খালেদা জিয়া ঝাঁপি খুলেই মাঠে নেমেছেন ॥ মেনন
যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে খালেদা জিয়ার এখন আর কোন রাখ ঢাক নেই বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন ।
১৪ দলের এই শরিক নেতা বলেন, ব্যাক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া এখন ঝাঁপি খুলেই মাঠে নেমেছেন। উদ্দেশ্য মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ঠেকানো। ছাব্বিশ ডিসেম্বর রাজধানীতে অনুষ্ঠিত পথসভায় জামাত-শিবিরকে সঙ্গে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল অচল করারও হুংকার দিয়েছেন তিনি।মেনন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন ইস্যুতে আন্দোলন নয়, বস্তুত যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজম-নিজামী-মুজাহিদদেরকে রক্ষা করাই তার আন্দোলনের লক্ষ্য। যুদ্ধাপরাধের বিচার সফল করতে জনগণ প্রয়োজনে তাকেই ঘেরাও করবে। কারণ দেশের মানুষ সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষার দিকে তাকিয়ে আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে এই আশায় ভোট দিয়েছে জনগণ। তাই জনগণের মতামতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এর পরিনাম শুভ হবে না।
শুক্রবার শহীদ আসাদ মিলনায়তনে ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগরীর সভায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে মেনন বলেন, যে কোন মূল্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে। সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিক। আর তা বুঝতে পেরে জামায়াত-শিবির এখন বিএনপির সমর্থন নিয়ে বিচার ঠেকাতে মরিয়া। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চোরাগোপ্তা হামলা করছে তারা। বিচারপতি হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী হতাশা থেকেই এসব কাজ করে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আগামী ৩১ ডিসেম্বর সাত দলের বিক্ষোভ-সমাবেশের প্রস্তুতির জন্য অনুষ্ঠিত সভায় মেনন একই সঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন জনগণের ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করাই সঠিক হবে না। বিএনপি নিজেই মূল্যবৃদ্ধির সরকার হওয়ার পর জনগণের এ ধরনের অসন্তোষকেই তাদের হীন উদ্দেশ্য পূরণের জন্য কাজে লাগাবে। তিনি বিশ্বজিৎ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কিশোর রায়ের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য নুরুল হাসান, নগর কমিটির সদস্য আবুল হোসাইন, মোস্তফা আলমগীর রতন, জাকির হোসেন রাজু, আলী শিকদার, কামরূল আহসান, মদিনা খানম, সাব্বাহ আলী খান কলিন্স, মুর্শিদা আক্তার ডেইজি, সাইফুল ইসলাম তপন, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু প্রমুখ।
No comments