ফকল্যান্ডে আর্জেন্টিনার আক্রমণে ‘বিস্মিত’ হয়েছিলেন থ্যাচার
ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে আর্জেন্টিনার আক্রমণ যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারকে ‘বিস্মিত’ করেছিল। ওই দ্বীপপুঞ্জ শেষ পর্যন্ত পুনরুদ্ধার করা যাবে কি না, তা নিয়ে তিনি রীতিমতো ‘চিন্তিত’ হয়ে পড়েছিলেন। নতুন প্রকাশিত সরকারি নথিপত্রে এ তথ্য মিলেছে।
‘লৌহমানবী’ হিসেবে পরিচিত থ্যাচারের দৃষ্টিতে ১৯৮২ সালে ফকল্যান্ডে আর্জেন্টিনার ওই আক্রমণ ছিল নিতান্তই ‘অপরিপক্ব’ সিদ্ধান্ত।
তিন দশকের ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’ সরকারি দলিলপত্র অনুযায়ী, ফকল্যান্ড পুনরুদ্ধার করতে থ্যাচার রীতিমতো চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন।
ফকল্যান্ড যুদ্ধ শেষ হওয়ার কয়েক মাস পর ১৯৮২ সালের অক্টোবরে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ পর্যালোচনা কমিটির সামনে সাক্ষ্য দেন থ্যাচার। ওই কমিটির প্রধান ছিলেন লর্ড ফ্রাংকস। সেই নাটকীয় সাক্ষ্যের প্রতিলিপি প্রথমবারের মতো প্রকাশ করা হয়েছে। থ্যাচার ওই কমিটিকে বলেছিলেন, ‘আমি কখনোই ভাবিনি যে আর্জেন্টিনা ফকল্যান্ড আক্রমণের মতো নির্বুদ্ধিতার কাজ করবে। সেখানে হামলার রাতে (২ এপ্রিল ১৯৮২) কেউ আমাকে বলতে পারেনি, ফকল্যান্ড পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে কি না।’
আর্জেন্টিনার আক্রমণের কয়েক মাস আগেই যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ফকল্যান্ডে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁরা আক্রমণের একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা নিয়ে থ্যাচারের সঙ্গে ১৯৮২ সালের ২৬ মার্চ দেখা করেন। যুক্তরাজ্যের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড ক্যারিংটনও ফ্রাংকস কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। আর্জেন্টিনা ফকল্যান্ডে আক্রমণ করবে, এমন আশঙ্কা তিনিও নাকচ করেছিলেন।
দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের ফকল্যান্ড দ্বীপ ১৯৮২ সালের ২ এপ্রিল দখল করে নেয় আর্জেন্টিনা। ওই এলাকায় যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন দক্ষিণ জর্জিয়াও অল্প সময়ের মধ্যেই দখল করে নেওয়া হয়। জবাবে যুক্তরাজ্যের অন্তত ১০০টি যুদ্ধজাহাজ দক্ষিণ আটলান্টিকের উদ্দেশে ৫ এপ্রিল রওনা হয়। একাধিক লড়াইয়ের পর অবশেষে ১৪ জুন আর্জেন্টিনার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। ফকল্যান্ড যুদ্ধে যুক্তরাজ্যের ২৫৫ জন, ফকল্যান্ডের বেসামরিক তিন নাগরিক এবং আর্জেন্টিনার প্রায় ৬৫০ জন নিহত হয়। আর্জেন্টিনা এখনো ফকল্যান্ডের মালিকানা দাবি করে। তারা দ্বীপপুঞ্জটিকে লাস মালভিনাস নামে উল্লেখ করে। বিবিসি।
তিন দশকের ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’ সরকারি দলিলপত্র অনুযায়ী, ফকল্যান্ড পুনরুদ্ধার করতে থ্যাচার রীতিমতো চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন।
ফকল্যান্ড যুদ্ধ শেষ হওয়ার কয়েক মাস পর ১৯৮২ সালের অক্টোবরে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ পর্যালোচনা কমিটির সামনে সাক্ষ্য দেন থ্যাচার। ওই কমিটির প্রধান ছিলেন লর্ড ফ্রাংকস। সেই নাটকীয় সাক্ষ্যের প্রতিলিপি প্রথমবারের মতো প্রকাশ করা হয়েছে। থ্যাচার ওই কমিটিকে বলেছিলেন, ‘আমি কখনোই ভাবিনি যে আর্জেন্টিনা ফকল্যান্ড আক্রমণের মতো নির্বুদ্ধিতার কাজ করবে। সেখানে হামলার রাতে (২ এপ্রিল ১৯৮২) কেউ আমাকে বলতে পারেনি, ফকল্যান্ড পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে কি না।’
আর্জেন্টিনার আক্রমণের কয়েক মাস আগেই যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ফকল্যান্ডে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁরা আক্রমণের একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা নিয়ে থ্যাচারের সঙ্গে ১৯৮২ সালের ২৬ মার্চ দেখা করেন। যুক্তরাজ্যের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড ক্যারিংটনও ফ্রাংকস কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। আর্জেন্টিনা ফকল্যান্ডে আক্রমণ করবে, এমন আশঙ্কা তিনিও নাকচ করেছিলেন।
দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের ফকল্যান্ড দ্বীপ ১৯৮২ সালের ২ এপ্রিল দখল করে নেয় আর্জেন্টিনা। ওই এলাকায় যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন দক্ষিণ জর্জিয়াও অল্প সময়ের মধ্যেই দখল করে নেওয়া হয়। জবাবে যুক্তরাজ্যের অন্তত ১০০টি যুদ্ধজাহাজ দক্ষিণ আটলান্টিকের উদ্দেশে ৫ এপ্রিল রওনা হয়। একাধিক লড়াইয়ের পর অবশেষে ১৪ জুন আর্জেন্টিনার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। ফকল্যান্ড যুদ্ধে যুক্তরাজ্যের ২৫৫ জন, ফকল্যান্ডের বেসামরিক তিন নাগরিক এবং আর্জেন্টিনার প্রায় ৬৫০ জন নিহত হয়। আর্জেন্টিনা এখনো ফকল্যান্ডের মালিকানা দাবি করে। তারা দ্বীপপুঞ্জটিকে লাস মালভিনাস নামে উল্লেখ করে। বিবিসি।
No comments