বিক্ষোভে উসকানির অভিযোগ- মিসরে তিন বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ
মিসরের শীর্ষ তিনজন বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাঁরা হলেন: মোহাম্মদ এলবারাদি, আমর মুসা ও হামদিন সাবাহি। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে এই তিন নেতা জনগণকে বিক্ষোভে উসকানি দিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
মোহাম্মদ এলবারাদি, আমর মুসা ও হামদিন সাবাহির বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার তদন্তের নির্দেশ দেন সরকারের প্রধান কৌঁসুলি তালাত ইব্রাহিম। এলবারাদি জাতিসংঘের আণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী। আরব লিগের সাবেক প্রধান ও মিসরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমর মুসা এবং হামদিন সাবাহি গত জুনে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুরসির সঙ্গে লড়াই করেন।
বিবিসির কায়রো প্রতিনিধি জানান, বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হলেও তার মানে এই নয় যে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হবে।
বিরোধীদের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট মুরসি সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের আমলের মতো আচরণ করছেন। এলবারাদির দলের সাধারণ সম্পাদক এমাদ আবু গাজী বলেন, মিসর একটি পুলিশি রাষ্ট্র হতে যাচ্ছে যেখানে লক্ষ্যই থাকে বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করা।’
গত মাসে মুরসিবিরোধী বিক্ষোভের সময় বিরোধীরা ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট (এনএসএফ) নামে একটি বিরোধী জোট গঠন করে। জোটের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ আসায় মুরসির সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, বিতর্কিত সংবিধান কার্যকর হওয়ার পর মুরসি আলোচনার যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন বিরোধীরা। এনএসএফের মুখপাত্র হুসেন আবদুল ঘানি বলেন, মুরসির প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনার জন্য তাঁদের জোট শিগগিরই বৈঠকে বসবে। সরকারের সঙ্গে চলমান আলোচনাকে ‘প্রহসন’ ও ‘নাটক’ অভিহিত করেন তিনি। ঘানি অভিযোগ করেন, সরকার ধর্মের নামে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে।
মুরসির সঙ্গে বিরোধের কারণে বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন সংসদবিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ মাহসুব। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে দুজন মন্ত্রী পদত্যাগ করলেন।
নতুন সংবিধান কার্যকর করে মঙ্গলবার রাতে এক আদেশে স্বাক্ষর করেন মুরসি। এর মধ্য দিয়ে হোসনি মোবারকের পতনের পর প্রথম সংবিধান পেল মিসর। সংবিধান কার্যকর হওয়ায় দুই মাসের মধ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতাও তৈরি হলো। বিবিসি।
বিবিসির কায়রো প্রতিনিধি জানান, বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হলেও তার মানে এই নয় যে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হবে।
বিরোধীদের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট মুরসি সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের আমলের মতো আচরণ করছেন। এলবারাদির দলের সাধারণ সম্পাদক এমাদ আবু গাজী বলেন, মিসর একটি পুলিশি রাষ্ট্র হতে যাচ্ছে যেখানে লক্ষ্যই থাকে বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করা।’
গত মাসে মুরসিবিরোধী বিক্ষোভের সময় বিরোধীরা ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট (এনএসএফ) নামে একটি বিরোধী জোট গঠন করে। জোটের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ আসায় মুরসির সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, বিতর্কিত সংবিধান কার্যকর হওয়ার পর মুরসি আলোচনার যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন বিরোধীরা। এনএসএফের মুখপাত্র হুসেন আবদুল ঘানি বলেন, মুরসির প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনার জন্য তাঁদের জোট শিগগিরই বৈঠকে বসবে। সরকারের সঙ্গে চলমান আলোচনাকে ‘প্রহসন’ ও ‘নাটক’ অভিহিত করেন তিনি। ঘানি অভিযোগ করেন, সরকার ধর্মের নামে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে।
মুরসির সঙ্গে বিরোধের কারণে বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন সংসদবিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ মাহসুব। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে দুজন মন্ত্রী পদত্যাগ করলেন।
নতুন সংবিধান কার্যকর করে মঙ্গলবার রাতে এক আদেশে স্বাক্ষর করেন মুরসি। এর মধ্য দিয়ে হোসনি মোবারকের পতনের পর প্রথম সংবিধান পেল মিসর। সংবিধান কার্যকর হওয়ায় দুই মাসের মধ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতাও তৈরি হলো। বিবিসি।
No comments