শ্রমিক আন্দোলনের পর ২৭ কারখানায় ৭৫৮০ শ্রমিক ছাটাই
বেতন
বাড়ানোর দাবিতে সাম্প্রতিক শ্রমিক আন্দোলন শেষ হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত
২৭ কারখানা থেকে সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি শ্রমিক ছাটাই করা হয়েছে। শ্রমিক
আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণেই এরকম ছাটাই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পোশাক শ্রমিক
ফেডারেশনের নেতারা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা
হয়েছে। বাংলাদেশ গার্মেন্ট এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের
প্রধান বাবুল আখতার বলেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ২৭ কারখানা থেকে অন্তত ৭
হাজার ৫৮০ জন শ্রমিককে ছাটাই করা হয়েছে। মঙ্গলবার শ্রমিক সংগঠনের নেতারা
জানিয়েছেন, আন্দোলনের অংশ নেওয়ায় এইচ এন্ড এম ও নেক্সটসহ অন্তত তিনটি
ইউরোপীয় ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি কারখানাতেও সম্প্রতি শ্রমিক ছাটাইয়ের ঘটনা
ঘটেছে।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে রাজধানী ও এর আশপাশের অঞ্চলগুলোতে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা। বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টারের প্রধান কাজী রুহুল আমিন জানান, যেসব শ্রমিকরা স্লোগান দিয়েছে বা আন্দোলনের সময় কাজ বর্জন করেছে, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ও যাদের কোন রকম শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তারা এখন চাকরি হারাচ্ছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফেকচারস এন্ড এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশনের প্রধান সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যেসব শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় ভাঙচুর ও অন্যান্য ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তাদের এখন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
এদিকে কয়েকজন শ্রমিক বলেছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করেছেন। কিন্তু অন্যান্য শ্রমিকদের একজোট করার প্রচেষ্টা চালানোর কারণে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী শ্রমিক বলেন, (ছাটাইকৃত শ্রমিকদের) তালিকায় আমার নাম শীর্ষে দেখে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। তিনি বলেন, বিক্ষোভের সময় আমি প্রতিদিন কাজে গেছি। আমি কখনোই কোন ভাঙচুর বা অপরাধকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমার ও আমার সহকর্মীদের নাম তালিকায় আসার পেছনে কারণ ছিল, আমরা একটি জোট গঠনের চেষ্টা করছিলাম।
বাংলাদেশের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে শ্রমিক ছাটাইয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক শিল্প রফতানিকারক দেশ। বাংলাদেশের রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে। প্রতি বছর গড়ে পোশাক শিল্পের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশের আয় হয় আনুমানিক ৩ হাজার কোটি ডলার।
এদিকে শ্রমিক সংগঠনের নেতারা মঙ্গলবার বলেন, ক্রনি গ্রুপ, ইস্ট ওয়েস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেড ও মেট্রো নিটিং এন্ড ডায়িং মিলস লিমিটেড থেকে সম্প্রতি শ্রমিক ছাটাই করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো সুইডেন-ভিত্তিক এইচ এন্ড এম ও ব্রিটিশ ব্র্যান্ড নেক্সটের জন্য পোশাক তৈরি করে থাকে। শ্রমিক ছাটাইয়ের বিষয়ে জানতে চেয়ে ক্রোনি ও মেট্রোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
ইস্ট ওয়েস্টের প্রধান প্রশাসক আমিনুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনের সময় ৭ই জানুয়ারি বেশ কয়েকজন শ্রমিক কারখানায় হামলা চালিয়েছে ও ভাঙচুর করেছে। তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর সব মিলিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানের ৮শ’রও বেশি বেশি শ্রমিক ছাটাই করা হয়েছে।
ইস্ট ওয়েস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান কোন অবৈধ বা অন্যায্য কাজ করছে না। তিনি বলেন, আমরা জানি, এমনটা করলে আমাদের ক্রেতারা এটা হালকাভাবে নেবে না। তারা এটা পছন্দ করবে না। বিদেশি ব্রান্ডগুলো জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এক ই-মেইল বার্তায় নেক্সট ব্র্যান্ড জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি স¤পর্কে অবগত। বাংলাদেশে তাদের নিজস্ব অডিট কর্মচারীরা এ বিষয়ে তদন্ত করছে। এইচ এন্ড এম জানিয়েছে, তারা এসোসিয়েশনের স্বাধীনতাকে আলোচনার অযোগ্য মানবাধিকার হিসেবে বিবেচনা করে। তারা বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পে ঘটা সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
এছাড়া, জারা, ম্যাঙ্গো, গেস ও সাকসসহ অন্যান্য ইউরোপীয় ও মার্কিন ব্রান্ডগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে রাজধানী ও এর আশপাশের অঞ্চলগুলোতে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা। বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টারের প্রধান কাজী রুহুল আমিন জানান, যেসব শ্রমিকরা স্লোগান দিয়েছে বা আন্দোলনের সময় কাজ বর্জন করেছে, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ও যাদের কোন রকম শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তারা এখন চাকরি হারাচ্ছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফেকচারস এন্ড এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশনের প্রধান সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যেসব শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় ভাঙচুর ও অন্যান্য ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তাদের এখন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
এদিকে কয়েকজন শ্রমিক বলেছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করেছেন। কিন্তু অন্যান্য শ্রমিকদের একজোট করার প্রচেষ্টা চালানোর কারণে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী শ্রমিক বলেন, (ছাটাইকৃত শ্রমিকদের) তালিকায় আমার নাম শীর্ষে দেখে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। তিনি বলেন, বিক্ষোভের সময় আমি প্রতিদিন কাজে গেছি। আমি কখনোই কোন ভাঙচুর বা অপরাধকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমার ও আমার সহকর্মীদের নাম তালিকায় আসার পেছনে কারণ ছিল, আমরা একটি জোট গঠনের চেষ্টা করছিলাম।
বাংলাদেশের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে শ্রমিক ছাটাইয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক শিল্প রফতানিকারক দেশ। বাংলাদেশের রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে। প্রতি বছর গড়ে পোশাক শিল্পের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশের আয় হয় আনুমানিক ৩ হাজার কোটি ডলার।
এদিকে শ্রমিক সংগঠনের নেতারা মঙ্গলবার বলেন, ক্রনি গ্রুপ, ইস্ট ওয়েস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেড ও মেট্রো নিটিং এন্ড ডায়িং মিলস লিমিটেড থেকে সম্প্রতি শ্রমিক ছাটাই করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো সুইডেন-ভিত্তিক এইচ এন্ড এম ও ব্রিটিশ ব্র্যান্ড নেক্সটের জন্য পোশাক তৈরি করে থাকে। শ্রমিক ছাটাইয়ের বিষয়ে জানতে চেয়ে ক্রোনি ও মেট্রোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
ইস্ট ওয়েস্টের প্রধান প্রশাসক আমিনুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনের সময় ৭ই জানুয়ারি বেশ কয়েকজন শ্রমিক কারখানায় হামলা চালিয়েছে ও ভাঙচুর করেছে। তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর সব মিলিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানের ৮শ’রও বেশি বেশি শ্রমিক ছাটাই করা হয়েছে।
ইস্ট ওয়েস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান কোন অবৈধ বা অন্যায্য কাজ করছে না। তিনি বলেন, আমরা জানি, এমনটা করলে আমাদের ক্রেতারা এটা হালকাভাবে নেবে না। তারা এটা পছন্দ করবে না। বিদেশি ব্রান্ডগুলো জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এক ই-মেইল বার্তায় নেক্সট ব্র্যান্ড জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি স¤পর্কে অবগত। বাংলাদেশে তাদের নিজস্ব অডিট কর্মচারীরা এ বিষয়ে তদন্ত করছে। এইচ এন্ড এম জানিয়েছে, তারা এসোসিয়েশনের স্বাধীনতাকে আলোচনার অযোগ্য মানবাধিকার হিসেবে বিবেচনা করে। তারা বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পে ঘটা সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
এছাড়া, জারা, ম্যাঙ্গো, গেস ও সাকসসহ অন্যান্য ইউরোপীয় ও মার্কিন ব্রান্ডগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
No comments