খোলামেলা পোশাকের চেয়ে চারিত্রিক দৃঢ়তার দিক দিয়ে 'সিল্ক' বেশি কিছু! অনেক বেশি সাহসী!
এ ছবির অন্য তিন মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসিরুদ্দিন শাহ, ইমরান হাশমি ও তুষার কাপুর। তাঁদের মধ্যে কে বেশি 'ডার্টি'? এমন প্রশ্নের জবাবে 'নটি' বিদ্যার 'বোল্ড' স্বীকারোক্তি, 'আমিই সবচেয়ে বেশি দুষ্টু (ডার্টি)।' তবে কি বাস্তব জীবনেও বিদ্যা 'সিল্কের' মতোই ডার্টি? স্মিত হেসে বিদ্যার উত্তর, ডার্টি কি না জানি না। তবে ফ্লার্টি (প্রগলভ) ও নটি তো বটেই!
আপসহীন বিদ্যা মানেন, জীবন একটাই। তাই সে জীবনে নিজের ইচ্ছামতোই বেঁচে থাকা উচিত। সেই 'ইচ্ছা-স্বাধীন' বেঁচে থাকার গল্পের পুরোটা জানতে 'দ্য ডার্টি পিকচার'-এর জন্য কিছু 'ডার্টি' সময় বরাদ্দ রাখতেই হবে!
খোলামেলা পোশাক, অকপট অভিব্যক্তি ও স্বেচ্ছাচারী (!) জীবনযাপনে অভ্যস্ত সিল্কের 'সিল্কি' চরিত্র নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলার ব্যাপারে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী বিদ্যা। নিজের নাছোড়বান্দা মনোবল ও কঠোর পরিশ্রম দিয়ে জয় করেছেন সব বাধা। তবে সিল্কের 'ভয়' অন্যখানে!
ছবির প্রোমোনির্ভর বিদ্যা তথা সিল্কের খোলামেলা পোশাকের বিচারে 'দ্য ডার্টি পিকচার'ই নাকি তাঁর সবচেয়ে বোল্ড (সাহসী) ছবি! এমন হাওয়াই নাকি পাক খাচ্ছে বলিউডের দর্শক-ভুবনে! বিদ্যাও স্বীকার করেন সে কথা। তবে তিনি তর্ক জুড়ে দেন, 'বোল্ডনেস'-এর সংজ্ঞা ও তার সূচক নির্ধারণের ধরন-ধারণ নিয়ে। তাঁর ভাষায়, "হ্যাঁ, এক অর্থে বলা যেতেই পারে এটা আমার সবচেয়ে বোল্ড ছবি। পোশাকে বোল্ডনেস আছে, তাই লোকের চোখে বেশি করে পড়ছে। নয়তো 'পা'-এর একলা এক মায়ের গল্প, 'ইশকিয়া' ছবিতে এক পুরুষের সঙ্গে এক রাত কাটানো কিংবা 'জেসিকা'-য় ১১ বছরের লড়াই-সংগ্রাম_এসব চরিত্রই কিন্তু সাহসী। তবে সিল্ক যেহেতু বেশি খোলামেলা এবং গানের দৃশ্যে তাঁর নাচের যৌনাবেদনময় ভঙ্গি দেখে লোকের মনে হচ্ছে 'দ্য ডার্টি পিকচার' একটু বেশিই বোল্ড।"
তবে এই 'একচোখা' বোল্ডনেসের বাইরে ছবির সিল্ক হয়ে ওঠার জন্য, চরিত্রের বোল্ডনেস ফুটিয়ে তোলার জন্য মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি করা সবচেয়ে কঠিন ছিল বলে বিদ্যার দাবি। সিল্ক এমন এক নারী যে তার স্রোতে গা ভাসিয়ে দেওয়া জীবনযাত্রা, প্রয়োজনের তুলনায় স্বল্প দৈর্ঘ্য-প্রস্থের পোশাক-পরিচ্ছদ_কোনো কিছু নিয়েই লজ্জিত নন, ভীত নন।
সংস্কারমুক্ত, আপসহীন বেঁচে থাকা, যেখানে যেমন ইচ্ছা ডানা মেলে হারিয়ে যাওয়া নারী সিল্ককে চিত্রায়ণ করা, বিদ্যার ভাষায় 'পোট্র্রেট' করা বেশ কঠিন ছিল। বিদ্যা মনে করেন, ভারতীয় ছবিতে কোনো নায়িকাই এমন রাখঢাকহীন কথাবার্তা (এঙ্প্লিসিট ডায়লগ) বলেননি এর আগে। তাই খোলামেলা পোশাকের চেয়ে চারিত্রিক দৃঢ়তার দিক দিয়ে 'সিল্ক' বেশি কিছু! অনেক বেশি সাহসী!
এ ছবির অন্য তিন মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসিরুদ্দিন শাহ, ইমরান হাশমি ও তুষার কাপুর। তাঁদের মধ্যে কে বেশি 'ডার্টি'? এমন প্রশ্নের জবাবে 'নটি' বিদ্যার 'বোল্ড' স্বীকারোক্তি, 'আমিই সবচেয়ে বেশি দুষ্টু (ডার্টি)।' তবে কি বাস্তব জীবনেও বিদ্যা 'সিল্কের' মতোই ডার্টি? স্মিত হেসে বিদ্যার উত্তর, ডার্টি কি না জানি না। তবে ফ্লার্টি (প্রগলভ) ও নটি তো বটেই!
আপসহীন বিদ্যা মানেন, জীবন একটাই। তাই সে জীবনে নিজের ইচ্ছামতোই বেঁচে থাকা উচিত। সেই 'ইচ্ছা-স্বাধীন' বেঁচে থাকার গল্পের পুরোটা জানতে 'দ্য ডার্টি পিকচার'-এর জন্য কিছু 'ডার্টি' সময় বরাদ্দ রাখতেই হবে!
No comments