টি-টোয়েন্টি -যুবরাজের সত্যিকারের ফেরা (ভিডিও)
উইকেটে নেমেই সামনে পেলেন সাত ফুটি এক ‘দৈত্য’—মোহাম্মদ ইরফান। দ্বিতীয় বলেই বাউন্সার দিয়ে স্বাগত জানানো হলো। কোনোমতে সামলালেন। তৃতীয় বলটা অমন উচ্চতা থেকে ঘণ্টায় ১৪৪ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসা ইয়র্কার। গিয়ে লাগল ঠিক বুটের মাঝখানে।
যুবরাজ সিং আক্ষরিক অর্থেই ধরাশায়ী। মাটিতে শুয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। ফিজিও ছুটে আসতেই যেভাবে মাথা ঝাঁকালেন, মনে হলো, ব্যাটিংয়ের এখানেই সমাপ্তি। রানের খাতা খোলার আগেই!
যুবরাজ সিং আক্ষরিক অর্থেই ধরাশায়ী। মাটিতে শুয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। ফিজিও ছুটে আসতেই যেভাবে মাথা ঝাঁকালেন, মনে হলো, ব্যাটিংয়ের এখানেই সমাপ্তি। রানের খাতা খোলার আগেই!
কিন্তু তিনি যুবরাজ। মৃত্যুকেও জয় করে এসেছেন হেলায়। ক্যানসার তাঁকে কাবু করতে পারেনি। সামান্য ব্যথা? ব্যাটিং করতে এসেই যে ব্যথা পেয়েছিলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই তা পাকিস্তানি বোলারদের ফিরিয়ে দিতে শুরু করলেন। শরীরের ব্যথা ম্যাজিক সেপ্র দিয়ে উধাও করা যায়, যুবরাজের আঘাতের ব্যথা পাকিস্তান ভুলবে কী করে! শেষ পর্যন্ত তাঁর ৩৬ বলে খেলা ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ৭২ রানের ইনিংসটাই ব্যবধান গড়ে দিল। দ্বিতীয় ম্যাচটা ১১ রানে জিতে সিরিজটা ১-১ করে ফেলল ভারত। সিরিজের শুরুর ছবিটা মিলে গেল শেষেও—দুই অধিনায়কের হাতেই শোভা পেল ট্রফি। ‘সৌহার্দ্যে’র সিরিজ বলে কথা।
মৃত্যুদুয়ার থেকে ফিরেছেন। এই ম্যাচের আগেই একটা টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচসেরা হয়েছেন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে এই আহমেদাবাদেই খেলেছেন ৭৪ রানের একটা ইনিংস। কিন্তু কোথাও যেন আসল যুবরাজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। টেস্ট দল থেকে বাদও পড়তে হয়েছে। অবশেষে সত্যিকারের যুবরাজের পুনর্জন্ম হলো কাল। ২০০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে চার মেরে শক্তির খুব বেশি অপচয় করতে রাজি ছিলেন না। ছক্কাতেই ছিলেন বেশি উৎসাহী। ৪টি চারের সঙ্গে তাই সাতটি ছক্কা। পরে প্রথম ওভারেই নিয়েছেন আহমেদ শেহজাদের উইকেট। ম্যাচসেরা কে—ম্যাচ শেষে এ প্রশ্নটার তাই
No comments