শুটিং স্পট-শুভ দৃষ্টিটা সেরে নিলেন বাপ্পী-মাহী by শ্রাবণী হালদার

০০ জনের একটি ইউনিট নিয়ে সম্প্রতি হোতাপাড়ায় 'এবারের সংগ্রাম' ছবির শুটিং করলেন পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর। শুটিংয়ে সোহেল রানা, বাপ্পী, মাহীসহ আরো প্রায় ৮০ জনের মতো নৃত্যশিল্পী ও মডেল অংশ নিয়েছিলেন। স্পট ঘুরে লিখেছেন শ্রাবণী হালদারহোতাপাড়ার খতিব খামারবাড়ি শুটিং স্পট। বাইরে থেকে লাল-নীল হরেক রকম আলোর ভেলকিবাজি চোখে পড়ল। ভেতরে ঢুকে দেখা গেল এক কোনায় চলছে রান্নাবান্নার আয়োজন।


ঢাকার খুব নামকরা একজন রাঁধুনিও আছেন এখানে। তাঁর তত্ত্বাবধানেই এক হাজার অতিথির রান্না হচ্ছে। একটু পরপর অভিনেতা সোহেল রানা আসছেন সেখানে। রাঁধুনির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ করছেন। অতিথিদের তদারকিও করছেন তিনি। কিন্তু কেন? খোঁজ নিয়ে জানা গেল, আজ নাকি তাঁর একমাত্র ছেলের বিয়ে। দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা দাওয়াত পেয়েছেন। একটু পরে কাজি এলেই শুরু হবে বিয়ে। কিন্তু এরই মধ্যে দেখা গেল ৫০ জনের মতো একটি নৃত্যশিল্পীর দল রেস্ট হাউসের ভেতর থেকে বের হচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে আরো ৩০ জনের মতো মডেল। তাঁরা সবাই বিভিন্ন নৃত্য একাডেমী ও বিজ্ঞাপন সংস্থা থেকে এসেছেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচ-গান করে আমন্ত্রিত অতিথিদের মনোরঞ্জন করার জন্যই তাঁদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবরের কণ্ঠ শোনা গেল। তিনিও রেস্ট হাউস থেকে বের হলেন। সঙ্গে প্রযোজক, চিত্রগ্রাহক, লাইটম্যান, নৃত্যপরিচালক থেকে শুরু করে আরো ১০-১২ জন আছেন। আকবর চিত্রগ্রাহক মনিরকে কয়েকটি অ্যাঙ্গেল থেকে ক্যামেরা ধরার কথা বললেন। মনির সেগুলো বুঝে নিলেন। লাইটম্যানও কোথায় কতটুকু আলো ফেলতে হবে পরিচালকের কাছ থেকে তা শুনে নিলেন। প্রযোজক বললেন, 'এখন তাহলে শুটিংটা শুরু করা যাক, রাত তো অনেক হলো। তা ছাড়া হাজার হোক বিয়েরও তো একটা লগ্ন আছে, নাকি?' পুরো ইউনিট প্রযোজকের এমন কথায় হো হো করে হেসে উঠল। পরিচালক দ্রুত ছবির নায়ক-নায়িকা বাপ্পী ও মাহীকে ডাকতে পাঠালেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁরাও এলেন। দেখে মনে হলো দুজনের চোখে-মুখে উৎসবের আমেজ লেগে আছে। তাঁরা বেশ সেজেছেনও। তা ছাড়া আজ নাকি বিয়ে হচ্ছে মাহীর ভাইয়ের। তার মানে মাহীও সোহেল রানার মেয়ে। পরিচালক ওদের দুজনের কাছে এসে বললেন, 'শোনো, এখন যে গানটির চিত্রায়ণ হবে সেটি কিন্তু এই ছবির টার্নিং পয়েন্ট। এই গানের মাধ্যমেই তোমাদের দুজনের মধ্যে প্রেম হবে এবং সেই প্রেমের পরিণতিই কিন্তু ছবির গল্প।' পরিচালকের কথায় দুজনই মুচকি হাসলেন। শুরু হলো চিত্রায়ণের পালা। নৃত্যপরিচালক কালু এসে মুদ্রাগুলো দেখিয়ে দিলেন। সবাই সেটি বুঝে নেওয়ার পর মাইকে গান বেজে উঠল।
'বিয়ের ঢোল বাজে রে' এমন কথার গানটির সঙ্গে প্রায় ১০০ জনের মতো একটি দল নাচতে শুরু করল। সবার চোখ যখন বর ও কনের দিকে, বাপ্পী আর মাহী তখন নিজেদের মধ্যে শুভ দৃষ্টিটা সেরে নিলেন। কেউ সেটা দেখতে না পেলেও সোহেল রানার চোখ এড়াল না। গান শেষ হতে না হতেই তিনি মেয়েকে টানতে টানতে রেস্ট হাউসের ভেতরে নিয়ে গেলেন। শুরু হলো নাটকীয়তা। কিন্তু ততক্ষণে রাত বাজে ৩টা। পরিচালক বললেন, আজ থাক। বাকিটুকু কালই চিত্রায়ণ করা যাবে।

No comments

Powered by Blogger.