রামু বৌদ্ধ জনপদে হামলা খাঁচায় বন্দী থেকেও পুলিশকে পেটাল জামায়াত নেতা বাহাদুর
রামু বৌদ্ধ বিহার ও বড়ুয়াপল্লীতে সহিংস হামলার ঘটনায় নেতৃত্বদানকারী ইতোপূর্বে গ্রেফতার হওয়া জামায়াত নেতা শহীদুল আলম বাহাদুর ওরফে ভিপি বাহাদুর পুলিশের খাঁচায় বন্দী অবস্থায় থেকেও এবার হামলা চালিয়েছে পুলিশের ওপর।
কোর্ট হাজতে সাবেক শিবির ক্যাডার ভিপি বাহাদুরের হামলায় পুলিশ কনস্টেবল ইসহাক আহত হয়েছেন(৪ পৃষ্ঠা ৭ কঃ দেখুন) খাঁচায় বন্দী
(প্রথম পৃষ্ঠার পর)
বলে জানা গেছে। কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ বিহার ও পল্লীতে সহিংসতার ঘটনায় জড়িত ও ২টি অত্যাধুনিক রিভলবারসহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারান্তরীণ জেলা জামায়াতের রুকন ভিপি বাহাদুর ও তার অনুসারীরা বৃহস্পতিবার বিকেলে কোট পুলিশের ওপর এ হামলা চালায়। কক্সবাজার আদালতের হাজত খানার সামনে এ ঘটনা ঘটলেও পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার শিবিরের সাবেক ক্যাডার কারান্তরীণ শহিদুল আলম বাহাদুরের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার নির্ধারিত হাজিরা দিতে তাকে আদালতে আনা হয়। ওসময় বেশ কিছু শিবির সমর্থক বাহাদুরের সঙ্গে কথা বলতে তৎপর হয়ে ওঠে। পরে আদালত থেকে হাজিরা শেষে বাহাদুরকে হাজতে আনার সময় দরজার সামনে কয়েকজন শিবির ক্যাডার বাহাদুরের সঙ্গে আলাপ করে। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল ইসহাককে বাধা দিলে ভিপি বাহাদুর ওই পুলিশ সদস্যকে কিল-ঘুষি মারা শুরু করে। একপর্যায়ে হৈচৈ পড়ে সেখানে। অন্যান্য পুলিশ সদস্য এগিয়ে এসে বাহাদুরকে হাজতের ভেতরে নিয়ে যান। পরে শিবির ক্যাডাররা দ্রুত আদালত এলাকা থেকে সটকে পড়ে।
কক্সবাজার কোর্ট পুলিশ পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা সিএসআই আনোয়ার হোসেন জানান, ভিপি বাহাদুরের দর্শণার্থীরা কোর্ট হাজতে এসে তার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা চালায়। এতে এক কনস্টেবলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। মারধরের বিষয়টি সত্য নয়, উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আদালত পাড়ায় সকাল থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রামুর বৌদ্ধ বিহার ও বড়ুয়াপল্লীতে হামলার পরিকল্পনাকারীদের অন্যতম হিসেবে শিবিরের সাবেক ক্যাডার ও জেলা জামায়াত নেতা শহিদুল আলম বাহাদুরকে শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ৫ নবেম্বর রাতে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের একটি টিম ও পুলিশ সদস্যরা রামু বাইপাস এলাকা থেকে পাসপোর্ট, নগদ টাকাসহ তাকে আটক করে। ৬ নবেম্বর তার নিরাপদ আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত কক্সবাজার সরকারী কলেজের পেছনে ভিপি বাহাদুর পরিচালিত কেজি স্কুলসংলগ্ন পাহাড়ের একটি স্থান থেকে ২টি অত্যাধুনিক রিভলবার উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলার ঘটনাসহ অস্ত্র আইনেও মামলা দায়ের করে র্যাব।
No comments