টিআইয়ের জরিপ-অস্ত্র বাণিজ্যে দুর্নীতি রোধে বেশির ভাগ দেশই নীরব
বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ অস্ত্র বাণিজ্যে দুর্নীতি ঠেকাতে খুব সামান্যই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়। ফলে প্রতিবছর প্রতিরক্ষা খাতে কমপক্ষে দুই হাজার কোটি ডলার নয়ছয় হয়।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দাবি, বড় অস্ত্র আমদানিকারক দেশগুলোসহ ৭০ শতাংশ দেশে সামরিক খাতের দুর্নীতি প্রতিরোধী ব্যবস্থায় ঘাটতি আছে। প্রথমবারের মতো পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য তুলে ধরেছে টিআই। জরিপের ফল গত মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে।
বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা টিআইয়ের মতে, সামরিক খাতের স্বচ্ছতা অবশ্যই নিশ্চিত করা দরকার। এ খাতের দুর্নীতির পরিণাম হয় ভয়াবহ। এতে সামরিক বাহিনীর সাধারণ সেনা, সংশ্লিষ্ট কম্পানি ও সরকারকে যেমন মূল্য দিতে হয়, তেমনি এতে গচ্চা যাওয়া অর্থের জোগান দিতে হয় জনগণকে। টিআইয়ের প্রত্যাশা, তাদের করা সরকারের দুর্নীতিবিরোধী প্রতিরক্ষা সূচকের (জিডিএসিআই) চিত্র থেকে সামরিক খাতে স্বচ্ছতা আনার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা পাবে সরকারগুলো।
২০১১ সালে বিশ্বে সামরিক খাতে ব্যয় হয়েছিল ১ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার। এর ৯৪ শতাংশই ব্যয় করে মাত্র ৮২টি দেশ। এ ৮২ দেশের ওপরই জরিপটি পরিচালনা করা হয়েছে। দুর্নীতির ঝুঁকির দিক বিবেচনায় এসব দেশকে ভাগ করা হয়েছে ছয় শ্রেণীতে। এর মধ্যে 'এফ' শ্রেণীতে থাকা দেশগুলোতে সামরিক খাতে দুর্নীতির ঝুঁকিকে 'ক্রিটিক্যাল' বলছে টিআই। এ শ্রেণীতে থাকা ৯টি দেশের কয়েকটি হলো আলজেরিয়া, এঙ্গোলা, মিসর, লিবিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেন। 'ই' শ্রেণীতে থাকা ১৮টি দেশে সামরিক খাতে দুর্নীতির ঝুঁকি 'খুব বেশি'। এসব দেশের কয়েকটি হলো সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, ওমান, শ্রীলঙ্কা, ভেনিজুয়েলা, ইরান, ইরাক, নাইজেরিয়া, মরক্কো, কাতার, উজবেকিস্তান ও জিম্বাবুয়ে। জিডিএসিআই অনুযায়ী, মাত্র দুটি দেশে সামরিক খাতে দুর্নীতির ঝুঁকি 'সবচেয়ে কম'। দেশ দুটি হলো অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানি। তারা পড়েছে 'এ' শ্রেণীতে। আর ঝুঁকি 'কমের' শ্রেণী 'বি'-তে থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া।
জরিপে দুর্নীতির ঝুঁকির ক্ষেত্রে আমলে নেওয়া পাঁচটি বিষয় হলো রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক বাহিনী বা প্রতিরক্ষা খাতে নিয়োজিত সদস্যদের ভূমিকা, সামরিক বাহিনীর কার্যক্রম (অপারেশন) পরিচালনা ও ক্রয়। বিশ্বব্যাংক ও স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জরিপের সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে। এসআইপিআরআই সংঘাত, সামরিক বাহিনী ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয় নিয়ে গবেষণা করে।
টিআইয়ের দাবি, বছরে কমপক্ষে দুই হাজার কোটি ডলারের দুর্নীতি হয় সামরিক খাতে। ২০০৯ সালে জি-৮-ভুক্ত দেশগুলো বিশ্বের দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এই পরিমাণ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র ১৫ শতাংশ দেশে প্রতিরক্ষানীতির ওপর রাজনৈতিক তদারকির ব্যবস্থা বলবৎ আছে। ৪৫ শতাংশের ক্ষেত্রে সামান্য মাত্রায় তদারকি অথবা আদৌ তদারকির কোনো ব্যবস্থা নেই। জরিপভুক্ত ৮২ দেশের ৫০ শতাংশের ক্ষেত্রে সামরিক ক্রয় নিরীক্ষার নূ্যনতম তথ্য-উপাত্তও পাওয়া যায়নি। টিআইয়ের দাবি, অস্ত্র-সংক্রান্ত প্রকল্পে সরকারি খরচের ব্যাপারে ৭০ শতাংশ দেশের মানুষকে কিছুই জানতে দেওয়া হয় না। এসব দেশে সামরিক খাতে দুর্নীতি মোকাবিলায় কার্যকরী ব্যবস্থারও ঘাটতি আছে। এই কাতারের অর্ধেক দেশে সামরিক বাজেটের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র স্বচ্ছতা নেই। ফলে সব মিলিয়ে যেমন অর্থ অপচয়ের সুযোগ তৈরি হয়, তেমনই দুর্নীতির ঝুঁকিও তৈরি হয় এসব দেশে।
প্রতিবেদনটি তৈরিতে যুক্ত প্রধান ব্যক্তি অলিভার কভার জানান, এই সূচক প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির ঝুঁকি কতটা বিপজ্জনক অবস্থায় আছে, তা তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, 'আমাদের আশা, এর মাধ্যমে সবাই সামরিক খাতের ঝুঁকির ব্যাপারটি অনুধাবন করতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।' সূত্র : গার্ডিয়ান।
বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা টিআইয়ের মতে, সামরিক খাতের স্বচ্ছতা অবশ্যই নিশ্চিত করা দরকার। এ খাতের দুর্নীতির পরিণাম হয় ভয়াবহ। এতে সামরিক বাহিনীর সাধারণ সেনা, সংশ্লিষ্ট কম্পানি ও সরকারকে যেমন মূল্য দিতে হয়, তেমনি এতে গচ্চা যাওয়া অর্থের জোগান দিতে হয় জনগণকে। টিআইয়ের প্রত্যাশা, তাদের করা সরকারের দুর্নীতিবিরোধী প্রতিরক্ষা সূচকের (জিডিএসিআই) চিত্র থেকে সামরিক খাতে স্বচ্ছতা আনার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা পাবে সরকারগুলো।
২০১১ সালে বিশ্বে সামরিক খাতে ব্যয় হয়েছিল ১ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার। এর ৯৪ শতাংশই ব্যয় করে মাত্র ৮২টি দেশ। এ ৮২ দেশের ওপরই জরিপটি পরিচালনা করা হয়েছে। দুর্নীতির ঝুঁকির দিক বিবেচনায় এসব দেশকে ভাগ করা হয়েছে ছয় শ্রেণীতে। এর মধ্যে 'এফ' শ্রেণীতে থাকা দেশগুলোতে সামরিক খাতে দুর্নীতির ঝুঁকিকে 'ক্রিটিক্যাল' বলছে টিআই। এ শ্রেণীতে থাকা ৯টি দেশের কয়েকটি হলো আলজেরিয়া, এঙ্গোলা, মিসর, লিবিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেন। 'ই' শ্রেণীতে থাকা ১৮টি দেশে সামরিক খাতে দুর্নীতির ঝুঁকি 'খুব বেশি'। এসব দেশের কয়েকটি হলো সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, ওমান, শ্রীলঙ্কা, ভেনিজুয়েলা, ইরান, ইরাক, নাইজেরিয়া, মরক্কো, কাতার, উজবেকিস্তান ও জিম্বাবুয়ে। জিডিএসিআই অনুযায়ী, মাত্র দুটি দেশে সামরিক খাতে দুর্নীতির ঝুঁকি 'সবচেয়ে কম'। দেশ দুটি হলো অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানি। তারা পড়েছে 'এ' শ্রেণীতে। আর ঝুঁকি 'কমের' শ্রেণী 'বি'-তে থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া।
জরিপে দুর্নীতির ঝুঁকির ক্ষেত্রে আমলে নেওয়া পাঁচটি বিষয় হলো রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক বাহিনী বা প্রতিরক্ষা খাতে নিয়োজিত সদস্যদের ভূমিকা, সামরিক বাহিনীর কার্যক্রম (অপারেশন) পরিচালনা ও ক্রয়। বিশ্বব্যাংক ও স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জরিপের সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে। এসআইপিআরআই সংঘাত, সামরিক বাহিনী ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয় নিয়ে গবেষণা করে।
টিআইয়ের দাবি, বছরে কমপক্ষে দুই হাজার কোটি ডলারের দুর্নীতি হয় সামরিক খাতে। ২০০৯ সালে জি-৮-ভুক্ত দেশগুলো বিশ্বের দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এই পরিমাণ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র ১৫ শতাংশ দেশে প্রতিরক্ষানীতির ওপর রাজনৈতিক তদারকির ব্যবস্থা বলবৎ আছে। ৪৫ শতাংশের ক্ষেত্রে সামান্য মাত্রায় তদারকি অথবা আদৌ তদারকির কোনো ব্যবস্থা নেই। জরিপভুক্ত ৮২ দেশের ৫০ শতাংশের ক্ষেত্রে সামরিক ক্রয় নিরীক্ষার নূ্যনতম তথ্য-উপাত্তও পাওয়া যায়নি। টিআইয়ের দাবি, অস্ত্র-সংক্রান্ত প্রকল্পে সরকারি খরচের ব্যাপারে ৭০ শতাংশ দেশের মানুষকে কিছুই জানতে দেওয়া হয় না। এসব দেশে সামরিক খাতে দুর্নীতি মোকাবিলায় কার্যকরী ব্যবস্থারও ঘাটতি আছে। এই কাতারের অর্ধেক দেশে সামরিক বাজেটের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র স্বচ্ছতা নেই। ফলে সব মিলিয়ে যেমন অর্থ অপচয়ের সুযোগ তৈরি হয়, তেমনই দুর্নীতির ঝুঁকিও তৈরি হয় এসব দেশে।
প্রতিবেদনটি তৈরিতে যুক্ত প্রধান ব্যক্তি অলিভার কভার জানান, এই সূচক প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির ঝুঁকি কতটা বিপজ্জনক অবস্থায় আছে, তা তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, 'আমাদের আশা, এর মাধ্যমে সবাই সামরিক খাতের ঝুঁকির ব্যাপারটি অনুধাবন করতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।' সূত্র : গার্ডিয়ান।
No comments