যুক্তরাজ্যে ইরানি দূতাবাস বন্ধ
ইরানের সব কূটনীতিককে দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে যুক্তরাজ্য। তেহরানে ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলার পর এ পদক্ষেপ নিল ব্রিটেন। গতকাল বুধবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ জানান, ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলার ঘটনায় ইরানের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হয়েছে এবং শিগগিরই দূতাবাস বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তেহরানে ব্রিটেনের দূতাবাসে হামলার পর গতকাল বুধবার সব কর্মীকে সরিয়ে নিয়ে তেহরানের ব্রিটিশ দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা
করেছে। কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে দূতাবাসে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তেহরানে নরওয়ের দূতাবাসও সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে নরওয়ে সরকার। ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাস খালি করার চিন্তা করছে। হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। খবর বিবিসি, এএফপি, রয়টার্সের।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে তারা দূতাবাসা থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা। এ ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি ব্রিটেন। ইউরোপের একজন কূটনীতিক জানান, ইতিমধ্যে দূতাবাস কর্মীদের প্রথম গ্রুপ দুবাইয়ে পেঁৗছেছে। নিরাপত্তার কারণে ব্রিটিশ দূতাবাস কর্মীরা ফরাসি দূতাবাসসহ বিভিন্ন দূতাবাসে রাত কাটিয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র হিল্ড স্টোইনফিল্ড জানিয়েছেন, ইরানে ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তেহরানে নরওয়ের দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা করেছে অসলো। তবে তিনি জানান, এখনও তাদের কর্মীরা তেহরানেই অবস্থান করছেন। ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিবাদে মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের দূতাবাস চত্বরে মিছিল করে ভেতরে ঢুকে জানালা ভাংচুর করে বিক্ষোভকারীরা। যুক্তরাজ্যের পতাকা পুড়িয়ে সে জায়গায় ইরানের পতাকাও টানিয়ে দেয় তারা। হামলার সময় বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসের ছয় কর্মকর্তাকে কিছু সময়ের জন্য আটকে রেখেছিল বলে অসমর্থিত সূত্রের এক খবরে জানা গেছে।
দূতাবাসে বিক্ষোভকারীদের হামলাকে ভয়ঙ্কর বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্য। এর ফলাফল 'গুরুতর' হতে পারে বলেও হুশিয়ারি জানিয়েছে তারা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, এ ঘটনার প্রভাব হবে গুরুতর। তিনি এ হামলাকে জঘন্য ও অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন। ব্রিটিশ কর্মকর্তা ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে তেহরানের ব্যর্থতাকে লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন ক্যামেরন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও 'কঠোরতম ভাষায়' এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরানকে এ ঘটনার দায় স্বীকার করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকি ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়াও এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে। তবে দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার আলি লারিজানি বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া অতিরঞ্জিত ও অতিদ্রুত বলে উল্লেখ করেছেন। ইরানের পারমাণবিক শক্তি প্রকল্প নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইরানের টানাপড়েনের মধ্যে তেহরানে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসে হামলার এ ঘটনা ঘটল। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিরোধে গত সপ্তাহে দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য। এর আওতায় ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা নিষিদ্ধ করা হয়। এর পরপরই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করতে রোববার ইরানের পার্লামেন্টে ভোট হয়। উল্লেখ্য, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার-সংক্রান্ত একটি আইন ইরানের পার্লামেন্টে পাস হওয়ার এক দিনের মাথায় দূতাবাসে ওই হামলার ঘটনা ঘট
ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে তারা দূতাবাসা থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা। এ ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি ব্রিটেন। ইউরোপের একজন কূটনীতিক জানান, ইতিমধ্যে দূতাবাস কর্মীদের প্রথম গ্রুপ দুবাইয়ে পেঁৗছেছে। নিরাপত্তার কারণে ব্রিটিশ দূতাবাস কর্মীরা ফরাসি দূতাবাসসহ বিভিন্ন দূতাবাসে রাত কাটিয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র হিল্ড স্টোইনফিল্ড জানিয়েছেন, ইরানে ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তেহরানে নরওয়ের দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা করেছে অসলো। তবে তিনি জানান, এখনও তাদের কর্মীরা তেহরানেই অবস্থান করছেন। ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিবাদে মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের দূতাবাস চত্বরে মিছিল করে ভেতরে ঢুকে জানালা ভাংচুর করে বিক্ষোভকারীরা। যুক্তরাজ্যের পতাকা পুড়িয়ে সে জায়গায় ইরানের পতাকাও টানিয়ে দেয় তারা। হামলার সময় বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসের ছয় কর্মকর্তাকে কিছু সময়ের জন্য আটকে রেখেছিল বলে অসমর্থিত সূত্রের এক খবরে জানা গেছে।
দূতাবাসে বিক্ষোভকারীদের হামলাকে ভয়ঙ্কর বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্য। এর ফলাফল 'গুরুতর' হতে পারে বলেও হুশিয়ারি জানিয়েছে তারা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, এ ঘটনার প্রভাব হবে গুরুতর। তিনি এ হামলাকে জঘন্য ও অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন। ব্রিটিশ কর্মকর্তা ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে তেহরানের ব্যর্থতাকে লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন ক্যামেরন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও 'কঠোরতম ভাষায়' এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরানকে এ ঘটনার দায় স্বীকার করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকি ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়াও এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে। তবে দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার আলি লারিজানি বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া অতিরঞ্জিত ও অতিদ্রুত বলে উল্লেখ করেছেন। ইরানের পারমাণবিক শক্তি প্রকল্প নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইরানের টানাপড়েনের মধ্যে তেহরানে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসে হামলার এ ঘটনা ঘটল। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিরোধে গত সপ্তাহে দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য। এর আওতায় ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা নিষিদ্ধ করা হয়। এর পরপরই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করতে রোববার ইরানের পার্লামেন্টে ভোট হয়। উল্লেখ্য, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার-সংক্রান্ত একটি আইন ইরানের পার্লামেন্টে পাস হওয়ার এক দিনের মাথায় দূতাবাসে ওই হামলার ঘটনা ঘট
No comments