অবহেলিত শ্রীপুরের সাতখামাইর গ্রামের বধ্যভূমি
১৯৭১ সালে পাকহানাদার বাহিনী ও এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা সারাদেশের মতো গাজীপুরের শ্রীপুরেও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ, নির্যাতন ও বর্বরতার চিহ্ন রেখে গেছে।
হাতে মেহেদীর রং মুছে যাওয়ার পূর্বেই পাকহানাদারদের পালাক্রমে ধর্ষণে শহীদ নববধূদের অরক্ষিত কবরগুলো সাতখামাইরের বধ্যভূমিতে আজও নিভৃতে কাঁদে। অবহেলায় পড়ে থাকা বধ্যভূমিটির কথা জানতে পেরে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজীজ হায়দার ভূঁইয়া খোঁজ খবর নিতে সরজমিনে গেলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণরা এ বধ্যভূমির ইতিহাসের বর্ণনা দেন। ওই গ্রামের সত্তরোর্ধ নুরমোহাম্মদ ফকির, আঃ মান্নান ও সাতখামাইর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক লিয়াকত আলী দুলাল জানান, এখানে শহীদ পরিবারের অনেকে রিক্সা চালিয়ে, কেউ দিন মজুরি করে মানবেতর জীবনযাপন করছে।বরমী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ আঃ রাজ্জাক বেপারী জানান, ৭১-এর নিরীহ বাঙালীদের ওপর পাকহানাদার বাহিনীর নৃশংস বর্বরতারই চিহ্ন বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর বধ্যভূমিটি। স্থানীয় উদ্যোগে সম্প্রতি সংরক্ষণের চেষ্টা করা হলেও তা অরক্ষিতই রয়ে গেছে।
শ্রীপুর পৌর মেয়র আনিছুর রহমান জানান যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি সেই শহীদদের অবহেলিত গণকবরগুলো অবশ্যই সংরক্ষণ করে স্মৃতিফলকে শহীদদের নাম সংযোজন করা দরকার। শ্রীপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল হক জানান উপজেলার বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ, যথাযথ সম্মান ও শহীদ পরিবারগুলোর সহযোগিতার ব্যাপারে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
Ñমোস্তফা কামাল প্রধান, শ্রীপুর, গাজীপুর
No comments