ভারতের জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এলেন মমতা
একজন
পুলিশ অফিসারকে বাঁচাতে তিন দিনের ধরণা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্র বিন্দুতে নিয়ে এসেছে। মোদী
সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পাল্টা হিসেবে দেশ ও গণতন্ত্র বাঁচানোর নাম
করে আরেকবার গোটা ভারতের বিরোধী নেতাদের একজোট করেছেন সফলভাবে। অখিলেশ
যাদব, তেজস্বী যাদব, কুমারস্বামী, চন্দ্রবাবু নায়ডু, স্ট্যালিন, কেজরিওয়াল,
শারদ পাওয়ার, শরদ যাদবের মত নেতারা যেম দ্রুততার সঙ্গে মমতার পাশে এসে
দাঁড়িয়েছেন, তেমনি মমতার দেশ বাঁচানোর অহঙ্কারকে সমর্থন জানিয়েছেন বিজেপির
শরিক শিবসেনা এবং বিজু জনতা দল। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী দলের রাজ্য
শাখার নেতাদের মতামত উপক্ষা করে স্রেফ জোটের স্বার্থে ফের মমতার পাশে থাকার
বার্তা দিয়েছেন। অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বেশ কিছুদিন ধরেই মোদী
বিরোধীতায় সরব হয়েছেন। মোদীর সঙ্গে মমতার তিক্ততা ভয়ঙ্কর বিদ্বেষে গিয়ে
পৌছেছে। মোদী বিরোধীতার এই বিদ্বেষকে মমতা বিরোধি সব দলের মধ্যে সুচারুরুপে
সঞ্চারিত করতে পেরেছেন। অবশ্য গত ১৯ জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে সব
অবিজেপি বিরোধীদের সমবেত করে ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার ছাতার নীচে যে সংকল্পের কথা
তিনি সকলকে দিয়ে বলিয়ে নিয়েছেন তাতে মমতার নেতৃত্ব¡ জাতীয রাজনীতিতে অন্য
মাত্র পেয়েছে।
তবে ধর্মতলায় তিনদিনের ধরনার মাধ্যমে মমতা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জেহাদী ব্রিগেডের প্রধান চরিত্র হয়ে উঠেছেন। গোটা দেশের মানুষের সামনে মমতা সফলভাবে বিধ্বংসী রুপটি তুলে ধরতে পেরেছেন। এখানেই মমতার জয়। একজন পুলিশ অফিসারের বাড়িতে কথা বলতে সিবিআইয়ের যাওয়াকে নাটকীয় ভাবে বিজেপি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তকমা দিয়েছেন। দুটি পুলিশি সংস্থার বিরোধকে রাজনীতির অলিন্দে টেনে নিয়ে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুশলতার সঙ্গে। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রীয কাঠামোতে আঘাত, সংবিধানকে ধ্বংস করার চেষ্টার মত নীতিগত বিষয়গুলিকে সহজেই সামনে নিয়ে এসেছেন। আর যেহেতু ভারতের বিরোধী রাজ্য এবং বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআই বা ইডির মত প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে লেলিয়ে দেবার ঘটনা পর পর ঘটে যাওয়ায় সব নেতাই নিজেদের স্বার্থেই মমতার পাশে এসে দাঁড়িযেছেন। বিজেপির শীর্ষ নেতারা অবশ্য একে চোরেদের সম্মীলন বলে কটাক্ষ করেছেন। বুধবার মমতার ধরণা নিয়ে প্রতম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার লড়াই অনেককে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। সেই তালিকায় তৃণমূল কংগ্রেসও রয়েছে। তাই সকলে কলকাতায় একজোট হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু করেছে। আসলে ওরা নিজেদের পরিবার ও দুর্নীতি ঢাকতে চায়। কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্তদের শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত আমার শান্তি নেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, মমতার গত কিছুদিন ধরে মোদী বিরোধীতার সুরকে যেভাবে চড়া মাত্রায় নিযে যাচ্চিলেন, এই ধরনার মাধ্যম তাকেই নির্বাচনের আগে ঐক্যবদ্ধ বিরোধীতার নতুন পর্যায়ে নিয়ে গিযেছেন। আর তাই ধরণা তুলে নেবার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’র পক্ষ থেকে চন্দ্রবাবু নায়ডু ঘোষণা করেছেন, ধরনা আপাতত শেষ করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করছে ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার ছাতার তলায় থাকা সব দল। কিন্তু লড়াই থামছে না। যুক্তিযুক্ত উপসংহারে না পৌঁছনো পর্যন্ত এই লড়াই চলবে। মমতা এটাই চেয়েছিলেন যে, লড়াই যতক্ষন চলবে ততক্ষন তাঁর জেহাদী মূর্তি গোটা দেশকে মোদী বিরোধীতায় অভিভুত করে রাখবে। সেটা যত ঘনীভ’ত হবে ততই বিরোধীদের বিজেপি বিরোধী লড়াই সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাবে। আর তখনই আসল অঙ্ক নিয়ে কাটাকুটি হবে, কে হবেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী। যদিও মমতার ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার ছাতার তলায় থাকা অধিকাংশ দলই মনে করে, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পরবর্তী জোট সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে। কিন্তু কংগ্রেস তার ক্ষয়িষ্ণুতাকে কাটিয়ে উঠে শক্তিশালী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে না পারলে, রাহুলকেই বলতে হবে অন্য কোনও নেতার কথা। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ থেকে লোকসভার সবচেয়ে বেশি আসনের দাবী ( মমতার দাবি রাজ্যের ৪২টির মধ্যে ৪২টি তিনি পাবেন)যদি দিনের আলোতে ডানা মেলতে পারে তাহলে মমতাই হবেন সেই নেতা। এই লক্ষ্যেই মমতা যেমন ঘুঁটি সাজিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপ নিচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি যাতে কোনও আসন দখল করতে না পারে সেজন্য মমতা রাজ্যে বিজেপিকে সভাসমিতি করতে দিচ্চেন না। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, সভাস্থলের অনুমতি না দিয়ে, হেলিকপ্টার নামতে বাধা সৃষ্টি করে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছেন। মমতা বিজেপির রথযাত্রাকে যেমন নিপুনতার সঙ্গে আটকে দিযেছেন তেমনি বিজেপির নির্বাচনী প্রচারও ভোতা করে দেবার সব ব্যবস্থা করছেন। লক্ষ্য একটাই রাজ্যের সব কটি আসন পেয়ে জাতীয রাজণীতির শীর্ষে থাকা। এই আশাতে ভর করেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরাও বাঙালি প্রধানমন্ত্রী দেখার স্বপ্নে বিভোর হয়ে উঠেছে। এটা ঠিক যে, মমতা এই মুহূর্তে জাতীয রাজনীতির নির্ণায়ক চরিত্রের ভূমিকায় থাকলেও শেষ পর্য›ত সব অঙ্ক সঠিকভাবে মিলে যাওয়ার উপরই নির্ভর করছে সবকিছু।
তবে ধর্মতলায় তিনদিনের ধরনার মাধ্যমে মমতা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জেহাদী ব্রিগেডের প্রধান চরিত্র হয়ে উঠেছেন। গোটা দেশের মানুষের সামনে মমতা সফলভাবে বিধ্বংসী রুপটি তুলে ধরতে পেরেছেন। এখানেই মমতার জয়। একজন পুলিশ অফিসারের বাড়িতে কথা বলতে সিবিআইয়ের যাওয়াকে নাটকীয় ভাবে বিজেপি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তকমা দিয়েছেন। দুটি পুলিশি সংস্থার বিরোধকে রাজনীতির অলিন্দে টেনে নিয়ে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুশলতার সঙ্গে। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রীয কাঠামোতে আঘাত, সংবিধানকে ধ্বংস করার চেষ্টার মত নীতিগত বিষয়গুলিকে সহজেই সামনে নিয়ে এসেছেন। আর যেহেতু ভারতের বিরোধী রাজ্য এবং বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআই বা ইডির মত প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে লেলিয়ে দেবার ঘটনা পর পর ঘটে যাওয়ায় সব নেতাই নিজেদের স্বার্থেই মমতার পাশে এসে দাঁড়িযেছেন। বিজেপির শীর্ষ নেতারা অবশ্য একে চোরেদের সম্মীলন বলে কটাক্ষ করেছেন। বুধবার মমতার ধরণা নিয়ে প্রতম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার লড়াই অনেককে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। সেই তালিকায় তৃণমূল কংগ্রেসও রয়েছে। তাই সকলে কলকাতায় একজোট হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু করেছে। আসলে ওরা নিজেদের পরিবার ও দুর্নীতি ঢাকতে চায়। কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্তদের শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত আমার শান্তি নেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, মমতার গত কিছুদিন ধরে মোদী বিরোধীতার সুরকে যেভাবে চড়া মাত্রায় নিযে যাচ্চিলেন, এই ধরনার মাধ্যম তাকেই নির্বাচনের আগে ঐক্যবদ্ধ বিরোধীতার নতুন পর্যায়ে নিয়ে গিযেছেন। আর তাই ধরণা তুলে নেবার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’র পক্ষ থেকে চন্দ্রবাবু নায়ডু ঘোষণা করেছেন, ধরনা আপাতত শেষ করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করছে ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার ছাতার তলায় থাকা সব দল। কিন্তু লড়াই থামছে না। যুক্তিযুক্ত উপসংহারে না পৌঁছনো পর্যন্ত এই লড়াই চলবে। মমতা এটাই চেয়েছিলেন যে, লড়াই যতক্ষন চলবে ততক্ষন তাঁর জেহাদী মূর্তি গোটা দেশকে মোদী বিরোধীতায় অভিভুত করে রাখবে। সেটা যত ঘনীভ’ত হবে ততই বিরোধীদের বিজেপি বিরোধী লড়াই সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাবে। আর তখনই আসল অঙ্ক নিয়ে কাটাকুটি হবে, কে হবেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী। যদিও মমতার ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার ছাতার তলায় থাকা অধিকাংশ দলই মনে করে, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পরবর্তী জোট সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে। কিন্তু কংগ্রেস তার ক্ষয়িষ্ণুতাকে কাটিয়ে উঠে শক্তিশালী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে না পারলে, রাহুলকেই বলতে হবে অন্য কোনও নেতার কথা। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ থেকে লোকসভার সবচেয়ে বেশি আসনের দাবী ( মমতার দাবি রাজ্যের ৪২টির মধ্যে ৪২টি তিনি পাবেন)যদি দিনের আলোতে ডানা মেলতে পারে তাহলে মমতাই হবেন সেই নেতা। এই লক্ষ্যেই মমতা যেমন ঘুঁটি সাজিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপ নিচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি যাতে কোনও আসন দখল করতে না পারে সেজন্য মমতা রাজ্যে বিজেপিকে সভাসমিতি করতে দিচ্চেন না। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, সভাস্থলের অনুমতি না দিয়ে, হেলিকপ্টার নামতে বাধা সৃষ্টি করে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছেন। মমতা বিজেপির রথযাত্রাকে যেমন নিপুনতার সঙ্গে আটকে দিযেছেন তেমনি বিজেপির নির্বাচনী প্রচারও ভোতা করে দেবার সব ব্যবস্থা করছেন। লক্ষ্য একটাই রাজ্যের সব কটি আসন পেয়ে জাতীয রাজণীতির শীর্ষে থাকা। এই আশাতে ভর করেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরাও বাঙালি প্রধানমন্ত্রী দেখার স্বপ্নে বিভোর হয়ে উঠেছে। এটা ঠিক যে, মমতা এই মুহূর্তে জাতীয রাজনীতির নির্ণায়ক চরিত্রের ভূমিকায় থাকলেও শেষ পর্য›ত সব অঙ্ক সঠিকভাবে মিলে যাওয়ার উপরই নির্ভর করছে সবকিছু।
No comments