পড়ার বিষয়-ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং by ফারজানা আক্তার
বর্তমান সময়ে গ্র্যাজুয়েশনে ৪ বছরের কোর্স শেষ করতে সময় লাগে কমপক্ষে ৬-৭ বছর। কিন্তু কর্মমুখী শিক্ষায় আপনি ১-২ বছরের একটি কোর্স করে গড়ে নিতে পারেন আপনার স্বপ্নের ভবিষ্যৎ। অন্যের অধীনে চাকরি না করেও গড়ে তুলতে পারেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার কিংবা চার্টার্ড অ্যাকাউন্টদের মতো স্বতন্ত্র সেবাধর্মী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আবার কর্মমুখী বিষয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ত্ত করতে পারেন। কারণ এ ধরনের কর্মমুখী শিক্ষায় অধ্যয়নরত অবস্থাতেই
আপনি পাবেন আয় করার সুযোগ। এসব কর্মমুখী শিক্ষার মধ্যে বর্তমান সময়ে চাকরির বাজারে এগিয়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইন ও গ্রাফিক্স ডিজাইনিং।
আধুনিক স্থাপনার অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য বর্ধনে প্রধান ভূমিকা রাখছেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা। অফিস কিংবা বাসার অন্দরসজ্জার ব্যাপারে সবারই আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের কর্মক্ষেত্রের সুযোগ এখন আগের তুলনায় সারা বিশ্বেই অনেক গুণ বেশি। একটি প্রতিষ্ঠানের অন্দরমহলের সাজসজ্জা বৃদ্ধিতে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের চাহিদা বুঝতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন যে কেউই। আবার বিবিএ, এমবিএ, অনার্স কিংবা গ্র্যাজুয়েশন করার পাশাপাশি ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ওপর শর্ট বা লং কোর্স করেও গড়তে পারেন স্বতন্ত্র কর্মসংস্থান।
বাংলাদেশে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের চাহিদা সম্পর্কে কথা হয় ঢাকার ধানমণ্ডিতে অবস্থিত এনআইডির চেয়ারম্যান শারমীন আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের চাহিদা এখন বিশ্বব্যাপী। এর মূল কারণ একটি নতুন ভবন যখন তৈরি হয়, সে ভবনে অফিস কিংবা বাসা যাই হোক না কেন, ব্যবহারকারীরা চাইবেন সেটিকে নিজের চাহিদামতো সাজাতে। একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ছাড়া তা কখনই সম্ভব নয়। একথাটা এখন সব রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানই বুঝতে শুরু করেছে। তাই প্রায় সব রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানই ইন্টেরিয়র ডিজাইনার নিয়োগ দিচ্ছে। আবার কেউ কেউ স্বতস্ত্র কোনো ইন্টেরিয়র ডিজাইনারকে চুক্তিতে কাজের দায়িত্ব দিচ্ছে। সুতরাং, একথা নিদ্বর্িধায় বলা যায়_ অদূর ভবিষ্যতে নয়, এখনই এ দেশে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের চাহিদা তৈরি হয়েছে। দিন দিন এ চাহিদা বাড়ছে।'
এ ছাড়াও বাড়ছে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বড় বড় কোম্পানিগুলোয় আকর্ষণীয় ডিজাইন তৈরিতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের বিকল্প নেই। সুতরাং সৃষ্টিশীল এ বিষয়েও গড়তে পারবেন নিশ্চিত ক্যারিয়ার।
মারুফ চৌধুরী বলেন, 'ক্রিয়েটিভ সেক্টরে কাজ করার আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, আপনি কাজ করবেন, অর্থ আয় করবেন; কিন্তু কারও অধীনে থাকতে হবে না।' ইন্টেরিয়র, গ্রাফিক্স বা ফ্যাশন ডিজাইনিং এগুলো ক্রিয়েটিভ পেশা। এসব পেশায় শিক্ষার্থীকে অনেক মেধাবী হতে হবে এমনটাও ঠিক নয়। মারুফ চৌধুরী বলেন, 'ক্রিয়েটিভ কাজের জন্য অনেক মেধা দরকার_ এ কথাটি পুরোপুরি ঠিক নয়। এটা হাতে-কলমে বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়। তাই বলব, এ ধরনের স্টুডেন্টদের জন্য ইনস্টিটিউটগুলোর উচিত একটু বাড়তি যত্ন নেওয়া। স্টুডেন্টদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে এ কাজটিই এনআইডি করে থাকে। আমি বলব, আগ্রহ থাকলে তুলনামূলক স্বল্প মেধাবী শিক্ষার্থীরাও ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।'
বর্তমানে এনআইডিতে ফ্যাশন ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিংসহ বিভিন্ন বিষয়ের ছয় মাস ও এক বছরের কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সার্টিফিকেট পাওয়ার সুযোগ ছাড়াও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সুযোগ রয়েছে এনআইডিতে। এ ছাড়া কোর্স শেষে বিভিন্ন জায়গায় ইন্টার্নি এবং চাকরি পেতে সহযোগিতা করে থাকে এনআইডি কর্তৃপক্ষ। এনআইডি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ : এনআইডি ক্যাম্পাস, ৩৮/১ রোড-২, ধানমণ্ডি , (রাইফেলস স্কয়ারের সামনে), ঢাকা।
ফোন : ৯৬১১৭৬৫, ০১৭১৫৭৬৩৯০৮, । www.nid-info.com
আধুনিক স্থাপনার অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য বর্ধনে প্রধান ভূমিকা রাখছেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা। অফিস কিংবা বাসার অন্দরসজ্জার ব্যাপারে সবারই আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের কর্মক্ষেত্রের সুযোগ এখন আগের তুলনায় সারা বিশ্বেই অনেক গুণ বেশি। একটি প্রতিষ্ঠানের অন্দরমহলের সাজসজ্জা বৃদ্ধিতে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের চাহিদা বুঝতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন যে কেউই। আবার বিবিএ, এমবিএ, অনার্স কিংবা গ্র্যাজুয়েশন করার পাশাপাশি ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ওপর শর্ট বা লং কোর্স করেও গড়তে পারেন স্বতন্ত্র কর্মসংস্থান।
বাংলাদেশে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের চাহিদা সম্পর্কে কথা হয় ঢাকার ধানমণ্ডিতে অবস্থিত এনআইডির চেয়ারম্যান শারমীন আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের চাহিদা এখন বিশ্বব্যাপী। এর মূল কারণ একটি নতুন ভবন যখন তৈরি হয়, সে ভবনে অফিস কিংবা বাসা যাই হোক না কেন, ব্যবহারকারীরা চাইবেন সেটিকে নিজের চাহিদামতো সাজাতে। একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ছাড়া তা কখনই সম্ভব নয়। একথাটা এখন সব রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানই বুঝতে শুরু করেছে। তাই প্রায় সব রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানই ইন্টেরিয়র ডিজাইনার নিয়োগ দিচ্ছে। আবার কেউ কেউ স্বতস্ত্র কোনো ইন্টেরিয়র ডিজাইনারকে চুক্তিতে কাজের দায়িত্ব দিচ্ছে। সুতরাং, একথা নিদ্বর্িধায় বলা যায়_ অদূর ভবিষ্যতে নয়, এখনই এ দেশে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের চাহিদা তৈরি হয়েছে। দিন দিন এ চাহিদা বাড়ছে।'
এ ছাড়াও বাড়ছে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বড় বড় কোম্পানিগুলোয় আকর্ষণীয় ডিজাইন তৈরিতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের বিকল্প নেই। সুতরাং সৃষ্টিশীল এ বিষয়েও গড়তে পারবেন নিশ্চিত ক্যারিয়ার।
মারুফ চৌধুরী বলেন, 'ক্রিয়েটিভ সেক্টরে কাজ করার আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, আপনি কাজ করবেন, অর্থ আয় করবেন; কিন্তু কারও অধীনে থাকতে হবে না।' ইন্টেরিয়র, গ্রাফিক্স বা ফ্যাশন ডিজাইনিং এগুলো ক্রিয়েটিভ পেশা। এসব পেশায় শিক্ষার্থীকে অনেক মেধাবী হতে হবে এমনটাও ঠিক নয়। মারুফ চৌধুরী বলেন, 'ক্রিয়েটিভ কাজের জন্য অনেক মেধা দরকার_ এ কথাটি পুরোপুরি ঠিক নয়। এটা হাতে-কলমে বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়। তাই বলব, এ ধরনের স্টুডেন্টদের জন্য ইনস্টিটিউটগুলোর উচিত একটু বাড়তি যত্ন নেওয়া। স্টুডেন্টদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে এ কাজটিই এনআইডি করে থাকে। আমি বলব, আগ্রহ থাকলে তুলনামূলক স্বল্প মেধাবী শিক্ষার্থীরাও ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।'
বর্তমানে এনআইডিতে ফ্যাশন ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিংসহ বিভিন্ন বিষয়ের ছয় মাস ও এক বছরের কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সার্টিফিকেট পাওয়ার সুযোগ ছাড়াও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সুযোগ রয়েছে এনআইডিতে। এ ছাড়া কোর্স শেষে বিভিন্ন জায়গায় ইন্টার্নি এবং চাকরি পেতে সহযোগিতা করে থাকে এনআইডি কর্তৃপক্ষ। এনআইডি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ : এনআইডি ক্যাম্পাস, ৩৮/১ রোড-২, ধানমণ্ডি , (রাইফেলস স্কয়ারের সামনে), ঢাকা।
ফোন : ৯৬১১৭৬৫, ০১৭১৫৭৬৩৯০৮, । www.nid-info.com
No comments