রোবট নেবে চাকরি, রোবটই দেবে চাকরি
২০৩০
সাল নাগাদ সারা বিশ্বে শিল্প খাতের দুই কোটি কর্মসংস্থান চলে যাবে রোবটের
হাতে। এই খাতে চাকরি হারানো মানুষগুলো সেবা খাতে জায়গা খুঁজে পেতেও
প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হবেন। কারণ, সেবা খাতেও অটোমেশনের কারণে কর্মসংস্থান
সংকুচিত হবে।
অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গত ২৬ জুন বুধবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অবশ্য অটোমেশনের কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও চাকরির ক্ষেত্র বাড়বে বলে মনে করছে সংস্থাটি। সংস্থাটি মনে করছে, যে আয়–বৈষম্যের সৃষ্টি হবে, তা প্রতিরোধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
গবেষণায় বলা হচ্ছে, একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবট ১ দশমিক ৬টি কর্মসংস্থান নিয়ে নেবে। তা ছাড়া যেসব অঞ্চলের কর্মীরা বেশি অদক্ষ, তাঁদের ওপর প্রভাব পড়বে বেশি।
অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের এই গবেষকেরা বলছেন, যেসব অঞ্চলে কর্মীরা বেশি অদক্ষ, এ কারণে অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ছে ও বেকারত্ব বাড়ছে, তাঁদের রোবটের কাছে চাকরি হারানোর আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। শিল্প খাতে যাঁরা চাকরি হারাবেন, তাঁরা যোগাযোগ, অবকাঠামো, ব্যবস্থাপনাসহ নানা ধরনের প্রশাসনিক কাজ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে অটোমেশনের কারণে তাও পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। রোবটের কাছে দক্ষ অঞ্চলের মানুষের চেয়ে অদক্ষ অঞ্চলের মানুষের চাকরি হারানোর আশঙ্কা দুই গুণ বেশি। এর ফলে অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং রাজনৈতিক মেরুকরণ বৃদ্ধি পাবে, যা এখনই অনেক বেশি।
অনেক প্রতিবেদনে দেখা যায়, রোবট ও অটোমেশনের কারণে সব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হারাবে মানুষ—এমন অশনিসংকেত দেওয়া হয়। তবে এই প্রতিবেদন সেভাবে বিষয়টিকে বলা হয়নি। বরং রোবটের কারণে অর্থনৈতিক প্রভাবের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করেছে তারা। গবেষকেরা বলছেন, অটোমেশনের কারণে উৎপাদনশীলতা বাড়বে, যার ফলে প্রবৃদ্ধি বাড়বে। অর্থাৎ, যে পরিমাণ চাকরি হারানোর ভয় থাকছে, সেই পরিমাণ নতুন চাকরি সৃষ্টির উপায়ও থাকছে। এখন বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানদের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো সমাজের মধ্যে কোনো বিভেদ সৃষ্টি না করে নতুন উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা। এ ক্ষেত্রে চাকরির পুনরাবৃত্তির ঝুঁকির বিষয়ে সরকারকে নজর রাখতে হবে।
২০০০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে শিল্প খাতে প্রায় ১৭ লাখ কর্মসংস্থান রোবটের হাতে চলে গেছে। যার মধ্যে ইউরোপে ৪ লাখ, যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ৬০ হাজার, চীনে সাড়ে পাঁচ লাখ। গবেষণা সংস্থাটি মনে করছে, সবচেয়ে বেশি অটোমেশন হবে চীনে। ২০৩০ সাল নাগাদ এ অঞ্চলে ১ কোটি ৪০ লাখ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবট কাজ করবে।
অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গত ২৬ জুন বুধবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অবশ্য অটোমেশনের কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও চাকরির ক্ষেত্র বাড়বে বলে মনে করছে সংস্থাটি। সংস্থাটি মনে করছে, যে আয়–বৈষম্যের সৃষ্টি হবে, তা প্রতিরোধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
গবেষণায় বলা হচ্ছে, একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবট ১ দশমিক ৬টি কর্মসংস্থান নিয়ে নেবে। তা ছাড়া যেসব অঞ্চলের কর্মীরা বেশি অদক্ষ, তাঁদের ওপর প্রভাব পড়বে বেশি।
অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের এই গবেষকেরা বলছেন, যেসব অঞ্চলে কর্মীরা বেশি অদক্ষ, এ কারণে অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ছে ও বেকারত্ব বাড়ছে, তাঁদের রোবটের কাছে চাকরি হারানোর আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। শিল্প খাতে যাঁরা চাকরি হারাবেন, তাঁরা যোগাযোগ, অবকাঠামো, ব্যবস্থাপনাসহ নানা ধরনের প্রশাসনিক কাজ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে অটোমেশনের কারণে তাও পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। রোবটের কাছে দক্ষ অঞ্চলের মানুষের চেয়ে অদক্ষ অঞ্চলের মানুষের চাকরি হারানোর আশঙ্কা দুই গুণ বেশি। এর ফলে অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং রাজনৈতিক মেরুকরণ বৃদ্ধি পাবে, যা এখনই অনেক বেশি।
অনেক প্রতিবেদনে দেখা যায়, রোবট ও অটোমেশনের কারণে সব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হারাবে মানুষ—এমন অশনিসংকেত দেওয়া হয়। তবে এই প্রতিবেদন সেভাবে বিষয়টিকে বলা হয়নি। বরং রোবটের কারণে অর্থনৈতিক প্রভাবের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করেছে তারা। গবেষকেরা বলছেন, অটোমেশনের কারণে উৎপাদনশীলতা বাড়বে, যার ফলে প্রবৃদ্ধি বাড়বে। অর্থাৎ, যে পরিমাণ চাকরি হারানোর ভয় থাকছে, সেই পরিমাণ নতুন চাকরি সৃষ্টির উপায়ও থাকছে। এখন বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানদের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো সমাজের মধ্যে কোনো বিভেদ সৃষ্টি না করে নতুন উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা। এ ক্ষেত্রে চাকরির পুনরাবৃত্তির ঝুঁকির বিষয়ে সরকারকে নজর রাখতে হবে।
২০০০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে শিল্প খাতে প্রায় ১৭ লাখ কর্মসংস্থান রোবটের হাতে চলে গেছে। যার মধ্যে ইউরোপে ৪ লাখ, যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ৬০ হাজার, চীনে সাড়ে পাঁচ লাখ। গবেষণা সংস্থাটি মনে করছে, সবচেয়ে বেশি অটোমেশন হবে চীনে। ২০৩০ সাল নাগাদ এ অঞ্চলে ১ কোটি ৪০ লাখ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবট কাজ করবে।
No comments