সাঈদী ও বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে যে কোন দিন রায় ঘোষণা
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটককৃতদের মধ্যে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও জামায়াতের সাবেক রুকন আবুল কালাম আযাদ ওরুফে বাচ্চু রাজাকারের মামলা বিচারিক কার্যক্রম শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রেখেছে ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়াও জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মামলায় উভয়পক্ষের সাক্ষ্যগ্রহন শেষে প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনও শেষ হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি থেকে আসামীপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য তারিখ ধার্য করে দেয়া হয়েছে। এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর মামলার রায়ের তারিখ ধার্য হবে।গত বছর ৭ ডিসেম্বর সাঈদীর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
এক বছরের মাথায় মামলার সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী বাসস’কে জানান, সাঈদীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানে প্রয়োজনীয় তথ্য, উপাত্ত, সাক্ষ্য-প্রমাণ ও আইনী উপাদান পেশ করা হয়েছে।
যা অপরাধ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তির আর্জি পেশ করেছি। তিনি বলেন, মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-১ রায়ের জন্য অপেক্ষমান রেখেছে।
মামলায় সাঈদীর বিরুদ্ধে তালিকাভুক্ত মোট ২০ জন প্রত্যক্ষদর্শী এবং জব্দ তালিকা থেকে আরো ৯ জন মিলিয়ে ২৭ জন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও)সহ মোট ২৮জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বাকি আরো ৪৬ জন সাক্ষীর মধ্যে প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৬ জন সাক্ষীর তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া জবানবন্দিকে তাদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য হিসেবে আমলে নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। অপর দিকে সাফাই সাক্ষী হিসেবে সাঈদীর পক্ষে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। প্রসিকিউশন সাফাই সাক্ষীদের জেরা করেছে।
গত বছরের ১৪ জুলাই সাঈদীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয়া হয়। ৭ ডিসেম্বর থেকে সাঈদীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাঈদীকে একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেফতার করা হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১০ সালের ২ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গত বছরের ১৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
৩ অক্টোবর সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলায় বিচার শুরু হয়। সাঈদীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ এবং এ ধরনের অপরাধে সাহায্য করা ও জড়িত থাকার সুনির্দিস্ট ২০টি ঘটনায় অভিযোগ আনা হয়।
আবুল কালাম আযাদ ওরুফে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় যে কোনো দিন হতে পারে বলে জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল-২।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল ২৬ ডিসেম্বর এ আদেশ দেয়। প্রসিকিউশন ও আসামী উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেয়। ট্রাইব্যুনালের আদেশে বলা হয়, রায়ের দু-এক দিন আগে তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে। বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষে ২২ জন সাক্ষ্য দিয়েছে।
তবে আসামীপক্ষের আইনজীবী কোনো সাফাই সাক্ষী হাজির করতে পারেননি।
এ মামলায় প্রসিকিঊশনের পক্ষে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী ও সাহিদুর রহমান এবং আসামীপক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত (ডিফেন্স ল’ইয়ার) আইনজীবী আব্দুর শুকুর খান মামরা পরিচালনা করেন।
প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান বাসস’কে বলেন, বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে মোট ৮টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে সে বিষয়ে আমরা সাক্ষী ও তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করেছি এবং আনীত অপরাধ প্রমানে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানে আমরা আর্জি পেশ করেছি।
গত ৪ নভেম্বর বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে ৮টি সুনির্দিষ্ট ঘটনায় অভিযোগ গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে ১০টি ঘটনায় ২২টি অভিযোগের ভিত্তিতে মোট ৪৪৮ পৃষ্ঠার অভিযোগ দাখিল করা হয়।
৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল তার অনুপস্থিতিতে বিচার শুরুর আদেশ দিয়ে তার পক্ষে আইনী লড়াই করতে সরকারের খরচে মো. আব্দুস শুকুর খানকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেয়। গত ১১ অক্টোবর এ মামলার নথিপত্র (ডকুমেন্ট) ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে বুঝে নেয়। ৯ সেপ্টেম্বর বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
গত ২৬ জুলাই তদন্ত সংস্থা বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত কাজ শেষ করে। এর আগে তদন্তের স্বার্থে গত ৩ এপ্রিল বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। এরপর থেকে সে পলাতক রয়েছে।
পরে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ডেইলী স্টার ও জনকন্ঠ পত্রিকায় তাকে আদালতে হাজির হওয়ার হুলিয়া জারি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনাল।
আব্দুল কাদের মোল্লার মামলায় প্রসিকিউশনের যুক্তি উপস্থাপন গত ২৭ ডিসেম্বর সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি থেকে আসামীপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য তারিখ ধার্য করে দেয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ এ আদেশ দেয়। কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী।
তিনি বলেন, প্রসিকিউশন কাদের মোল্লার অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তার সবোর্চ্চ শাস্তির ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। গত ২৮ মে আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে পৃথক ৬টি ঘটনায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
একটি মামলায় তাকে ২০১০ সালের ১৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। পরে ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী সংস্থার এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই বছরের ২ আগষ্ট কাদের মোল্লাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আটক রাখার আদেশ দেয়া হয়।
এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় প্রথম দফায় আটককৃতদের মধ্যে জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম, বর্তমান আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ , জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত পৃথক দুটি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ বিচার কার্যক্রম চলছে।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু বাসস’কে জানান, সব ধরনের আইনী সুযোগ-সুবিধা এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় বিচার কার্যক্রম চলছে। প্রসিকিউশন ও আসামীপক্ষ এ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন ও বিধি অনুযায়ী মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া পরিচালনা করছেন। সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় এ বিচার কার্যক্রম সফল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রথমদফায় আটককৃতদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১এ রয়েছে গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং সালাউদ্দিন কাদের চোধুরীর মামলা।
ট্রাইব্যুনাল-২এ রয়েছে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা এবং বিএনপি নেতা আব্দুল আলীমের মামলা। আটককৃতদের মধ্যে একমাত্র আব্দুল আলীমই শর্ত সাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন।
এছাড়া দ্বিতীয় দফায় আরো ৫ জনের বিচার শুরু হচ্ছে। তারা হচ্ছেন-জামায়াতে ইসলামী নেতা আব্দুস সুবহান, এটিএম আজহারুল ইসলাম, মীর কাশেম আলী, চৌধুরী মাঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খান ।
এর মধ্যে আব্দুস সুবহান, এ টি এম আজহারুল ও মীর কাশেম আলী আটক রয়েছেন। চৌধুরী মাঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল ও গ্রেফতারের বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সানাঊল হক বাসস’কে এ কথা বলেন।
তদন্তকারী সংস্থার আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্তের স্বার্থে আব্দুস সুবহান, এ টি এম আজহার ও মীর কাশেম আলীকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া চৌধুরী মাঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানকে আটকের বিষয়ে প্রসিকিউশন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করবে বলেও জানান সানাউল হক।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আব্দুস সুবহানকে একটি মামলায় গত ২০ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর এক আবেদনের প্রেক্ষিতে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় তাকে আটক রাখার আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় তদন্তের সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তারিখ ধার্য্য রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে ২২ আগস্ট গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে ট্রাইব্যুনাল। ওইদিনই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধেও মামলার তদন্ত সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তারিখ ধার্য্য রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাশেম আলীকে তদন্তের স্বার্থে ইতোমধ্যে সেফ হোমে নিয়ে দুই দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা তদন্তের স্বার্থে এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের আদেশে গত ১৭ জুন মীর কাশেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
চৌধুরী মাঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালীন সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধসহ দেশের মেধাবী সন্তান বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যার সুনির্দিস্ট অভিযোগে ১১ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
তদন্ত সংস্থার প্রধান আব্দুল হান্নান খান ও জ্যেষ্ঠ তদন্ত কর্মকর্তা সানাউল হক বলেন, চৌধুরী মাঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামনের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর তদন্ত শুরু হয়ে গত ৯ অক্টোবর শেষ হয়।
প্রসিকিউশন এ দুজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র (ফরমাল চার্জ) ট্রাইব্যুনালে দাখিল করবে। তাদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল আইন ও বিধি অনুযায়ী আটকের প্রক্রিয়া ও বিচারিক কার্যক্রম শুরু করা হবে। অভিযোগ আমলে নেয়ার পর তারা হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতেই আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তারা।
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান বলেন , একাত্তরে আশরাফুজ্জামান ও মাঈনুদ্দীন ইসলামী ছাত্রসংঘের (জামায়াতের তৎকালীন ছাত্র সংগঠন) সদস্য ছিলেন। বর্তমানে আশরাফুজ্জামান খান আমেরিকা এবং চৌধুরী মাঈনুদ্দীন লন্ডন প্রবাসী বলে জানায় তদন্তকারী সংস্থা।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারের লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, তদন্তকারী সংস্থা ও আইনজীবী প্যানেল (প্রসিকিউশন) গঠন করা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রমকে আরো তরান্বিত করতে চলতি বছরের ২২ মার্চ আরো একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন-১৯৭৩ ও এর অধীনে প্রণীত রুলস অনুযায়ী এ বিচার কার্যক্রম চলছে। এ বিচার কার্যক্রমে প্রসিকিউশন ও আসামীপক্ষ সব ধরনের আইনী সুবিধার মধ্যদিয়ে নিজ নিজ পক্ষে আইনী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। গনমাধ্যম , বিভিন্ন পর্যবেক্ষকরা এ বিচারিক কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করছে।
বিশ্বের অন্যান্যদেশে এ সংক্রান্ত বিচারে আপিলের বিধান না থাকলেও আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন-১৯৭৩ এ আপিলের বিধান রাখা রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুদ্ধরা সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়েরের আইনী সুযোগ পাবেন।
আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গিকার মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত তথা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা। এ লক্ষ্যে বর্তমান জাতীয় সংসদের প্রথম অধীবেশনেই এ বিচার অনুষ্ঠানের সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহিত হয়।
Dear all, Welcome to www.onlinebanglamedia.com is a platform where you can find web links for Bangladeshi Media, useful links for Education, Scholarship, Jobs, Entertainment, Sports and almost everything.
ReplyDeletePlease do like our Face book page, link is below:)
www.facebook.com/OnlineBanglaMedia
Online Bangla Media is a young but fast growing Bangla online portal. we appreciate any useful website link, articles related to Online Bangla Media theme. if you wish to publish anything, please send us follow the link www.onlinebanglamedia.com/submit-weblink We will review and publish in our website as soon as possible.All suggestions and comments are appreciated.
Best Regards
Admin