২৫ হাজার শিল্প-কারখানার নিরাপত্তা-নারায়ণগঞ্জে শুরু হচ্ছে শিল্প পুলিশের কার্যক্রম by দিলীপ কুমার মণ্ডল,
শিল্পপ্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা বিধান, মালিক-শ্রমিক সমন্বয় সাধন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জের প্রায় ২৫ হাজার শিল্প-কারখানার জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের (শিল্প পুলিশ) কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৪ নামে এ সংস্থাটি ইতিমধ্যে অনানুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করলেও আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ
কার্যালয় সূত্র।সূত্রমতে, শিল্প ও বন্দরনগরী নারায়ণগঞ্জে ব্যবসা-বাণিজ্যের ইতিহাস অতি প্রসিদ্ধ। পাট ও সুতা শিল্প দিয়ে এর যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তী সময়ে হোসিয়ারি ও জাহাজ শিল্প এ জেলায় গড়ে ওঠে, এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী। তবে এরও আগে ছিল বিশ্বখ্যাত মসলিন, যা বিলুপ্ত হয়ে এখন জামদানি নামে টিকে আছে। ব্যবসায়ীদের মতে, প্রাচ্যের ডান্ডি নামে খ্যাত নারায়ণগঞ্জে পাট শিল্পের প্রায় বিলুপ্তি ঘটলেও এখানে নতুন করে গড়ে উঠেছে গার্মেন্ট শিল্প। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে আটা, ময়দা, গম, লবণ, বেকারি, কেমিক্যাল, সুতা, পাওয়ারলুম, পাট, হোসিয়ারি, গার্মেন্টস, জাহাজ, সিমেন্ট, বিদ্যুৎ, রি- রোলিং, চুনা পাথর, ইট, ওষুধ, তেল ডিপোসহ প্রায় ২৫ হাজার শিল্প-কারখানা।
ব্যবসায়ী সংগঠন ও চেম্বার অব কমার্স সূত্রে জানা গেছে, এসব কারখানায় কর্মরত রয়েছেন ২০ লক্ষাধিক শ্রমিক। এসব কল-কারখানায় কোনো না কোনো ইস্যুতে মালিক-শ্রমিক অসন্তোষের কারণে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মালিকপক্ষ তেমনি শ্রমিকরাও। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরী, আদমজী ইপিজেড, কাচপুর, রূপগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে দেড় হাজারেরও বেশি গার্মেন্ট শিল্প। এ ছাড়া শহরের নয়ামাটি, উকিল পাড়া, টানবাজার, দেওভোগ এলাকায় রয়েছে তিন হাজারের মতো হোসিয়ারি। নিতাইগঞ্জ এলাকা গম, আটা, লবণ, ময়দা ও চিনি ব্যবসার জন্য প্রসিদ্ধ। টানবাজার এলাকায় রয়েছে সুতা ও কেমিক্যাল শিল্প। সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা এলাকায় গড়ে উঠেছে রি-রোলিং, ইট, চুনাপাথর শিল্প। রূপগঞ্জ আড়াইহাজার উপজেলায় আছে সহস্রাধিক জামদানি ও পাওয়ারলুম কারখানা। এ ছাড়া বন্দর, সোনারগাঁ উপজেলায় রয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন জাহাজ ও বিদ্যুৎ শিল্প।
বিকেএমইএ ও বিজেএমইএ সূত্রমতে, ফতুল্লার বিসিক ও আশপাশ এলাকা, আদমজী এবং কাচপুর শিল্পাঞ্চলে রয়েছে সহস্রাধিক গার্মেন্টস। এসব গার্মেন্টে আট লক্ষাধিক নারী ও পুরুষ শ্রমিক কর্মরত আছে। বিভিন্ন সময়ে বেতন-ভাতা, বোনাস ও অন্যান্য দাবিতে শ্রমিকরা অঘোষিত আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ে। মালিক শ্রমিক অসন্তোষের সুযোগে কিছু সংগঠনের শ্রমিক নেতা এতে জড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায়।
নারায়ণঞ্জে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৪ সূত্র জানিয়েছে, আগের কিছু ঘটনা থেকে প্রমাণ পাওয়া গেছে আন্দোলনরত শ্রমিকরা গার্মেন্টে ভাঙচুর ও কর্মবিরতি পালন করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেন। তাঁদের মধ্যে কারো কারো উসকানি যেমন কাজ করে তেমনি কিছু গুজবও শ্রমিকদের অসন্তোষের কারণ হয়। এ ছাড়া কোনো কোনো মালিক শ্রমিকদের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করেন না। ফলে অনেক সময় দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে কাচপুর, আদমজী, ফতুল্লা এলাকায় শ্রমিকরা আন্দোলন করতে রাজপথে বেরিয়ে এলে মহাসড়কগুলো অবরোধসহ যানবাহন ভাঙচুরের মুখে পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী সাধারণ। ক্ষয়ক্ষতি হয় কোটি কোটি টাকার সম্পদ। অনেক ক্ষেত্রে মূল্যবান জীবনহানির ঘটনাও ঘটে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ৪-এর পুলিশ সুপার মাহবুব আলম জানান, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা বিধান, মালিক-শ্রমিক সমন্বয় সাধন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ অগ্রিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে কার্যকরী ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে নিয়ে আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে নারায়ণগঞ্জে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। তিনি জানান, আপাতত ৭২৮ জন সদস্য নিয়ে আদমজী ইপিজেড এলাকায় সংস্থাটির প্রধান ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এর অনানুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানিয়ে মাহবুব আলম বলেন, আরো দুটি ক্যাম্প হবে কাচপুর ও ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায়।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে বিকেএমইএর সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট সেলিম ওসমান বলেন, 'আশা করি বন্দর ও শিল্পনগরী নারায়ণগঞ্জে মিল-কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দূরীকরণে এ পুলিশ কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।' তিনি আরো বলেন, 'আমরা ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছি।'
জানা গেছে, আগামী ৪ ডিসেম্বর আদমজী ইপিজেড এলাকার প্রধান ক্যাম্পে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ৪-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।
ব্যবসায়ী সংগঠন ও চেম্বার অব কমার্স সূত্রে জানা গেছে, এসব কারখানায় কর্মরত রয়েছেন ২০ লক্ষাধিক শ্রমিক। এসব কল-কারখানায় কোনো না কোনো ইস্যুতে মালিক-শ্রমিক অসন্তোষের কারণে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মালিকপক্ষ তেমনি শ্রমিকরাও। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরী, আদমজী ইপিজেড, কাচপুর, রূপগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে দেড় হাজারেরও বেশি গার্মেন্ট শিল্প। এ ছাড়া শহরের নয়ামাটি, উকিল পাড়া, টানবাজার, দেওভোগ এলাকায় রয়েছে তিন হাজারের মতো হোসিয়ারি। নিতাইগঞ্জ এলাকা গম, আটা, লবণ, ময়দা ও চিনি ব্যবসার জন্য প্রসিদ্ধ। টানবাজার এলাকায় রয়েছে সুতা ও কেমিক্যাল শিল্প। সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা এলাকায় গড়ে উঠেছে রি-রোলিং, ইট, চুনাপাথর শিল্প। রূপগঞ্জ আড়াইহাজার উপজেলায় আছে সহস্রাধিক জামদানি ও পাওয়ারলুম কারখানা। এ ছাড়া বন্দর, সোনারগাঁ উপজেলায় রয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন জাহাজ ও বিদ্যুৎ শিল্প।
বিকেএমইএ ও বিজেএমইএ সূত্রমতে, ফতুল্লার বিসিক ও আশপাশ এলাকা, আদমজী এবং কাচপুর শিল্পাঞ্চলে রয়েছে সহস্রাধিক গার্মেন্টস। এসব গার্মেন্টে আট লক্ষাধিক নারী ও পুরুষ শ্রমিক কর্মরত আছে। বিভিন্ন সময়ে বেতন-ভাতা, বোনাস ও অন্যান্য দাবিতে শ্রমিকরা অঘোষিত আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ে। মালিক শ্রমিক অসন্তোষের সুযোগে কিছু সংগঠনের শ্রমিক নেতা এতে জড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায়।
নারায়ণঞ্জে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৪ সূত্র জানিয়েছে, আগের কিছু ঘটনা থেকে প্রমাণ পাওয়া গেছে আন্দোলনরত শ্রমিকরা গার্মেন্টে ভাঙচুর ও কর্মবিরতি পালন করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেন। তাঁদের মধ্যে কারো কারো উসকানি যেমন কাজ করে তেমনি কিছু গুজবও শ্রমিকদের অসন্তোষের কারণ হয়। এ ছাড়া কোনো কোনো মালিক শ্রমিকদের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করেন না। ফলে অনেক সময় দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে কাচপুর, আদমজী, ফতুল্লা এলাকায় শ্রমিকরা আন্দোলন করতে রাজপথে বেরিয়ে এলে মহাসড়কগুলো অবরোধসহ যানবাহন ভাঙচুরের মুখে পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী সাধারণ। ক্ষয়ক্ষতি হয় কোটি কোটি টাকার সম্পদ। অনেক ক্ষেত্রে মূল্যবান জীবনহানির ঘটনাও ঘটে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ৪-এর পুলিশ সুপার মাহবুব আলম জানান, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা বিধান, মালিক-শ্রমিক সমন্বয় সাধন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ অগ্রিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে কার্যকরী ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে নিয়ে আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে নারায়ণগঞ্জে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। তিনি জানান, আপাতত ৭২৮ জন সদস্য নিয়ে আদমজী ইপিজেড এলাকায় সংস্থাটির প্রধান ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এর অনানুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানিয়ে মাহবুব আলম বলেন, আরো দুটি ক্যাম্প হবে কাচপুর ও ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায়।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে বিকেএমইএর সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট সেলিম ওসমান বলেন, 'আশা করি বন্দর ও শিল্পনগরী নারায়ণগঞ্জে মিল-কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দূরীকরণে এ পুলিশ কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।' তিনি আরো বলেন, 'আমরা ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছি।'
জানা গেছে, আগামী ৪ ডিসেম্বর আদমজী ইপিজেড এলাকার প্রধান ক্যাম্পে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ৪-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।
No comments