পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন নওগাঁর চাষিরা
উত্তরাঞ্চলের
জেলা নওগাঁ ধান ও আম উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। একসময় এ জেলায় পাট চাষ হতো
ব্যাপক। কিন্তু ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন এ জেলার
কৃষকেরা।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, পাট চাষে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে কৃষকেরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। এ কারণে তাঁরা পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। সেই জায়গায় চাষ হয়েছে ৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ এ বছর পাট চাষে কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। জেলার ১১ উপজেলার মধ্যে তিনটি উপজেলায় (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) চলতি বছর কোনো পাটের আবাদ হয়নি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১১ দশমিক ৪২ বেল হিসেবে চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭০ হাজার ২৩৩ বেল। ২০১৮ সালে নওগাঁয় পাটের আবাদ হয়েছিল ৬ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদিত হয়েছিল ৮০ হাজার ১৪০ বেল পাট। ২০১৭ সালে জেলার পাটের আবাদ হয়েছিল ৮ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে। পাট উৎপাদিত হয়েছিল ১ লাখ ১৫ হাজার ৭০০ বেল।
জেলায় সবচেয়ে বেশি পাটের আবাদ হয়ে মান্দা উপজেলায়। গত বছরের তুলনায় এ বছর মান্দায় পাটের আবাদ কমেছে। চলতি মৌসুমে পাটের চাষ হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। যেখানে গত বছর চাষ হয়েছিল ২ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে।
মান্দা উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের কৃষক সুলতান আহমেদ বলেন, গত বছর দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করে তাঁকে লোকসান গুনতে হয়েছে। তাই এ বছর তিনি পাট চাষ করেননি। তিনি আরও বলেন, পাট চাষে অনেক শ্রম দিতে হয়। উৎপাদন খরচও বেশি। এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে বীজ বপন থেকে শুরু করে পাটের আঁশ ছড়িয়ে শুকানো পর্যন্ত ১৪-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এক বিঘা জমিতে ভালো ফলন হলে ১০ মণ পাট হয়। এই হিসাবে এক মণ পাটের দাম ২ হাজার টাকার বেশি হওয়া দরকার। কিন্তু গত বছর পাটের দাম ছিল ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা পর্যন্ত।
নওগাঁ সদর উপজেলার বাচাড়ীগ্রামের কৃষক খবির উদ্দিন বলেন, ‘পাট চাষের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় পাটের দাম পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে পাট চাষে তেমন আগ্রহ নেই। তারপরেও আমরা চাষি মানুষ। চাষ করতে হয়। এ বছর ৪০ শতক জমিতে পাটের আবাদ করেছি। দাম ভালো পেলে আগামী বছর আরও বেশি পাটের আবাদ করব। আর লোকসান হলে বিকল্প চিন্তা করতে হবে।’
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনোজিৎ কুমার মল্লিক বলেন, কৃষকদের পাট চাষে আগ্রহ হারানোর পেছনে ন্যায্যমূল্য না পাওয়া অন্যতম কারণ। এ ছাড়া আরও অনেক কারণ রয়েছে; যেমন এ বছর পাটের বীজ বপণের সময় মে মাসে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। ফলে নিচু জমিগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় অনেক কৃষক বীজ বপণ করতে পারেননি। তা ছাড়া নওগাঁতে পাট জাগ দেওয়ার জায়গার ভীষণ সংকট। এসব কারনে পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, পাট চাষে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে কৃষকেরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। এ কারণে তাঁরা পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। সেই জায়গায় চাষ হয়েছে ৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ এ বছর পাট চাষে কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। জেলার ১১ উপজেলার মধ্যে তিনটি উপজেলায় (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) চলতি বছর কোনো পাটের আবাদ হয়নি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১১ দশমিক ৪২ বেল হিসেবে চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭০ হাজার ২৩৩ বেল। ২০১৮ সালে নওগাঁয় পাটের আবাদ হয়েছিল ৬ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদিত হয়েছিল ৮০ হাজার ১৪০ বেল পাট। ২০১৭ সালে জেলার পাটের আবাদ হয়েছিল ৮ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে। পাট উৎপাদিত হয়েছিল ১ লাখ ১৫ হাজার ৭০০ বেল।
জেলায় সবচেয়ে বেশি পাটের আবাদ হয়ে মান্দা উপজেলায়। গত বছরের তুলনায় এ বছর মান্দায় পাটের আবাদ কমেছে। চলতি মৌসুমে পাটের চাষ হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। যেখানে গত বছর চাষ হয়েছিল ২ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে।
মান্দা উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের কৃষক সুলতান আহমেদ বলেন, গত বছর দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করে তাঁকে লোকসান গুনতে হয়েছে। তাই এ বছর তিনি পাট চাষ করেননি। তিনি আরও বলেন, পাট চাষে অনেক শ্রম দিতে হয়। উৎপাদন খরচও বেশি। এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে বীজ বপন থেকে শুরু করে পাটের আঁশ ছড়িয়ে শুকানো পর্যন্ত ১৪-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এক বিঘা জমিতে ভালো ফলন হলে ১০ মণ পাট হয়। এই হিসাবে এক মণ পাটের দাম ২ হাজার টাকার বেশি হওয়া দরকার। কিন্তু গত বছর পাটের দাম ছিল ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা পর্যন্ত।
নওগাঁ সদর উপজেলার বাচাড়ীগ্রামের কৃষক খবির উদ্দিন বলেন, ‘পাট চাষের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় পাটের দাম পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে পাট চাষে তেমন আগ্রহ নেই। তারপরেও আমরা চাষি মানুষ। চাষ করতে হয়। এ বছর ৪০ শতক জমিতে পাটের আবাদ করেছি। দাম ভালো পেলে আগামী বছর আরও বেশি পাটের আবাদ করব। আর লোকসান হলে বিকল্প চিন্তা করতে হবে।’
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনোজিৎ কুমার মল্লিক বলেন, কৃষকদের পাট চাষে আগ্রহ হারানোর পেছনে ন্যায্যমূল্য না পাওয়া অন্যতম কারণ। এ ছাড়া আরও অনেক কারণ রয়েছে; যেমন এ বছর পাটের বীজ বপণের সময় মে মাসে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। ফলে নিচু জমিগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় অনেক কৃষক বীজ বপণ করতে পারেননি। তা ছাড়া নওগাঁতে পাট জাগ দেওয়ার জায়গার ভীষণ সংকট। এসব কারনে পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা।
No comments