সংসদে প্রধানমন্ত্রী-দোরগোড়ায় সেবা নিয়ে যেতে ডিসিসি ভাগ করেছি
ঢাকা সিটি করপোরেশনকে (ডিসিসি) বিভক্তকরণের পক্ষে যুক্তি তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'নগরবাসীর দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে আমরা দুই ভাগ করেছি। যথেষ্ট টাকা থাকলে চার ভাগ করতাম। জনগণকে সব সুযোগ-সুবিধা দিতে ঢাকা সিটিকে আমাদের চার ভাগ করার ইচ্ছা ছিল।' একটি গোষ্ঠী সরকারের ভালো কাজে বাগড়া দিতে চায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'আমরা যে কাজটিই করি না কেন তা নেগেটিভলি
প্রচার করে জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য।'সরকারের সমালোচনাকারী বুদ্ধিজীবীদের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাঁরা কোনো দিন ভোটে নির্বাচিত হবেন না, জনগণের মুখোমুখি দাঁড়াতে পারবেন না, বাংলাদেশকে নিয়ে তাঁরা হতাশার কথা শোনান। যাঁদের দল করার কোনো ক্ষমতা নেই, কিন্তু যাওয়ার খায়েশ আছে, তাঁরাই এসব খেলা খেলতে চান।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের ১১তম অধিবেশনে ৫৫ মিনিটের সমাপনী ভাষণে টিপাইমুখ বাঁধ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিরোধীদলীয় নেত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছেন। ওই চিঠির উত্তরও এসেছে, জানতে পেরেছি। কিন্তু এই উত্তরে কী বারতা রয়েছে তা জানতে পারিনি। টিপাইমুখ জাতীয় ইস্যু। এ বিষয়ে জনগণকে জানালে ভালো হয়। উনি (খালেদা জিয়া) চুপি চুপি চিঠি লিখবেন, চুপি চুপি উত্তর পাবেন_তা হয় না। ওই চিঠিতে কী আছে তা জানি না। আশা করি, উনি সংসদে এসে চিঠির বিষয়টি জনগণকে জানাবেন।' তিনি বলেন, 'টিপাইমুখ নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। আমরা এ বিষয়ে প্রতিনিধি পাঠিয়েছি। বাংলাদেশের ক্ষতি করে কেউ কিছু করবে, এটা গ্রহণযোগ্য হবে না। এটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমরা এটা করতে দেব না।'
রোডমার্চে বিরোধীদলীয় নেত্রীর বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'উনি (খালেদা জিয়া) বলেছেন, আমার পুত্র বাইরে রয়েছে, ক্ষমতা চলে গেলে আমি বিদেশে চলে যাব। আমি ওনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই_তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন আমাকে দেশে ফিরতে বাধা দিল, তখন দেশে আসার জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছি। তখন শুনলাম, উনি বিদেশে যাওয়ার জন্য পোঁটলা-পাঁটলি নিয়ে প্রস্তুত। আমি যদি ওই সময় দেশে ফিরে না আসি তাহলে উনি চলেই যেতেন। আমি কেন বিদেশে ভাগব? আমার জন্ম বংলাদেশে। ওনার জন্ম শিলিগুড়িতে। ভাগলে উনিই ভাগবেন। বাংলাদেশের মানুষের ভরসায় দেশে এসে আমি রাজনীতি করছি।'
বিরোধীদলীয় নেত্রীর দুই ছেলের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত। চুরি করে তো লুকানো যায় না। এফবিআই পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। কোথায় লজ্জা পাওয়ার কথা, উল্টো আমাদের দোষারোপ করেন। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি করে টাকা কামাই করেছেন, সেই কালো টাকা সাদা করতে জরিমানা দিয়েছেন। এর চেয়ে লজ্জার কী আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমার সন্তানরা লেখাপড়া শিখে মানুষ হয়েছে। পৃথিবীর ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়েছে। আমি যদি জিজ্ঞাসা করি, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে টাকা নিয়ে উনার ছেলেকে কী পাস করিয়েছেন। একটা মানিলন্ডারিংয়ে মাস্টার্স করছে। আরেকজন ড্রাগে করেছে বিএ পাস।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিরোধীদলীয় নেত্রী বলেছেন বিএনপিতে যোগ দিলে সম্মানজনক পদ দেওয়া হবে। কাকে কাকে উদ্দেশ্য করে ভালো ভালো পোস্ট দেবেন বলেছেন জানি না। বিএনপির জন্ম ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট থেকে। আওয়ামী লীগের কেউ ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট নয়। মানুষ আওয়ামী লীগ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে। নীতি-আদর্শ বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগের বড় নেতা তো দূরের কথা, কোনো তৃণমূলের নেতাকে পয়সা দিয়ে কেনা যায় না। আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া চেষ্টা করেছিল, পারেনি। জিয়াউর রহমান পদের লোভ দেখিয়ে পয়সা দিয়ে দল ভাঙার চেষ্টা করেছিল, পারেনি। এরশাদ সাহেবও কম করেননি। উনার (খালেদা জিয়া) দলের দ্বারাই দলবদল সম্ভব। কারণ কোনো দলের ছাল আর কোনো দলের বাকল দিয়ে উনার দল গঠন হয়েছে। যেসব কমিউনিস্ট পচে গেছে তারা ওনার সঙ্গে গেছে। ভালো যারা ছিল আমাদের সঙ্গে এসেছেন। এখন দেওয়ার জন্য ডাকছেন। উনি কী দেবেন? উনার কী আছে যে দেবেন। উনি নিতে পারেন, দিতে পারেন না।'
বিরোধীদলীয় নেত্রীর দুটি পদ্মা সেতু নির্মাণের অঙ্গীকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বলেছেন ক্ষমতায় এলে নাকি দুটি পদ্মা সেতু বানাবেন। আগে তো ১০ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। এই সময়ে কয়টা পদ্মা সেতু বানিয়েছেন?'
ঢাকা সিটি করপোরেশন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা এবং দুই ভাগ কেন হলো_এ প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আগে আমরা বিরোধী দলে থাকতে স্থানীয় সরকার কিভাবে চলবে তা নিয়ে একটি কমিশন করেছিলাম। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর এটাকে অফিশিয়াল রূপ দিই। সিটি করপোরেশনের কাজ হচ্ছে নগরবাসীর অধিতকর সেবা নিশ্চিত করা। ঢাকা ভাগ করে ফেলা হয়েছে এ কথাটা সঠিক নয়। ঢাকা সম্প্রসারিত হচ্ছে। ১৯৫৪ সালে আমি ঢাকায় আসি। তখন ঢাকা খুব ছোট ছিল। পরে সম্প্রসারিত হতে হতে নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গীতে মিলে গেছে। সিটি করপোরেশন ছাড়াও ঢাকায় ১৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। যার প্রায় ১০০টা ওয়ার্ড। ঢাকার মধ্যে অবস্থিত ক্যান্টনমেন্ট এরিয়াও সিটির আওতায় নয়। এটা চলে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অধীনে। ঢাকা এমনিতেই বিভক্ত হয়ে আছে। আমি জানি না, কেন সবাই ঢাকা ভাগ নিয়ে উতলা হয়ে গেলেন। মূল ঢাকা সিটির মধ্যে যা ছিল, তা কিন্তু দক্ষিণ। আর সম্প্রসারিত অংশটা উত্তরে। টঙ্গী ব্রিজ থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ২০-২৫ কিলোমিটার। কী করে একজন মেয়র এত বড় একটি সিটি দেখবেন?'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা ঢাকায় ৪১টি থানা, আটটি পুলিশি জোন। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা এটা করেছি। আগে ঢাকা সিটিতে সংসদের আসন ছিল তিন কী চারটি। আর মূল ঢাকা সিটিতে ছিল একটি আসন। বাড়তে বাড়তে এখন ১৫টি আসন হয়েছে। যখন সংসদীয় আসন ১৫টি করা হলো, তখন কেউ কিছু বলেননি। তিনি বলেন, 'প্রথমে বাংলাদেশে ১৭টি জেলা ছিল। পরে হলো ১৯টি। এরপর হলো ৬৪টি। দেশে প্রথমে রাজশাহী ও ঢাকা এই দুটো বিভাগ ছিল। পরে হলো চট্টগ্রাম ও খুলনা। এরও পরে সিলেট আর বরিশাল। আর এবার আমরা করলাম রংপুর। সেবাকে বিকেন্দ্রীকরণ করাই আমাদের উদ্দেশ্য। এতে কার কী অসুবিধা হচ্ছে বলতে পারছি না।' লন্ডন, ফিলিপাইন, সিডনি ও মেলবোর্নসহ কয়েকটি শহরের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রভৃতি বড় বড় সিটিতে কয়েকটি করে সিটি করপোশেন রয়েছে।
শেয়ারবাজার নিয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমরা যে প্যাকেজ দিয়েছি তাতে শেয়ারবাজারে আর সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে বিনিয়োগকারীদের বলব, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলে লোকসানের ঝুঁকি নিতে হবে। এটাই শেয়ারবাজারের নিয়ম। শেয়ারের দাম প্রতিদিনই বাড়বে, এটা নিয়ম নয়। সিগারেটের গায়ে যেমন লেখা থাকে 'ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর', তেমনি বিশ্বের প্রতিটি শেয়ারবাজারের ক্ষেত্রেও থাকে 'বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ'। কাজের বুয়া, দিনমজুরসহ সবাই শেয়ারবাজারে। এটার আরেকটা দিক আছে আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পায় বলে তারা শেয়ারবাজারে যায়। তবে কিছু লোক কারসাজি করছে, তাদের ধরার চেষ্টা করছি।"
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের ১১তম অধিবেশনে ৫৫ মিনিটের সমাপনী ভাষণে টিপাইমুখ বাঁধ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিরোধীদলীয় নেত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছেন। ওই চিঠির উত্তরও এসেছে, জানতে পেরেছি। কিন্তু এই উত্তরে কী বারতা রয়েছে তা জানতে পারিনি। টিপাইমুখ জাতীয় ইস্যু। এ বিষয়ে জনগণকে জানালে ভালো হয়। উনি (খালেদা জিয়া) চুপি চুপি চিঠি লিখবেন, চুপি চুপি উত্তর পাবেন_তা হয় না। ওই চিঠিতে কী আছে তা জানি না। আশা করি, উনি সংসদে এসে চিঠির বিষয়টি জনগণকে জানাবেন।' তিনি বলেন, 'টিপাইমুখ নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। আমরা এ বিষয়ে প্রতিনিধি পাঠিয়েছি। বাংলাদেশের ক্ষতি করে কেউ কিছু করবে, এটা গ্রহণযোগ্য হবে না। এটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমরা এটা করতে দেব না।'
রোডমার্চে বিরোধীদলীয় নেত্রীর বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'উনি (খালেদা জিয়া) বলেছেন, আমার পুত্র বাইরে রয়েছে, ক্ষমতা চলে গেলে আমি বিদেশে চলে যাব। আমি ওনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই_তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন আমাকে দেশে ফিরতে বাধা দিল, তখন দেশে আসার জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছি। তখন শুনলাম, উনি বিদেশে যাওয়ার জন্য পোঁটলা-পাঁটলি নিয়ে প্রস্তুত। আমি যদি ওই সময় দেশে ফিরে না আসি তাহলে উনি চলেই যেতেন। আমি কেন বিদেশে ভাগব? আমার জন্ম বংলাদেশে। ওনার জন্ম শিলিগুড়িতে। ভাগলে উনিই ভাগবেন। বাংলাদেশের মানুষের ভরসায় দেশে এসে আমি রাজনীতি করছি।'
বিরোধীদলীয় নেত্রীর দুই ছেলের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত। চুরি করে তো লুকানো যায় না। এফবিআই পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। কোথায় লজ্জা পাওয়ার কথা, উল্টো আমাদের দোষারোপ করেন। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি করে টাকা কামাই করেছেন, সেই কালো টাকা সাদা করতে জরিমানা দিয়েছেন। এর চেয়ে লজ্জার কী আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমার সন্তানরা লেখাপড়া শিখে মানুষ হয়েছে। পৃথিবীর ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়েছে। আমি যদি জিজ্ঞাসা করি, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে টাকা নিয়ে উনার ছেলেকে কী পাস করিয়েছেন। একটা মানিলন্ডারিংয়ে মাস্টার্স করছে। আরেকজন ড্রাগে করেছে বিএ পাস।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিরোধীদলীয় নেত্রী বলেছেন বিএনপিতে যোগ দিলে সম্মানজনক পদ দেওয়া হবে। কাকে কাকে উদ্দেশ্য করে ভালো ভালো পোস্ট দেবেন বলেছেন জানি না। বিএনপির জন্ম ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট থেকে। আওয়ামী লীগের কেউ ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট নয়। মানুষ আওয়ামী লীগ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে। নীতি-আদর্শ বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগের বড় নেতা তো দূরের কথা, কোনো তৃণমূলের নেতাকে পয়সা দিয়ে কেনা যায় না। আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া চেষ্টা করেছিল, পারেনি। জিয়াউর রহমান পদের লোভ দেখিয়ে পয়সা দিয়ে দল ভাঙার চেষ্টা করেছিল, পারেনি। এরশাদ সাহেবও কম করেননি। উনার (খালেদা জিয়া) দলের দ্বারাই দলবদল সম্ভব। কারণ কোনো দলের ছাল আর কোনো দলের বাকল দিয়ে উনার দল গঠন হয়েছে। যেসব কমিউনিস্ট পচে গেছে তারা ওনার সঙ্গে গেছে। ভালো যারা ছিল আমাদের সঙ্গে এসেছেন। এখন দেওয়ার জন্য ডাকছেন। উনি কী দেবেন? উনার কী আছে যে দেবেন। উনি নিতে পারেন, দিতে পারেন না।'
বিরোধীদলীয় নেত্রীর দুটি পদ্মা সেতু নির্মাণের অঙ্গীকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বলেছেন ক্ষমতায় এলে নাকি দুটি পদ্মা সেতু বানাবেন। আগে তো ১০ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। এই সময়ে কয়টা পদ্মা সেতু বানিয়েছেন?'
ঢাকা সিটি করপোরেশন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা এবং দুই ভাগ কেন হলো_এ প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আগে আমরা বিরোধী দলে থাকতে স্থানীয় সরকার কিভাবে চলবে তা নিয়ে একটি কমিশন করেছিলাম। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর এটাকে অফিশিয়াল রূপ দিই। সিটি করপোরেশনের কাজ হচ্ছে নগরবাসীর অধিতকর সেবা নিশ্চিত করা। ঢাকা ভাগ করে ফেলা হয়েছে এ কথাটা সঠিক নয়। ঢাকা সম্প্রসারিত হচ্ছে। ১৯৫৪ সালে আমি ঢাকায় আসি। তখন ঢাকা খুব ছোট ছিল। পরে সম্প্রসারিত হতে হতে নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গীতে মিলে গেছে। সিটি করপোরেশন ছাড়াও ঢাকায় ১৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। যার প্রায় ১০০টা ওয়ার্ড। ঢাকার মধ্যে অবস্থিত ক্যান্টনমেন্ট এরিয়াও সিটির আওতায় নয়। এটা চলে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অধীনে। ঢাকা এমনিতেই বিভক্ত হয়ে আছে। আমি জানি না, কেন সবাই ঢাকা ভাগ নিয়ে উতলা হয়ে গেলেন। মূল ঢাকা সিটির মধ্যে যা ছিল, তা কিন্তু দক্ষিণ। আর সম্প্রসারিত অংশটা উত্তরে। টঙ্গী ব্রিজ থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ২০-২৫ কিলোমিটার। কী করে একজন মেয়র এত বড় একটি সিটি দেখবেন?'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা ঢাকায় ৪১টি থানা, আটটি পুলিশি জোন। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা এটা করেছি। আগে ঢাকা সিটিতে সংসদের আসন ছিল তিন কী চারটি। আর মূল ঢাকা সিটিতে ছিল একটি আসন। বাড়তে বাড়তে এখন ১৫টি আসন হয়েছে। যখন সংসদীয় আসন ১৫টি করা হলো, তখন কেউ কিছু বলেননি। তিনি বলেন, 'প্রথমে বাংলাদেশে ১৭টি জেলা ছিল। পরে হলো ১৯টি। এরপর হলো ৬৪টি। দেশে প্রথমে রাজশাহী ও ঢাকা এই দুটো বিভাগ ছিল। পরে হলো চট্টগ্রাম ও খুলনা। এরও পরে সিলেট আর বরিশাল। আর এবার আমরা করলাম রংপুর। সেবাকে বিকেন্দ্রীকরণ করাই আমাদের উদ্দেশ্য। এতে কার কী অসুবিধা হচ্ছে বলতে পারছি না।' লন্ডন, ফিলিপাইন, সিডনি ও মেলবোর্নসহ কয়েকটি শহরের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রভৃতি বড় বড় সিটিতে কয়েকটি করে সিটি করপোশেন রয়েছে।
শেয়ারবাজার নিয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমরা যে প্যাকেজ দিয়েছি তাতে শেয়ারবাজারে আর সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে বিনিয়োগকারীদের বলব, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলে লোকসানের ঝুঁকি নিতে হবে। এটাই শেয়ারবাজারের নিয়ম। শেয়ারের দাম প্রতিদিনই বাড়বে, এটা নিয়ম নয়। সিগারেটের গায়ে যেমন লেখা থাকে 'ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর', তেমনি বিশ্বের প্রতিটি শেয়ারবাজারের ক্ষেত্রেও থাকে 'বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ'। কাজের বুয়া, দিনমজুরসহ সবাই শেয়ারবাজারে। এটার আরেকটা দিক আছে আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পায় বলে তারা শেয়ারবাজারে যায়। তবে কিছু লোক কারসাজি করছে, তাদের ধরার চেষ্টা করছি।"
No comments