আফগানিস্তানে কর্তৃত্ব হারাচ্ছে সরকার, ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র
আফগানিস্তানের
বিভিন্ন এলাকায় ক্রমাগতভাবে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে দেশটির সরকারি বাহিনী।
অন্যদিকে তালেবানরা তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করে চলেছে। তালেবানদের বিরুদ্ধে
মার্কিন বিমান হামলা বৃদ্ধির পরও এই অবস্থা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি
পর্যবেক্ষক সংস্থার রিপোর্টের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে সাউথ এশিয়া মনিটর।
ইউএস স্পেশাল ইন্সপেক্টর জেনারেল ফর আফগান রিকন্সট্রাকশন (এসআইজিএআর)’র
সর্বশেষ ত্রৈমাসিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত
আফগানিস্তানের ৪০৭টি জেলার মধ্যে ৫৩.৮ শতাংশ সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে
ছিলো। এই এলাকায় দেশের ৬৩.৫ শতাংশ মানুষের বাস। দেশটির বাকি এলাকা
তালেবানের নিয়ন্ত্রণে বা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়াই চলছে।
আফগানিস্তানে ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। এই যুদ্ধ অবসানে তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে বলে বিশেষ মার্কিন দূত জালমি খলিলজাদ ঘোষণা দেয়ার একদিন পর বৃহস্পতিবার ওই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।
এসআইজিএআর জানায়, ন্যাটো বাহিনী ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ শুরুর পর জনবল কমে গিয়ে বর্তমানে ৩০৮,৬৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে। যা প্রাথমিক জনবলের ৮৭.৭ শতাংশ।
‘কাদায় আটকে গেছে’
আফগানিস্তানে ন্যাটোর নেতৃত্বাধিন মিশনে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪,০০০ সেনা অংশ নিচ্ছে। এই বাহিনী রেজুলেট সাপোর্ট নামে পারিচিত। এই বাহিনী মূলত আইএস ও আলকায়দার মতো জঙ্গিগ্রুুপগুলোর বিরুদ্ধে আলাদাভাবে সন্ত্রাসবিরোধী অপারেশন চালিয়ে থাকে। এছাড়া রেজুলেট সাপোর্ট বাহিনীতে আরো ৩৮টি দেশের ৮,০০০ সেনা রয়েছে। কাবুলের মোরা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইনতিজার খাদিম বলেন যে, এসআইজিএআর রিপোর্ট থেকে বুঝা যায় যুক্তরাষ্ট্রকে তার কৌশল বদলাতে হবে। তিনি আলজাজিরাকে বলেন, এটা শুধু যে তালেবানরা আরো ভূমি দখল করছে তা নয়, আমরা কেন যুদ্ধে জয়ী হচ্ছি না সেটাও দেখা উচিত। আমরা কেন ১৭ বছর ধরে কাদায় আটকে আছি সেটা দেখতে হবে। এরপরও কেন যুক্তরাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আফগান সরকার দাবি করে চলেছে যে তারা লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে। অথচ তাদের রিপোর্টেই বলা হচ্ছে আফগান সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা ভূখ-ের আয়তন কমে আসছে। আলোচনা সঠিক পথে তা অগ্রসর না হলে আমরা সফল হবো না।
বিমান হামলা বৃদ্ধি
গত সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের মিটিংয়ে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বলেছেন ২০১৪ সালে তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ৪৫,০০০ সদস্য নিহত হয়েছে। নিরাপত্তা সমস্যা অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে এসআইজিএআর জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালের প্রথম ১১ মাসে আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনী ৬,৮২৩টি বোমা ফেলেছে। এসআইজিএআর রিপোর্টে বলা হয়, এই বছর নিক্ষেপ করা বোমার সংখ্যা ২০১৭ সালের চেয়ে ৫৬ শতাংশ এবং ২০১৬ সালের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি। ইউএন এসিসটেন্স মিশন ইন আফগানিস্তান জানায়, ২০১৮ সালের প্রথম ৯ মাসে দেশটিতে ৮,০৫০ জন বেসামরিক ব্যক্তি হতাহত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩৬ জন নিহত ও ৩৩৬ জন আহত হয়েছে মার্কিন ও আফগান বাহিনীর বিমান হামলায়। ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধিন বহুজাতিক বাহিনী হামলা চালিয়ে কাবুলের ক্ষমতা থেকে তালেবানদের উৎখাত করে। তার পর থেকে দেশটিতে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে।
আফগানিস্তানে ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। এই যুদ্ধ অবসানে তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে বলে বিশেষ মার্কিন দূত জালমি খলিলজাদ ঘোষণা দেয়ার একদিন পর বৃহস্পতিবার ওই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।
এসআইজিএআর জানায়, ন্যাটো বাহিনী ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ শুরুর পর জনবল কমে গিয়ে বর্তমানে ৩০৮,৬৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে। যা প্রাথমিক জনবলের ৮৭.৭ শতাংশ।
‘কাদায় আটকে গেছে’
আফগানিস্তানে ন্যাটোর নেতৃত্বাধিন মিশনে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪,০০০ সেনা অংশ নিচ্ছে। এই বাহিনী রেজুলেট সাপোর্ট নামে পারিচিত। এই বাহিনী মূলত আইএস ও আলকায়দার মতো জঙ্গিগ্রুুপগুলোর বিরুদ্ধে আলাদাভাবে সন্ত্রাসবিরোধী অপারেশন চালিয়ে থাকে। এছাড়া রেজুলেট সাপোর্ট বাহিনীতে আরো ৩৮টি দেশের ৮,০০০ সেনা রয়েছে। কাবুলের মোরা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইনতিজার খাদিম বলেন যে, এসআইজিএআর রিপোর্ট থেকে বুঝা যায় যুক্তরাষ্ট্রকে তার কৌশল বদলাতে হবে। তিনি আলজাজিরাকে বলেন, এটা শুধু যে তালেবানরা আরো ভূমি দখল করছে তা নয়, আমরা কেন যুদ্ধে জয়ী হচ্ছি না সেটাও দেখা উচিত। আমরা কেন ১৭ বছর ধরে কাদায় আটকে আছি সেটা দেখতে হবে। এরপরও কেন যুক্তরাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আফগান সরকার দাবি করে চলেছে যে তারা লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে। অথচ তাদের রিপোর্টেই বলা হচ্ছে আফগান সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা ভূখ-ের আয়তন কমে আসছে। আলোচনা সঠিক পথে তা অগ্রসর না হলে আমরা সফল হবো না।
বিমান হামলা বৃদ্ধি
গত সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের মিটিংয়ে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বলেছেন ২০১৪ সালে তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ৪৫,০০০ সদস্য নিহত হয়েছে। নিরাপত্তা সমস্যা অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে এসআইজিএআর জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালের প্রথম ১১ মাসে আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনী ৬,৮২৩টি বোমা ফেলেছে। এসআইজিএআর রিপোর্টে বলা হয়, এই বছর নিক্ষেপ করা বোমার সংখ্যা ২০১৭ সালের চেয়ে ৫৬ শতাংশ এবং ২০১৬ সালের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি। ইউএন এসিসটেন্স মিশন ইন আফগানিস্তান জানায়, ২০১৮ সালের প্রথম ৯ মাসে দেশটিতে ৮,০৫০ জন বেসামরিক ব্যক্তি হতাহত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩৬ জন নিহত ও ৩৩৬ জন আহত হয়েছে মার্কিন ও আফগান বাহিনীর বিমান হামলায়। ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধিন বহুজাতিক বাহিনী হামলা চালিয়ে কাবুলের ক্ষমতা থেকে তালেবানদের উৎখাত করে। তার পর থেকে দেশটিতে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে।
No comments