আর্মি স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সংগীত উৎসব
শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ ছিল কুয়াশায় ঢাকা। বিকেল থেকে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে আলো ছড়িয়েছেন তিন দেশের তিন তারকা কণ্ঠশিল্পী—বাংলাদেশের জেমস, পাকিস্তানের শাফকাত আমানত আলী ও ভারতের সনু নিগম।
মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন তাদের স্টার গ্রাহকদের জন্য আয়োজন করে ‘ট্রাই নেশন ফেস্টিভ্যাল’। এখানেই গান করেছেন এই তিন শিল্পী।বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরতে আয়োজনটি সাজানো হয় সংগীত, ফ্যাশন শো, নৃত্য দিয়ে। ফ্যাশন শো ও নাচের সমন্বয়ে তুলে ধরা হয় তিনি দেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাস। ভিন্নমাত্রা যোগ করেছিল সাধনা নৃত্যদলের ‘রায়বেঁশে নৃত্য’ পরিবেশনা। তবে সবকিছু ছাড়িয়ে মোহনীয় ছিল নগরবাউল জেমস, সনু নিগম ও শাফকাত আমানত আলীর সংগীত পরিবেশনা। প্রথম এই তিন তারকা একই মঞ্চে গাইলেন। গ্রামীণফোনের এই উৎসবটি উপভোগ করতে কয়েক হাজার দর্শক-শ্রোতা এসেছিলেন আর্মি স্টেডিয়ামে।
আয়োজনের সূচনা হয় জেমসের অনবদ্য পরিবেশনা দিয়ে। বিকেল চারটার কিছু পরে মঞ্চে এসে তিনি বাংলার উৎসবপ্রিয় মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করেন তাঁর পরিবেশনা। গেয়ে শোনান ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘গুরু’, ‘পাগলা হাওয়া’, ‘লেইস ফিতা’ ও ‘বিজলী’।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। শীত জেঁকে বসেছে। এ সময় মঞ্চে আসেন শাফকাত আমানত আলী। শুরুতেই তিনি গাইলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সুরকার আলাউদ্দিন আলীর সুরে ‘ভালোবাসি বলিব না আর, বলেছিলাম একদিন’। এরপর তিনি গাইলেন ‘আঁখোকে সাগর’। এর পর পরিবেশন করেন ‘মোরা সাইয়া’ গানটি। পরে তিনি তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করেন। ‘মিতওয়া’ গানটি শুনিয়ে শেষ করেন তাঁর পরিবেশনা।
রাত নয়টার পর মঞ্চে আসেন সনু নিগম। তিনি একে একে তাঁর গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে দর্শক-শ্রোতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন গ্রামীণফোনের সিএমও অ্যালান বোনকে। তিনি বলেন, ২০ হাজার গ্রামীণফোন স্টার গ্রাহক কনসার্টটি উপভোগ করার সুযোগ পান।
No comments