সহসা রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন না হাসিনা: -দ্য টেলিগ্রাফের রিপোর্ট by দেবদীপ পুরোহিত
সম্প্রতি
নয়া দিল্লি সফরে ভারতের কাছে বিক্রি হয়ে যাওয়া নিয়ে দেশের ভিতর যে
সমালোচনা আছে, তার বিরুদ্ধে কথা বলে বুধবার নিজের সুনামের সঙ্গে বাজি ধরলেন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকাকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে পশ্চিমা
প্রতিবেশী ভারত- এমন অভিযোগকারী একজন ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার পর যে
ভারত-বিরোধিতা জ্বলে উঠেছে তা প্রশমনের চেষ্টা করেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে দৃঢ় কন্ঠে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে শেখ হাসিনা সমঝোতা করবে- এটা অসম্ভব। গত সপ্তাহে ভারত সফরকালে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলোর পক্ষে কথা বলতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। তিস্তার পানি বন্টন চুক্তির অগ্রগতির বিষয়ে বাংলাদেশের বড় প্রত্যাশা নিয়ে গত ৩রা অক্টোবর দিল্লি পৌঁছেছিলেন শেখ হাসিনা। এই চুক্তিটি ২০১১ সাল থেকে রয়েছে মুলতবি অবস্থায়। এর কারণ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা। কিন্তু এবারও বহুল প্রত্যাশিত সেই চুক্তি ঢাকার কাছে ধরা দিল না।
এতে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে।
ভারতের কাছে বাংলাদেশের স্বার্থ বিলিয়ে দেয়া এবং বিক্রি করে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক কিছু সমালোচক অভিযুক্ত করছেন হাসিনাকে। এসব রাজনীতিক সম্পাদিত ৭টি চুক্তির মধ্যে দুটি চুক্তিকে দেখছেন নয়া দিল্লির স্বার্থের পক্ষে। এর মধ্যে একটিতে ত্রিপুরার মানুষের খাবার পানির চাহিদা মেটাতে ফেনি নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহারে ভারতকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। অন্য চুক্তিতে ভারতের পণ্য আনা-নেয়ার জন্য চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারে ভারতকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। দেশ বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশি আকৃষ্ট হয়েছে। এতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ত্রিপুরাকে প্রাকৃতিক গ্যাস দিতেও রাজি হয়েছে বাংলাদেশ। এটা হলো বাংলাদেশের একটি বিরল প্রাকৃতিক সম্পদ। প্রকৃতপক্ষে এই চুক্তিটি হলো ভারতের কাছে এলপিজি রপ্তানি সংক্রান্ত।
বিনিময়ে ভারতের কাছ থেকে কি পেল বাংলাদেশ তা নিয়ে যখন দেশে উচ্চ নিনাদে বিতর্ক তখন অভিজাত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ ফেসবুকে ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে পোস্ট দিয়েছিলেন। ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগ আছে, এই হত্যাকারীরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের সদস্য।
বাংলাদেশের একজন সিনিয়র সংবাদ উপস্থাপক বলেছেন, ফাহাদকে কিভাবে নির্যাতন করে শেষ পর্যন্ত হত্যা করে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন সেই ভিডিও যখনই ভাইরাল হয়ে যায়, তখন ভারত ঢাকাকে পাল্টে দিচ্ছে এমন দৃষ্টিভঙ্গি নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে।
শেখ হাসিনাকে সব সময়ই ভারতপন্থি হিসেবে অভিযুক্ত করে বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো। এর ফলে মাঝে মধ্যেই লাভবান হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে গঠিত জোট। যদিও বেশির ভাগ বাংলাদেশী ভারত সফর করতে ভালবাসেন, দেখেন বলিউডের সিনেমা, বাংলা সিরিয়াল, তা সত্ত্বেও ভারত বিরোধী সেন্টিমেন্ট দেশের জনগণের বড় একটি অংশের গভীরে প্রোথিত।
ফাহাদের হত্যা নিয়ে দেশজুড়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এই হত্যাকা- ভারত বিরোধী সেন্টিমেন্টকে আরো প্রবল করেছে এবং নিজের দলের ছাত্র সংগঠনের ওপর শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জোরালো প্রশ্ন হয়ে উঠে এসেছে।
বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা কিছু কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারেন এটা আগেই অনুমান করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে তিনি ওই সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে প্রথম প্রশ্নটি জোরালো মেজাজে ছিল: ভারতের সঙ্গে চুক্তি কি ঢাকার স্বার্থে হয়েছে?
জবাবে শেখ হাসিনা ব্যাখ্যা করেছেন, এলপিজি বাংলাদেশের মূল উৎপাদ নয়। এটা হলো অশোধিত তেলের একটি বাই-প্রডাক্ট। এই অশোধিত তেল বাংলাদেশে আমদানি করা হয় এবং পরে তা শোধন করা হয়। আমরা ত্রিপুরার কাছে যে গ্যাস বিক্রি করবো তা অন্যান্য রপ্তানিপণ্যের মতো হবে। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কিছু থাকা উচিত নয়।
তার সরকার প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রি করতে রাজি হয়েছেন এমন অভিযোগ থেকে তিনি নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। এরপরই এসেছে ফেনি নদী থেকে ভারতকে পানি প্রত্যাহারে একমত হওয়ার বিষয়। এর জবাবে তিনি বলেছেন, আমরা তাদেরকে খাবার পানি দিচ্ছি। তা মাত্র ১.৮২ কিউসেক। কেউ যদি খাবার পানি চান তাহলে তাকে কি আমরা বলতে পারি- না। পানি দেবো না। এর মধ্য দিয়ে তিনি তার সমালোচকদের জবাব দিয়েছেন।
ফেনি নদীর স্ট্রাকচার বিষয়ে অবহিত এমন সূত্রগুলো বলেছেন, ১.৮২ কিউসেক পানি (প্রতি সেকেন্ডে ৫১.৫৪ লিটার পানির সমতুল্য) প্রত্যাহার করলে তাতে বাংলাদেশের ভাটিতে প্রভাব পড়বে না বললেই চলে।
এই ব্যাখ্যা শেখ হাসিনার সমালোচকদের সবার মুখ বন্ধ করতে যথেষ্ট নয়। এ বিষয়ে সচেতন শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। মনু, মুহুরি, খোয়াই, গোমতি, ধরলা ও দুধকুমারের মতো আন্তঃসীমান্তবর্তী নদীগুলোর অন্তর্বর্তী পানি চুক্তির একটি খসড়া প্রস্তুত করছে দুই দেশ। সহসাই এর সমাধান মিলবে। আমরা তিস্তা নিয়েও আলোচনা করেছি।
এর পরের প্রশ্নটি ছিল ফাহাদের মৃত্যু নিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেছেন, সন্দেহভাজনদের বিচারে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হবে না। তার ভাষায়, যখন কেউ একজন অপরাধ সংঘটিত করে তখন তার রাজনৈতিক পরিচয়ের তোয়াক্কা করি না আমি। আমার কাছে একজন ক্রিমিনাল একজন ক্রিমিনালই। তাদেরকে আমরা ক্রিমিনাল হিসেবেই দেখি।
পুলিশ এরই মধ্যে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ১৩ জন শিক্ষার্থীকে এই হত্যায় জড়িত থাকার কারণে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন এরই মধ্যে বহিষ্কার করেছে ১১ জনকে। যখন ঢাকায় এমন সব প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া তখন সেখানকার কিছু সূত্র বলেছেন, দোষীদের অভিযুক্ত করার পরেই শুধু তারা আশ্বস্ত হবেন।
গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন বিরোধীরা পরাজয়ের অধীনে এখনও স্মার্ট। তবে সহসাই বা অবিলম্বে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন না হাসিনা। ঢাকায় একটি সূত্র বলেছেন, এখানকার সমস্যা হলো জনগণের মনোভাব। দু’একটি বিষয়ে প্রশ্ন করার কারণে একজন ছাত্রকে হত্যা তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। নিজের সুনাম ধরে রেখে দুটি সমস্যা মোকাবিলায় শেখ হাসিনা তার উত্তম হাতিয়ার ব্যবহার করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে দৃঢ় কন্ঠে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে শেখ হাসিনা সমঝোতা করবে- এটা অসম্ভব। গত সপ্তাহে ভারত সফরকালে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলোর পক্ষে কথা বলতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। তিস্তার পানি বন্টন চুক্তির অগ্রগতির বিষয়ে বাংলাদেশের বড় প্রত্যাশা নিয়ে গত ৩রা অক্টোবর দিল্লি পৌঁছেছিলেন শেখ হাসিনা। এই চুক্তিটি ২০১১ সাল থেকে রয়েছে মুলতবি অবস্থায়। এর কারণ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা। কিন্তু এবারও বহুল প্রত্যাশিত সেই চুক্তি ঢাকার কাছে ধরা দিল না।
এতে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে।
ভারতের কাছে বাংলাদেশের স্বার্থ বিলিয়ে দেয়া এবং বিক্রি করে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক কিছু সমালোচক অভিযুক্ত করছেন হাসিনাকে। এসব রাজনীতিক সম্পাদিত ৭টি চুক্তির মধ্যে দুটি চুক্তিকে দেখছেন নয়া দিল্লির স্বার্থের পক্ষে। এর মধ্যে একটিতে ত্রিপুরার মানুষের খাবার পানির চাহিদা মেটাতে ফেনি নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহারে ভারতকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। অন্য চুক্তিতে ভারতের পণ্য আনা-নেয়ার জন্য চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারে ভারতকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। দেশ বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশি আকৃষ্ট হয়েছে। এতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ত্রিপুরাকে প্রাকৃতিক গ্যাস দিতেও রাজি হয়েছে বাংলাদেশ। এটা হলো বাংলাদেশের একটি বিরল প্রাকৃতিক সম্পদ। প্রকৃতপক্ষে এই চুক্তিটি হলো ভারতের কাছে এলপিজি রপ্তানি সংক্রান্ত।
বিনিময়ে ভারতের কাছ থেকে কি পেল বাংলাদেশ তা নিয়ে যখন দেশে উচ্চ নিনাদে বিতর্ক তখন অভিজাত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ ফেসবুকে ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে পোস্ট দিয়েছিলেন। ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগ আছে, এই হত্যাকারীরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের সদস্য।
বাংলাদেশের একজন সিনিয়র সংবাদ উপস্থাপক বলেছেন, ফাহাদকে কিভাবে নির্যাতন করে শেষ পর্যন্ত হত্যা করে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন সেই ভিডিও যখনই ভাইরাল হয়ে যায়, তখন ভারত ঢাকাকে পাল্টে দিচ্ছে এমন দৃষ্টিভঙ্গি নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে।
শেখ হাসিনাকে সব সময়ই ভারতপন্থি হিসেবে অভিযুক্ত করে বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো। এর ফলে মাঝে মধ্যেই লাভবান হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে গঠিত জোট। যদিও বেশির ভাগ বাংলাদেশী ভারত সফর করতে ভালবাসেন, দেখেন বলিউডের সিনেমা, বাংলা সিরিয়াল, তা সত্ত্বেও ভারত বিরোধী সেন্টিমেন্ট দেশের জনগণের বড় একটি অংশের গভীরে প্রোথিত।
ফাহাদের হত্যা নিয়ে দেশজুড়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এই হত্যাকা- ভারত বিরোধী সেন্টিমেন্টকে আরো প্রবল করেছে এবং নিজের দলের ছাত্র সংগঠনের ওপর শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জোরালো প্রশ্ন হয়ে উঠে এসেছে।
বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা কিছু কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারেন এটা আগেই অনুমান করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে তিনি ওই সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে প্রথম প্রশ্নটি জোরালো মেজাজে ছিল: ভারতের সঙ্গে চুক্তি কি ঢাকার স্বার্থে হয়েছে?
জবাবে শেখ হাসিনা ব্যাখ্যা করেছেন, এলপিজি বাংলাদেশের মূল উৎপাদ নয়। এটা হলো অশোধিত তেলের একটি বাই-প্রডাক্ট। এই অশোধিত তেল বাংলাদেশে আমদানি করা হয় এবং পরে তা শোধন করা হয়। আমরা ত্রিপুরার কাছে যে গ্যাস বিক্রি করবো তা অন্যান্য রপ্তানিপণ্যের মতো হবে। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কিছু থাকা উচিত নয়।
তার সরকার প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রি করতে রাজি হয়েছেন এমন অভিযোগ থেকে তিনি নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। এরপরই এসেছে ফেনি নদী থেকে ভারতকে পানি প্রত্যাহারে একমত হওয়ার বিষয়। এর জবাবে তিনি বলেছেন, আমরা তাদেরকে খাবার পানি দিচ্ছি। তা মাত্র ১.৮২ কিউসেক। কেউ যদি খাবার পানি চান তাহলে তাকে কি আমরা বলতে পারি- না। পানি দেবো না। এর মধ্য দিয়ে তিনি তার সমালোচকদের জবাব দিয়েছেন।
ফেনি নদীর স্ট্রাকচার বিষয়ে অবহিত এমন সূত্রগুলো বলেছেন, ১.৮২ কিউসেক পানি (প্রতি সেকেন্ডে ৫১.৫৪ লিটার পানির সমতুল্য) প্রত্যাহার করলে তাতে বাংলাদেশের ভাটিতে প্রভাব পড়বে না বললেই চলে।
এই ব্যাখ্যা শেখ হাসিনার সমালোচকদের সবার মুখ বন্ধ করতে যথেষ্ট নয়। এ বিষয়ে সচেতন শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। মনু, মুহুরি, খোয়াই, গোমতি, ধরলা ও দুধকুমারের মতো আন্তঃসীমান্তবর্তী নদীগুলোর অন্তর্বর্তী পানি চুক্তির একটি খসড়া প্রস্তুত করছে দুই দেশ। সহসাই এর সমাধান মিলবে। আমরা তিস্তা নিয়েও আলোচনা করেছি।
এর পরের প্রশ্নটি ছিল ফাহাদের মৃত্যু নিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেছেন, সন্দেহভাজনদের বিচারে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হবে না। তার ভাষায়, যখন কেউ একজন অপরাধ সংঘটিত করে তখন তার রাজনৈতিক পরিচয়ের তোয়াক্কা করি না আমি। আমার কাছে একজন ক্রিমিনাল একজন ক্রিমিনালই। তাদেরকে আমরা ক্রিমিনাল হিসেবেই দেখি।
পুলিশ এরই মধ্যে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ১৩ জন শিক্ষার্থীকে এই হত্যায় জড়িত থাকার কারণে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন এরই মধ্যে বহিষ্কার করেছে ১১ জনকে। যখন ঢাকায় এমন সব প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া তখন সেখানকার কিছু সূত্র বলেছেন, দোষীদের অভিযুক্ত করার পরেই শুধু তারা আশ্বস্ত হবেন।
গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন বিরোধীরা পরাজয়ের অধীনে এখনও স্মার্ট। তবে সহসাই বা অবিলম্বে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন না হাসিনা। ঢাকায় একটি সূত্র বলেছেন, এখানকার সমস্যা হলো জনগণের মনোভাব। দু’একটি বিষয়ে প্রশ্ন করার কারণে একজন ছাত্রকে হত্যা তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। নিজের সুনাম ধরে রেখে দুটি সমস্যা মোকাবিলায় শেখ হাসিনা তার উত্তম হাতিয়ার ব্যবহার করেছেন।
No comments