মায়ের কোলে ফিরছে আতিয়া
২০০৯ সালের ৬ নভেম্বর আতিয়া আঞ্জুম উইলকিনসনের তৃতীয় জন্মদিনে তিন বছর পূর্ণ হলো মাত্র। সেদিনই তার বাবা রেজওয়ান আলি আঞ্জুম বলেছিলেন, তিনি আতিয়াকে নিয়ে সাউথপোর্টে যাচ্ছেন। রেজওয়ান তাঁর বদলে আতিয়াকে নিয়ে পাকিস্তানে পাড়ি জমান।
এর আগে ২০০৮ সালে আতিয়ার বাবা-মা সম্পর্ক ছিন্ন করেন। তৃতীয় জন্মদিনেই মা জেমা উইলকিনসন (৩২) তাঁর মেয়েকে শেষ দেখেছেন। এরপর জেমা বেশ কয়েকবার আতিয়ার খোঁজ করলে রেজওয়ান তাঁকে কিছু জানাননি। তখন আতিয়ার অবস্থান জানতে রেজওয়ানের বিরুদ্ধে জেমা আইনের আশ্রয় নেন। যুক্তরাজ্যের উচ্চ আদালত মেয়ের অবস্থান জানতে চেয়ে রেজওয়ানের ওপর আদেশ জারি করেন। কিন্তু রেজওয়ান তা জানাতে অস্বীকার করলে তাঁকে প্রথমে দুই বছর, তারপর ছয় মাস এবং তারপর আরো ১২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তৃতীয় দফা কারাভোগ শেষে আদালতের শুনানিতে রেজওয়ান জানান, আতিয়া পাকিস্তান অথবা ইরানে আছে। তবে তার সঠিক অবস্থান তাঁর জানা নেই। বিচারপতি মুর বলেছিলেন, 'আমি নিশ্চিত যে সে আদালত অবমাননা করছে। এ কথার কোনো অর্থই হয় না যে সে তার মেয়ের অবস্থান জানে না এবং মেয়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই। নিশ্চিয়ই সে মিথ্যা বলছে।' গত এপ্রিলে আদালত তাঁকে ১২ মাসের কারাদণ্ড দেন। এ নিয়ে তিনি এখন চতুর্থ দফা কারাভোগ করছেন।
আতিয়ার ষষ্ঠ জন্মদিনের চার দিন আগে গত ২ নভেম্বর পুলিশ কম্পিউটারে তৈরি একটি ছবি প্রকাশ করে। তিন বছর পর আতিয়ার সম্ভাব্য চেহারা কেমন হতে পারে, সেটা বোঝার জন্যই ই-ফিট (ইলেকট্রনিক ফেসিয়াল আইডেন্টিফিকেশন টেকনিক) ইমেজিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ এ ছবি বের করে। আর তারই সাহায্যে আতিয়ার দেখা মেলে পাকিস্তানের লাহোরে। বৃহত্তর ম্যানচেস্টার পুলিশ কর্তৃপক্ষ এ খবর নিশ্চিত করেছে। গতকাল শুক্রবার ম্যানচেস্টার বিমানবন্দরে মায়ের সঙ্গে আতিয়ার মিলিত হওয়ার কথা ছিল। সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান।
আতিয়ার ষষ্ঠ জন্মদিনের চার দিন আগে গত ২ নভেম্বর পুলিশ কম্পিউটারে তৈরি একটি ছবি প্রকাশ করে। তিন বছর পর আতিয়ার সম্ভাব্য চেহারা কেমন হতে পারে, সেটা বোঝার জন্যই ই-ফিট (ইলেকট্রনিক ফেসিয়াল আইডেন্টিফিকেশন টেকনিক) ইমেজিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ এ ছবি বের করে। আর তারই সাহায্যে আতিয়ার দেখা মেলে পাকিস্তানের লাহোরে। বৃহত্তর ম্যানচেস্টার পুলিশ কর্তৃপক্ষ এ খবর নিশ্চিত করেছে। গতকাল শুক্রবার ম্যানচেস্টার বিমানবন্দরে মায়ের সঙ্গে আতিয়ার মিলিত হওয়ার কথা ছিল। সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান।
No comments