রিশা হত্যা: ওবায়দুলের ফাঁসির রায়
রাজধানীর
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া
আক্তার রিশা (১৪) হত্যা মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুলকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে
আদালত। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ওবায়দুলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস আসামির উপস্থিতিতে এই রায়
ঘোষণা করেন। দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে ওবায়দুলকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে
হাজির করা হয়। এরপর বিচারক ৩ টা ৪ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন। রায় পড়া শেষ
হয় ৩ টা ৪৫ মিনিটে। মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক ইমরুল কায়েস বলেন,
ঘটনাটি একটি অসম প্রেম বলে মনে হয়েছে। ভালোবাসা যেন সহিংসহতায় রূপ নিতে না
পারে সে জন্য আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেয়াই শ্রেয়।
আদালতের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মো. শোয়েব ও বাদী পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ।
এদিকে, রায় ঘোষণার পর সুরাইয়া আক্তার রিশার মা তানিয়া বেগম দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান। এ সময় তিনি আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বলেন, রায়ে আমি খুশি। ফাঁসির রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়। আমার মতো যেন আর কোনো মায়ের কোল খালি না হয়। রায় শোনার জন্য এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হোসেন ও গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান আরেফুর রহমান টিটু। তারাও রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তা দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান। এ সময় আদালতে আরো উপস্থিত ছিল উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরাও।
২০১৬ সালের ১৪ই নভেম্বর ওবায়দুলকে একমাত্র আসামি করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর ২০১৭ সালের ১৭ই এপ্রিল ঢাকা মহানগর অষ্টম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবুল কাশেম আসামি ওবায়দুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ২৬ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ২১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।
নথি থেকে জানা যায়, ঘটনার পাঁচ-ছয় মাস আগে রিশা ও তার মা তানিয়া ইস্টার্ন মল্লিকা মার্কেটে বৈশাখী টেইলার্সে কাপড় সেলাই করাতে যান। এ সময় তার মা ওই দোকানের রসিদের রিসিভ কপিতে ফোন নম্বর দিয়ে আসেন। ওই টেইলার্সের কর্মচারী ওবায়দুল রিসিভ কপি থেকে ফোন নম্বর নিয়ে রিশাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতো। রিশার মা এ বিষয়ে ওবায়দুলকে সতর্ক করেন। ২০১৬ সালের ২৪শে আগস্ট রিশা ও তার বন্ধু মুনতারিফ রহমান রাফি পরীক্ষা শেষে কাকরাইল ওভারব্রিজ পার হওয়ার সময় রিশাকে ফের প্রেমের প্রস্তাব দেয়। রিশা তা প্রত্যাখ্যান করলে ওবায়দুল তাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রিশাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। ২৮ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিশা। এ ঘটনায় ২৪শে আগস্ট রিশার মা তানিয়া হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।
আদালতের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মো. শোয়েব ও বাদী পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ।
এদিকে, রায় ঘোষণার পর সুরাইয়া আক্তার রিশার মা তানিয়া বেগম দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান। এ সময় তিনি আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বলেন, রায়ে আমি খুশি। ফাঁসির রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়। আমার মতো যেন আর কোনো মায়ের কোল খালি না হয়। রায় শোনার জন্য এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হোসেন ও গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান আরেফুর রহমান টিটু। তারাও রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তা দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান। এ সময় আদালতে আরো উপস্থিত ছিল উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরাও।
২০১৬ সালের ১৪ই নভেম্বর ওবায়দুলকে একমাত্র আসামি করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর ২০১৭ সালের ১৭ই এপ্রিল ঢাকা মহানগর অষ্টম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবুল কাশেম আসামি ওবায়দুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ২৬ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ২১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।
নথি থেকে জানা যায়, ঘটনার পাঁচ-ছয় মাস আগে রিশা ও তার মা তানিয়া ইস্টার্ন মল্লিকা মার্কেটে বৈশাখী টেইলার্সে কাপড় সেলাই করাতে যান। এ সময় তার মা ওই দোকানের রসিদের রিসিভ কপিতে ফোন নম্বর দিয়ে আসেন। ওই টেইলার্সের কর্মচারী ওবায়দুল রিসিভ কপি থেকে ফোন নম্বর নিয়ে রিশাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতো। রিশার মা এ বিষয়ে ওবায়দুলকে সতর্ক করেন। ২০১৬ সালের ২৪শে আগস্ট রিশা ও তার বন্ধু মুনতারিফ রহমান রাফি পরীক্ষা শেষে কাকরাইল ওভারব্রিজ পার হওয়ার সময় রিশাকে ফের প্রেমের প্রস্তাব দেয়। রিশা তা প্রত্যাখ্যান করলে ওবায়দুল তাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রিশাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। ২৮ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিশা। এ ঘটনায় ২৪শে আগস্ট রিশার মা তানিয়া হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।
No comments