প্রজন্মের বৃহত্তম ধর্মঘটে ২৪ ঘণ্টা ব্রিটেন অচল
সরকারি কর্মজীবীদের বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ব্রিটেন। চিকিৎসক, শিক্ষকসহ লাখ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্দোলনে নেমেছেন। তাদের ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘটে গতকাল বুধবার ব্রিটেন কার্যত অচল হয়ে যায়। অবসর ভাতা ও চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর দাবিতে ডাকা এ ধর্মঘটে যোগ দেয় ২০ লাখেরও বেশি কর্মজীবী মানুষ। বিক্ষোভ হয়েছে এক হাজারেরও বেশি স্থানে। গত এক প্রজন্ম বা কয়েক দশকের মধ্যে ব্রিটেনে এটি সবচেয়ে বড় কর্মজীবী ধর্মঘটের ঘটনা।
ধর্মঘটের কারণে গতকাল সরকারি অনুদানে পরিচালিত তিন-চতুর্থাংশ স্কুল বন্ধ ছিল। কর্মী না থাকায় ভেঙে পড়ে চিকিৎসাব্যবস্থা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুপস্থিতিতে স্থবির হয়ে যায় স্থানীয় অফিসের কার্যক্রম। দুই-তৃতীয়াংশ কর্মকর্তা কাজে যোগ না দেওয়ায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে বিমান চলাচলেও বড় রকমের হেরফের ঘটে।
গত মঙ্গলবার ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী জর্জ ওসবর্ন সরকারি কর্মজীবীদের বেতন কমানো এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ কর্মচারীরা ধর্মঘটের ডাক দেয়।
সরকারি কর্মচারী, কাউন্সিলের কর্মী ও শিক্ষকদের দাবি, চাকরির বয়সসীমা ৬৭ বছর পর্যন্ত করতে হবে। পাশাপাশি বাড়াতে হবে অবসরভাতা। বড়দিনের আগেই দাবি বাস্তবায়নের দাবি করেছেন তাঁরা। তবে কর্মজীবীদের এ কর্মসূচিকে ব্রিটিশ সরকার 'অবাস্তব ও অনৈতিক' বলে অভিহিত করেছে।
ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ওসবর্ন বলেছেন, 'ধর্মঘট দিয়ে কোনো কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। এর মাধ্যমে কোনো কিছু পরিবর্তন করাও সম্ভব নয়। তাদের এ কর্মসূচি আমাদের অর্থনীতিকে আরো দুর্বল করে দেবে। এর ফলে কেউ কেউ চাকরি হারাতে পারেন। কাজেই আলোচনার টেবিলে ফিরে আসুন। জনগণের জন্য উপকারী অবসর ভাতা নীতি নিয়ে কথা বলুন। যে নীতি পরবর্তী সময়ে সরকার ও দেশের কর প্রদানকারীদের সহায়তা করবে।'
ধর্মঘটের কারণে ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন জোট বিপাকে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনিতেই ক্রমেই দুর্বল হতে থাকা অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে জোট সরকার চাপের মধ্যে আছে।
ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের (টিইউসি) সাধারণ সম্পাদক ব্রেনডান বারবার বলেন, 'সব সময় সরকারের অবহেলার শিকার সরকারি কর্মজীবীরা। কাজেই আমাদের ধর্মঘট কর্মসূচি সম্পূর্ণ বৈধ। পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে মানুষ প্রতিবাদ করতে বাধ্য হয়। এখন তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই জনগণ প্রতিবাদ করছে। সরকার আমাদের দিয়ে জোরপূর্বক অনেক কাজ করিয়ে নিচ্ছে। এর বদলে দিচ্ছে খুবই কম। এটা অন্যায়।'
কর্মচারীদের ইউনিয়নের নেতা ডেভিড প্রেনটিস বলেন, 'সরকার ঘোষিত অবসরভাতার বিরূপ প্রভাব পড়বে স্বল্প আয়ের কর্মী, বিশেষ করে নারী কর্মীদের ওপর। এ কারণে সবাই ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছেন।'
লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ড বলেন, 'ধর্মঘটের কারণে যাঁরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। যেসব সেবিকা, শিক্ষক ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন তাদের কোনো দোষ দিচ্ছি না। কারণ নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে তাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা ছিল না। সরকারকেই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
গত মঙ্গলবার ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী জর্জ ওসবর্ন সরকারি কর্মজীবীদের বেতন কমানো এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ কর্মচারীরা ধর্মঘটের ডাক দেয়।
সরকারি কর্মচারী, কাউন্সিলের কর্মী ও শিক্ষকদের দাবি, চাকরির বয়সসীমা ৬৭ বছর পর্যন্ত করতে হবে। পাশাপাশি বাড়াতে হবে অবসরভাতা। বড়দিনের আগেই দাবি বাস্তবায়নের দাবি করেছেন তাঁরা। তবে কর্মজীবীদের এ কর্মসূচিকে ব্রিটিশ সরকার 'অবাস্তব ও অনৈতিক' বলে অভিহিত করেছে।
ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ওসবর্ন বলেছেন, 'ধর্মঘট দিয়ে কোনো কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। এর মাধ্যমে কোনো কিছু পরিবর্তন করাও সম্ভব নয়। তাদের এ কর্মসূচি আমাদের অর্থনীতিকে আরো দুর্বল করে দেবে। এর ফলে কেউ কেউ চাকরি হারাতে পারেন। কাজেই আলোচনার টেবিলে ফিরে আসুন। জনগণের জন্য উপকারী অবসর ভাতা নীতি নিয়ে কথা বলুন। যে নীতি পরবর্তী সময়ে সরকার ও দেশের কর প্রদানকারীদের সহায়তা করবে।'
ধর্মঘটের কারণে ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন জোট বিপাকে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনিতেই ক্রমেই দুর্বল হতে থাকা অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে জোট সরকার চাপের মধ্যে আছে।
ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের (টিইউসি) সাধারণ সম্পাদক ব্রেনডান বারবার বলেন, 'সব সময় সরকারের অবহেলার শিকার সরকারি কর্মজীবীরা। কাজেই আমাদের ধর্মঘট কর্মসূচি সম্পূর্ণ বৈধ। পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে মানুষ প্রতিবাদ করতে বাধ্য হয়। এখন তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই জনগণ প্রতিবাদ করছে। সরকার আমাদের দিয়ে জোরপূর্বক অনেক কাজ করিয়ে নিচ্ছে। এর বদলে দিচ্ছে খুবই কম। এটা অন্যায়।'
কর্মচারীদের ইউনিয়নের নেতা ডেভিড প্রেনটিস বলেন, 'সরকার ঘোষিত অবসরভাতার বিরূপ প্রভাব পড়বে স্বল্প আয়ের কর্মী, বিশেষ করে নারী কর্মীদের ওপর। এ কারণে সবাই ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছেন।'
লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ড বলেন, 'ধর্মঘটের কারণে যাঁরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। যেসব সেবিকা, শিক্ষক ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন তাদের কোনো দোষ দিচ্ছি না। কারণ নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে তাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা ছিল না। সরকারকেই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments