এমন হত্যাকাণ্ড দেশ পরাধীন থাকাকালেও ঘটেনি: -ড. কামাল হোসেন
জাতীয়
ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশ আজ
ধ্বংসের মুখোমুখি। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই, সরকার ভিন্নমত সহ্য করছে না।
ভিন্নমতের কারণে যেভাবে একটি মেধাবী ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তাতে
আমরা উদ্বিগ্ন। এমন হত্যাকাণ্ড পরাধীন আমলেও ঘটেনি। গতকাল জাতীয়
প্রেসক্লাবে গণফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন তিনি। আবরার
হত্যার বিচারের দাবি ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষিতে এই সংবাদ
সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, এ রকম ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তারা জানোয়ারের থেকেও নিকৃষ্ট। যে ছাত্র রাজনীতি ছেলেদের পশুতে পরিণত করেছে, তা থেকে দেশের শিক্ষাঙ্গনকে মুক্ত করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং দেশের বর্তমান যে সংকটময় পরিস্থিতি, তা থেকে দেশকে মুক্ত করে কার্যকর গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সকলকে ঝাঁপিয়ে পড়ারও আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, যে কোন মানুষের ভিন্নমত থাকতেই পারে, তাই বলে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে হবে? এ কোন দেশ, কোন সমাজে বাস করছি আমরা? রুগ্ন ও অসুস্থ রাজনীতির কারণে দেশে এক সংকটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণের মালিকানা জোরপূর্বক ছিনতাই করে ক্ষমতা দখলের কারণে আজ গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকুও মুছে যেতে বসেছে। সুশাসন ও জবাবদিহিতা নেই। ভিন্নমত দমন, মিথ্যা মামলা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সভা-সমাবেশ করতে বাধা নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। নিবর্তনমূলক আইন করে সরকার জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছে। এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে এমন বর্বরতা বন্ধ করতে হবে।
ড. কামাল বলেন, আবরার হত্যার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি করতে হবে। যেখানে সাবেক বিচারপতি, সাবেক সচিব, সাবেক আইজিপিসহ অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা থাকবেন, যারা গভীর থেকে তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য ও আসল ঘটনা বের করে আনতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, দলের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, দলের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ, মুকাব্বির খান এমপি, মেসবাহ উদ্দীন আহমদ, আমীন আমহদ আনসারী, মোশতাক আহমেদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, এ রকম ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তারা জানোয়ারের থেকেও নিকৃষ্ট। যে ছাত্র রাজনীতি ছেলেদের পশুতে পরিণত করেছে, তা থেকে দেশের শিক্ষাঙ্গনকে মুক্ত করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং দেশের বর্তমান যে সংকটময় পরিস্থিতি, তা থেকে দেশকে মুক্ত করে কার্যকর গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সকলকে ঝাঁপিয়ে পড়ারও আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, যে কোন মানুষের ভিন্নমত থাকতেই পারে, তাই বলে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে হবে? এ কোন দেশ, কোন সমাজে বাস করছি আমরা? রুগ্ন ও অসুস্থ রাজনীতির কারণে দেশে এক সংকটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণের মালিকানা জোরপূর্বক ছিনতাই করে ক্ষমতা দখলের কারণে আজ গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকুও মুছে যেতে বসেছে। সুশাসন ও জবাবদিহিতা নেই। ভিন্নমত দমন, মিথ্যা মামলা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সভা-সমাবেশ করতে বাধা নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। নিবর্তনমূলক আইন করে সরকার জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছে। এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে এমন বর্বরতা বন্ধ করতে হবে।
ড. কামাল বলেন, আবরার হত্যার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি করতে হবে। যেখানে সাবেক বিচারপতি, সাবেক সচিব, সাবেক আইজিপিসহ অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা থাকবেন, যারা গভীর থেকে তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য ও আসল ঘটনা বের করে আনতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, দলের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, দলের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ, মুকাব্বির খান এমপি, মেসবাহ উদ্দীন আহমদ, আমীন আমহদ আনসারী, মোশতাক আহমেদ প্রমুখ।
No comments