বিনোদিনী' ও 'রক্তকরবী'-দুই শতকের গল্প by গোলাম রাব্বানী
৩০ নভেম্বর জাতীয় নাট্যশালায় হয়ে গেল নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের প্রযোজনা 'রক্তকরবী'র শততম মঞ্চায়ন। আগামীকাল একই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা থিয়েটারের প্রযোজনা 'বিনোদিনী'র শততম মঞ্চায়ন। ঢাকার মঞ্চের আলোচিত এই দুই নাটক নিয়ে এবারকার প্রচ্ছদ প্রতিবেদন লিখেছেন গোলাম রাব্বানীজীবন তো একটা ম্যাজিক মাত্র। আর এক জীবনে মানুষ কত রকমই না জাদুমন্ত্র দেখে। মানুষ তার সৃষ্টিকেই একসময় জাদুময় করে তোলে তার প্রেমের
আঙুলের স্পর্শে_যেমন করে ঢাকার মঞ্চের দুই জাদুকরী সৃষ্টি 'রক্তকরবী' আর 'বিনোদিনী'। ২০০১ সালের ৩০ নভেম্বর আতাউর রহমানের নির্দেশনায় নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় মঞ্চে আনে রবীন্দ্রনাথের 'রক্তকরবী'। প্রথম শো হয়েছিল মহিলা সমিতি মিলনায়তনে। 'নন্দিনী' চরিত্রে অপি করিম, 'বিষু' চরিত্রে খালেদ খান আর 'রাজা' চরিত্রে আতাউর রহমানের অভিনয় যেন এক ভিন্ন জাদু যোগ করেছিল 'রক্তকরবী' নাটকে। এগুলো তো দিন-তারিখের হিসাবের কথা। অনেক কথাই আবার বেহিসাবেই থেকে যায়। এই নাটকে নন্দিনী চরিত্রে টানা ৯১টি শো করেন অপি করিম। ঢাকার নন্দিনী হিসেবেই মানুষ তাঁকে চিনতে শুরু করে। আর এই 'নন্দিনী' চরিত্র যে অপিকে ঠকায়নি, সেই কথা শোনা যাক তাঁর মুখ থেকেই_'নন্দিনী আমার অভিনয় জীবনের সেরা প্রাপ্তি। এই চরিত্রটি আমার কতটা প্রিয়, তা বলে বোঝাতে পারব না। শততম মঞ্চায়নে থাকতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।' ৯২ থেকে ৯৯ শো পর্যন্ত 'রক্তকরবী' নাটকে 'নন্দিনী' চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের আরেক সদস্য কাকলী। অপি জার্মানি চলে যাওয়ায় বাকি শোগুলোতে হাজির থাকতে পারেননি। মজার বিষয় হচ্ছে, এই নাটকের ৯৯টি শো পর্যন্ত ছিলেন লুৎফর রহমান জর্জ। কিন্তু দেশের বাইরে থাকায় শততম মঞ্চায়নে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। ২০০৮ সালে 'রক্তকরবী' কায়রো উৎসবে যায়। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে শুধু সিলেট আর চট্টগ্রামে ২০০৩ সালে নাটকটির মঞ্চায়ন হয়। ৩০ নভেম্বর শুধু 'রক্তকরবী'র শততম মঞ্চায়নই হয়নি, নাটকটির বয়সও ১০-এর কোঠায় পড়েছে সেদিন। এ সম্পর্কে আতাউর রহমান বলেন, '১০ বছর সময় লাগল নাটকটির শততম মঞ্চায়ন হতে। মাঝে কিছু সমস্যার কারণে আমরা নাটকটি নিয়মিত মঞ্চে আনতে পারিনি। তা না হলে আরো আগেই এর শততম মঞ্চায়ন হয়ে যেত। আমাদের ইচ্ছা আছে নাটকটির নিয়মিত শো করার। সবকিছু তো আসলে নির্ভর করে সময়ের ওপর।'
অন্যদিকে, ২০০৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থিয়েটার মঞ্চে আনে 'বিনোদনী'। শিমুল ইউসুফের একক অভিনয়ের এই নাটকটি নির্দেশনা দেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ। এর গ্রন্থনা ও গবেষণায় আছেন সাইমন জাকারিয়া। নাটকটি মঞ্চে আনার স্বল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকপ্রিয়তা পায়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগে 'বিনোদিনী'র মঞ্চায়ন হয়েছে। শততম মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায়। শততম মঞ্চায়ন উপলক্ষে আগামীকাল ২ ডিসেম্বর ঢাকা থিয়েটার এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। রয়েছে সেমিনার। সেমিনারে 'বিনোদিনী : আত্মজীবনীর মঞ্চকাব্য' শিরোনামে প্রবন্ধ পাঠ করবেন লুৎফর রহমান। বাবুল বিশ্বাস নির্মিত 'বিনোদিনী' প্রামাণ্যচিত্রটিও প্রদর্শিত হবে। তারপর রয়েছে 'বিনোদিনী'র শততম মঞ্চায়ন। যেহেতু এটা একক অভিনয়ের নাটক, সেহেতু 'রক্তকরবী'র মতো এই নাটকে শিল্পী নিয়ে কোনো ঝামেলা হয়নি। এবং খুব কম সময়ে নাটকটির শততম মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শিমুল ইউসুফ বলেন, 'ঢাকার মঞ্চের দর্শকদের ভালোবাসা নিয়েই আমরা নাটকটি এত দূর নিয়ে আসতে পেরেছি। শততমের পর থেমে থাকব না। নিয়মিত নাটকটির শো করার ইচ্ছা আছে আমার।' নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, 'প্রতিনিয়তই আমরা নাটকটিকে নতুন করে হাজির করার চেষ্টা করেছি। এত দিন যাঁরা আমাদের সঙ্গে নাটকটির সঙ্গে ভালোবাসা নিয়ে হাজির ছিলেন, আজকের শততম মঞ্চায়ন তাঁদেরই ভালোবাসার ফসল।'
একটি তথ্য জানিয়ে রাখি_এই নাটক দুটির প্রথম শো হয়েছিল মহিলা সমিতি মঞ্চে, আর শততম মঞ্চায়নও হয়েছে জাতীয় নাট্যশালার একই মঞ্চে। এটাকে জাদু না বলে কী বলা যায়, বলুন?
অন্যদিকে, ২০০৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থিয়েটার মঞ্চে আনে 'বিনোদনী'। শিমুল ইউসুফের একক অভিনয়ের এই নাটকটি নির্দেশনা দেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ। এর গ্রন্থনা ও গবেষণায় আছেন সাইমন জাকারিয়া। নাটকটি মঞ্চে আনার স্বল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকপ্রিয়তা পায়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগে 'বিনোদিনী'র মঞ্চায়ন হয়েছে। শততম মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায়। শততম মঞ্চায়ন উপলক্ষে আগামীকাল ২ ডিসেম্বর ঢাকা থিয়েটার এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। রয়েছে সেমিনার। সেমিনারে 'বিনোদিনী : আত্মজীবনীর মঞ্চকাব্য' শিরোনামে প্রবন্ধ পাঠ করবেন লুৎফর রহমান। বাবুল বিশ্বাস নির্মিত 'বিনোদিনী' প্রামাণ্যচিত্রটিও প্রদর্শিত হবে। তারপর রয়েছে 'বিনোদিনী'র শততম মঞ্চায়ন। যেহেতু এটা একক অভিনয়ের নাটক, সেহেতু 'রক্তকরবী'র মতো এই নাটকে শিল্পী নিয়ে কোনো ঝামেলা হয়নি। এবং খুব কম সময়ে নাটকটির শততম মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শিমুল ইউসুফ বলেন, 'ঢাকার মঞ্চের দর্শকদের ভালোবাসা নিয়েই আমরা নাটকটি এত দূর নিয়ে আসতে পেরেছি। শততমের পর থেমে থাকব না। নিয়মিত নাটকটির শো করার ইচ্ছা আছে আমার।' নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, 'প্রতিনিয়তই আমরা নাটকটিকে নতুন করে হাজির করার চেষ্টা করেছি। এত দিন যাঁরা আমাদের সঙ্গে নাটকটির সঙ্গে ভালোবাসা নিয়ে হাজির ছিলেন, আজকের শততম মঞ্চায়ন তাঁদেরই ভালোবাসার ফসল।'
একটি তথ্য জানিয়ে রাখি_এই নাটক দুটির প্রথম শো হয়েছিল মহিলা সমিতি মঞ্চে, আর শততম মঞ্চায়নও হয়েছে জাতীয় নাট্যশালার একই মঞ্চে। এটাকে জাদু না বলে কী বলা যায়, বলুন?
No comments