হুজি নেতা তাইজউদ্দিনকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন বাবর- আজ রিমান্ডের শুনানি by শংকর কুমার দে
বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী
আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই হরকত-উল-জিহাদ (হুজি) নেতা মাওলানা তাইজউদ্দিনকে
বিদেশে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছিলেন জোটের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
লুৎফুজ্জামান বাবর।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবেক
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের আজ রিমান্ড শুনানি হবে। সাবেক অর্থমন্ত্রী
শাহ্ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় তাকে রিমান্ডে আনার উদ্যোগ নিয়েছে
সিআইডি। সিআইডি হেফাজতে কিবরিয়া হত্যা মামলায় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা
হচ্ছে কিবরিয়া হত্যাকা-ের সময় গ্রেনেড নিৰেপকারী হুজি সদস্য মিজানুর রহমান
মিঠুকে। জিজ্ঞাসাবাদে মিঠু জানিয়েছে, জোট সরকারের সময়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র
প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর মাওলানা তাইজউদ্দিনকে বিদেশে পাঠানো এবং
দেশে অবস্থানরত হুজির জঙ্গীদের গ্রেফতার না করার জন্য সহযোগিতা করেছে। এ
খবর সংশিস্নষ্ট সূত্রের।
সিআইডির এসপি আবদুল কাহ্হার আকন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলায় সিআইডি হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে হুজির জঙ্গী মিজানুর রহমান মিঠুকে। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকেও এই মামলায় রিমান্ডে আনার আবেদন জানানো হয়েছে। আজ শুনানি হবে।
কিবরিয়া হত্যা মামলার তদনত্মকারী কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর হুজি নেতাকে বিদেশে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা ও দেশের হুজিদের গ্রেফতার না করার ব্যাপারে তার সংশিস্নষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে। কিবরিয়া হত্যা মামলায় তাকে রবিবার রিমান্ড পাওয়া গেলে সিআইডি হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই হুজি নেতা মাওলানা তাইজউদ্দিন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সরবরাহকারী ও পরিকল্পনাকারী। সাবেক উপমন্ত্রী পিন্টুর বাসায় বসে গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সাবেক উপমন্ত্রী পিন্টুর গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা ও পরিকল্পনা বাসত্মবায়নে সহায়তা করার তথ্য পাওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকেও রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আবারও তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
আইডিপি নেতা মাওলানা আবদুস সালাম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বলেছে, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার গ্রেনেড সরবরাহকারী ও পরিকল্পনাকারী মাওলানা তাইজউদ্দিনকে গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তাইজউদ্দিনকে পাকিসত্মানে পাঠানোর জন্য বিমানে তুলে দেয়া হয়। আবদুস সালামের দেয়া জবানবন্দী অনুযায়ী সে নিজে মাওলানা তাইজউদ্দিনকে নিয়ে বিশেষ এক গোয়েন্দা সংস্থার অফিসে মিলিত হয়। গোয়েন্দা অফিসে মাওলানা তাইজউদ্দিন ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা গভীর রাত পর্যনত্ম গোপন বৈঠক করেন। তারপর মাওলানা তাইজউদ্দিনের বাসা থেকে তার পাসপোর্ট আনানো হয়। পাসপোর্ট আনানোর কয়েক দিনের মধ্যেই মাওলানা তাইজউদ্দিনকে পাকিসত্মানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এসব ঘটনা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো। বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার অফিসে মাওলানা তাইজউদ্দিনের সঙ্গে মাওলানা আবদুস সালামের দ্বিতীয় দফা দেখা হয়। দ্বিতীয় দফায় দেখা হওয়ার পর মাওলানা তাইজউদ্দিন তাকে বলেছে, শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার উদেশ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সে হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও অন্যদেরকে সহায়তা করেছে। শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে না পারায় জোট সরকারের কয়েক মন্ত্রী ও প্রভাবশালী মহল তার ওপর ভীষণ ৰুব্ধ হয় বলে মাওলানা তাইজউদ্দিন বলেছে তাকে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আগে ২০০৪ সালে নুরানী মাদ্রাসা বোর্ডে মুফতি হান্নানের সঙ্গে দেখা হয় তার। সে সময় মোহাম্মদপুরের এক মসজিদে জোহরের নামাজ শেষে তারা বৈঠক করে। এই বৈঠকে মুফতি আবদুল হান্নান, মাওলানা আবদুস সালাম ছাড়াও কাশ্মীরের নাগরিক আবু ইউসুফ ওরফে মজিদ বাট উপস্থিত ছিল।
সিআইডি ৭ দিনের রিমান্ডে এনে হুজির জঙ্গী কিবরিয়ার ওপর গ্রেনেড নিৰেপকারী মিজানুর রহমান মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সে বলেছে, মাওলানা তাইজউদ্দিনই ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা ও কিবরিয়া হত্যাকা-ের পরিকল্পনাকারী সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর সহযোগিতায় মাওলানা তাইজউদ্দিনকে পাকিসত্মানে পালিয়ে যেতে সাহায্য করা হয়েছে। হুজির প্রধান মুফতি আবদুল হান্নান গ্রেফতার হওয়ার পর হুজির জঙ্গীরা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও কিবরিয়া হত্যা মামলায় জড়িত থাকার ব্যাপারে তথ্য দেয়ার পরও তাদের গ্রেফতার এড়িয়ে দেশের ভেতরে জঙ্গী তৎপরতা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সহযোগিতা করা হয়েছে। হুজির জঙ্গী সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার ওপর গ্রেনেড নিৰেপকারী মিজানুর রহমান মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর ও গুরম্নত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
সিআইডির এসপি আবদুল কাহ্হার আকন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলায় সিআইডি হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে হুজির জঙ্গী মিজানুর রহমান মিঠুকে। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকেও এই মামলায় রিমান্ডে আনার আবেদন জানানো হয়েছে। আজ শুনানি হবে।
কিবরিয়া হত্যা মামলার তদনত্মকারী কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর হুজি নেতাকে বিদেশে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা ও দেশের হুজিদের গ্রেফতার না করার ব্যাপারে তার সংশিস্নষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে। কিবরিয়া হত্যা মামলায় তাকে রবিবার রিমান্ড পাওয়া গেলে সিআইডি হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই হুজি নেতা মাওলানা তাইজউদ্দিন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সরবরাহকারী ও পরিকল্পনাকারী। সাবেক উপমন্ত্রী পিন্টুর বাসায় বসে গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সাবেক উপমন্ত্রী পিন্টুর গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা ও পরিকল্পনা বাসত্মবায়নে সহায়তা করার তথ্য পাওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকেও রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আবারও তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
আইডিপি নেতা মাওলানা আবদুস সালাম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বলেছে, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার গ্রেনেড সরবরাহকারী ও পরিকল্পনাকারী মাওলানা তাইজউদ্দিনকে গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তাইজউদ্দিনকে পাকিসত্মানে পাঠানোর জন্য বিমানে তুলে দেয়া হয়। আবদুস সালামের দেয়া জবানবন্দী অনুযায়ী সে নিজে মাওলানা তাইজউদ্দিনকে নিয়ে বিশেষ এক গোয়েন্দা সংস্থার অফিসে মিলিত হয়। গোয়েন্দা অফিসে মাওলানা তাইজউদ্দিন ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা গভীর রাত পর্যনত্ম গোপন বৈঠক করেন। তারপর মাওলানা তাইজউদ্দিনের বাসা থেকে তার পাসপোর্ট আনানো হয়। পাসপোর্ট আনানোর কয়েক দিনের মধ্যেই মাওলানা তাইজউদ্দিনকে পাকিসত্মানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এসব ঘটনা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো। বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার অফিসে মাওলানা তাইজউদ্দিনের সঙ্গে মাওলানা আবদুস সালামের দ্বিতীয় দফা দেখা হয়। দ্বিতীয় দফায় দেখা হওয়ার পর মাওলানা তাইজউদ্দিন তাকে বলেছে, শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার উদেশ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সে হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও অন্যদেরকে সহায়তা করেছে। শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে না পারায় জোট সরকারের কয়েক মন্ত্রী ও প্রভাবশালী মহল তার ওপর ভীষণ ৰুব্ধ হয় বলে মাওলানা তাইজউদ্দিন বলেছে তাকে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আগে ২০০৪ সালে নুরানী মাদ্রাসা বোর্ডে মুফতি হান্নানের সঙ্গে দেখা হয় তার। সে সময় মোহাম্মদপুরের এক মসজিদে জোহরের নামাজ শেষে তারা বৈঠক করে। এই বৈঠকে মুফতি আবদুল হান্নান, মাওলানা আবদুস সালাম ছাড়াও কাশ্মীরের নাগরিক আবু ইউসুফ ওরফে মজিদ বাট উপস্থিত ছিল।
সিআইডি ৭ দিনের রিমান্ডে এনে হুজির জঙ্গী কিবরিয়ার ওপর গ্রেনেড নিৰেপকারী মিজানুর রহমান মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সে বলেছে, মাওলানা তাইজউদ্দিনই ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা ও কিবরিয়া হত্যাকা-ের পরিকল্পনাকারী সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর সহযোগিতায় মাওলানা তাইজউদ্দিনকে পাকিসত্মানে পালিয়ে যেতে সাহায্য করা হয়েছে। হুজির প্রধান মুফতি আবদুল হান্নান গ্রেফতার হওয়ার পর হুজির জঙ্গীরা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও কিবরিয়া হত্যা মামলায় জড়িত থাকার ব্যাপারে তথ্য দেয়ার পরও তাদের গ্রেফতার এড়িয়ে দেশের ভেতরে জঙ্গী তৎপরতা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সহযোগিতা করা হয়েছে। হুজির জঙ্গী সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার ওপর গ্রেনেড নিৰেপকারী মিজানুর রহমান মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর ও গুরম্নত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
No comments