খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যত মামলা by তোফায়েল হোসাইন
বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবাসের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে শুক্রবার (৮
ফেব্রুয়ারি)। গত বছরের এই দিন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে জিয়া অরফানেজ
ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ
আখতারুজ্জামান। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয়
কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। গত এক বছর ধরে খালেদা জিয়া এ বিশেষ কারাগারে
অন্তরীণ আছেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ বাতিল চেয়ে করা আপিলে সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন উচ্চ আদালত।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় একই আদালত খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ সাজা বাতিল ও খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে তার আইনজীবীরা আবেদন করলেও এখনও শুনানিতে অংশ নেননি। জামিনের বিষয়ে উচ্চ আদালতে কোনও আদেশ হয়নি।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদিন মেজবাহ বলেন, ‘খালেদা জিয়া সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত। মূলত মামলা দিয়ে তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে চিরতরে শেষ করার ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা আশা করি, অতি শিগগিরই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খালেদা জিয়া কারামুক্তি পাবেন।’
এ দুই মামলা ছাড়াও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও ৩৩টি মামলা রয়েছে যার মধ্যে ২২টি বিচারাধীন। তদন্ত চলছে আটটির এবং আদালতের নির্দেশে তিনটি মামলার কার্যক্রম স্থগিত আছে। এদিকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাগুলোর মধ্যে, গ্যাটকো দুর্নীতির মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু সৈয়দ দিলজার হোসেনের আদালতে বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। এ মামলায় বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে হাজিরা দেন তিনি। আদালতে খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়।
এদিকে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ এ এইচ এম রুহুল ইমরানের আদালতে ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য আছে।
এছাড়া খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে বিচারাধীন মামলাগুলোর মধ্যে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ভুয়া জন্মদিন পালন ও যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার দুই মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুরের আদালতে ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম। এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশের জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালতে ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত থেকে মানহানির একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক। এছাড়া খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার বাইরে নড়াইলে মানহানির একটি এবং কুমিল্লায় হত্যা মামলা, বিস্ফোরণ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, রাষ্ট্রদ্রোহ ও নাশকতার ১১টি মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ -এর আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য আছে। মামলাগুলো হলো দারুস সালাম থানার নাশকতার আট মামলা, যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলাসহ দুই মামলা এবং রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা।
এছাড়া খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় নাশকতা ও মানহানির আটটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। আর গুলশান ও দারুস সালাম থানার করা নাশকতাসহ ড্যান্ডি ডায়িং মামলাটি উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ বাতিল চেয়ে করা আপিলে সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন উচ্চ আদালত।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় একই আদালত খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ সাজা বাতিল ও খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে তার আইনজীবীরা আবেদন করলেও এখনও শুনানিতে অংশ নেননি। জামিনের বিষয়ে উচ্চ আদালতে কোনও আদেশ হয়নি।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদিন মেজবাহ বলেন, ‘খালেদা জিয়া সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত। মূলত মামলা দিয়ে তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে চিরতরে শেষ করার ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা আশা করি, অতি শিগগিরই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খালেদা জিয়া কারামুক্তি পাবেন।’
এ দুই মামলা ছাড়াও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও ৩৩টি মামলা রয়েছে যার মধ্যে ২২টি বিচারাধীন। তদন্ত চলছে আটটির এবং আদালতের নির্দেশে তিনটি মামলার কার্যক্রম স্থগিত আছে। এদিকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাগুলোর মধ্যে, গ্যাটকো দুর্নীতির মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু সৈয়দ দিলজার হোসেনের আদালতে বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। এ মামলায় বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে হাজিরা দেন তিনি। আদালতে খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়।
এদিকে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ এ এইচ এম রুহুল ইমরানের আদালতে ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য আছে।
এছাড়া খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে বিচারাধীন মামলাগুলোর মধ্যে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ভুয়া জন্মদিন পালন ও যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার দুই মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুরের আদালতে ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম। এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশের জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালতে ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত থেকে মানহানির একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক। এছাড়া খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার বাইরে নড়াইলে মানহানির একটি এবং কুমিল্লায় হত্যা মামলা, বিস্ফোরণ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, রাষ্ট্রদ্রোহ ও নাশকতার ১১টি মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ -এর আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য আছে। মামলাগুলো হলো দারুস সালাম থানার নাশকতার আট মামলা, যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলাসহ দুই মামলা এবং রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা।
এছাড়া খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় নাশকতা ও মানহানির আটটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। আর গুলশান ও দারুস সালাম থানার করা নাশকতাসহ ড্যান্ডি ডায়িং মামলাটি উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে।
No comments