ঐতিহাসিক সফরে হিলারি মিয়ানমারে
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন দুই দিনের সফরে গতকাল বুধবার মিয়ানমারে পেঁৗছেছেন। ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে মিয়ানমারে কোনো উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন সরকারি কর্মকর্তার এটিই প্রথম সফর। হিলারি বলেছেন, তাঁর এ সফরের উদ্দেশ্য বেসামরিকীকরণের পথে মিয়ানমার সরকারের গৃহীত 'সংস্কার কর্মসূচি'কে উৎসাহ দেওয়া। বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন দেশগুলোর অন্যতম এ দেশের সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্ক আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন
করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।তবে চীন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, তাদের বন্ধুরাষ্ট্র মিয়ানমারের স্বার্থ কোনোভাবে ক্ষুণ্ন হলে তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। দেশটির সরকারি মালিকানাধীন দৈনিক পত্রিকা গ্লোবাল টাইমসে গতকাল এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'পশ্চিমাদের সঙ্গে যদি মিয়ানমার সম্পর্ক জোরদার করতে চায়, তবে তাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যেখানে মিয়ানমারের স্বার্থরক্ষা হবে না_এমন পরিস্থিতি মেনে নেওয়া হবে না।'
গতকাল বিকেলে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোর একটি বিমানবন্দরে পেঁৗছান হিলারি। উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মিও মিইন্ত তাঁকে স্বাগত জানান। দুই দিনের এ সফরে হিলারি দেশটির প্রেসিডেন্ট সাবেক জেনারেল থেইন সেইন, মন্ত্রিপরিষদ এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে দেখা করবেন। আজ বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার কথা।
দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি সম্মেলনে যোগদান শেষে গতকাল মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা হন হিলারি। যাত্রার আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদিকদের বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় উত্তরণের লক্ষ্যে মিয়ানমার সরকারের গৃহীত সংস্কার কর্মসূচি 'বৃহত্তর পরিবর্তনের' দ্বার উন্মুক্ত করবে_এ ব্যাপারে তিনি 'পুরোমাত্রায় আশাবাদী'। হিলারি বলেন, 'রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উভয় ক্ষেত্রে চলমান সংস্কার কর্মসূচির ব্যাপারে মিয়ানমারের সরকারের মনোভাবের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত হতে চাই।' পাশাপাশি রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে মিয়ানমার সরকারকে চাপ দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
তবে মিয়ানমারের ওপর আরোপিত মার্কিন অবরোধ প্রত্যাহারের ব্যাপারে হিলারি কোনো ঘোষণা দেবেন না তাঁর এ সফরে। ওবামা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ কথা নিশ্চিত করেছেন। অবরোধ প্রত্যাহারের ব্যাপারটি কার্যকর করতে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন। মিয়ানমারের ওপর বলবৎ থাকা অবরোধ প্রত্যাহারের প্রশ্নে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে তাঁরা জানান। তবে মার্কিন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধির কোনো সফর কোনো ঘোষণা ছাড়াই শেষ হয়েছে, এমন নজির সাধারণত দেখা যায় না। তাই আশা করা হচ্ছে, হিলারির সফর থেকে আকস্মিক কোনো ঘোষণা আসতেও পারে। সূত্র : এএফপি।
গতকাল বিকেলে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোর একটি বিমানবন্দরে পেঁৗছান হিলারি। উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মিও মিইন্ত তাঁকে স্বাগত জানান। দুই দিনের এ সফরে হিলারি দেশটির প্রেসিডেন্ট সাবেক জেনারেল থেইন সেইন, মন্ত্রিপরিষদ এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে দেখা করবেন। আজ বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার কথা।
দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি সম্মেলনে যোগদান শেষে গতকাল মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা হন হিলারি। যাত্রার আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদিকদের বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় উত্তরণের লক্ষ্যে মিয়ানমার সরকারের গৃহীত সংস্কার কর্মসূচি 'বৃহত্তর পরিবর্তনের' দ্বার উন্মুক্ত করবে_এ ব্যাপারে তিনি 'পুরোমাত্রায় আশাবাদী'। হিলারি বলেন, 'রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উভয় ক্ষেত্রে চলমান সংস্কার কর্মসূচির ব্যাপারে মিয়ানমারের সরকারের মনোভাবের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত হতে চাই।' পাশাপাশি রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে মিয়ানমার সরকারকে চাপ দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
তবে মিয়ানমারের ওপর আরোপিত মার্কিন অবরোধ প্রত্যাহারের ব্যাপারে হিলারি কোনো ঘোষণা দেবেন না তাঁর এ সফরে। ওবামা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ কথা নিশ্চিত করেছেন। অবরোধ প্রত্যাহারের ব্যাপারটি কার্যকর করতে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন। মিয়ানমারের ওপর বলবৎ থাকা অবরোধ প্রত্যাহারের প্রশ্নে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে তাঁরা জানান। তবে মার্কিন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধির কোনো সফর কোনো ঘোষণা ছাড়াই শেষ হয়েছে, এমন নজির সাধারণত দেখা যায় না। তাই আশা করা হচ্ছে, হিলারির সফর থেকে আকস্মিক কোনো ঘোষণা আসতেও পারে। সূত্র : এএফপি।
No comments