কবিতা
পারুহার
মানজুর মুহাম্মদ
পাথরঘাটার পারুহার
মিন্সিপাল্টির ঝাড়ুদার।
একাত্তরের এক সকালে
করল কতল হানাদার।
জানলো না কেউ, মারলো কে সে?
জানলো না-ও থানাদার।
এক দু’টো নয়-চার ছ’টি নয়
গোটা বিশেক মরলো পাক,
গ্রেনেড বোমায় উড়ল ট্রাক।
জানলো না কেউ, দেখলো না কেউ
কী করেছে পারুহার,
মিন্সিপাল্টির ঝাড়ুদার।
পাথরঘাটার পারুহার,
বীরাঙ্গনা-ঝাড়ুদার।
সাতসকালে নিবিড় মনে
আজো সে দেয় পথ-ঝাড়ু,
গর্ব দেশের পাথরঘাটার
বীরাঙ্গনা ঐ পারু।
কেউ জানে না দেশ বাঁচাতে
কী করেছে ঝাড়ুদার,
কেউ চেনে না আজো তাকে,
নামটি যে তার পারুহার।
ভূত বলে নেই কিছু
দেওয়ান বাদল
গল্প আছে গভীর রাতে
ভূত দেখে ভয় পাবার
গজার টাকি ভূতের নাকি
খুবই প্রিয় খাবার।
ভরদুপুরে, সাঁঝের বেলায়
শেওড়া, তেঁতুল গাছে
গেছো ভূতের দেখা পাবার
গল্প আরও আছে।
গল্প কারও ভূত রাতে তার
নিয়েছিল পিছু
আজগুবি এ গল্প শুধুই
ভূত বলে নেই কিছু।
নতুন বছর
জাকির আজাদ
শান্তি সুখের বার্তা নিয়ে
নতুন বছর আসুক,
নব আলোয় জীর্ণ জ্বরা
আঁধারগুলি নাশুক।
দুঃখ গ্লানি ভুলে সবাই
প্রাণটা খুলে হাসুক
হিংসা মুছে পরস্পরে
নিখাদ ভালবাসুক।
নতুন বছর নতুন বছর
প্রাণে উচ্ছ্বাস আনুক,
সবল হয়েরে কু-কর্মের
উপর আঘাত হানুক।
মন্দ থেকে ভালো কাজে
সবাইকে খুব টানুক,
একে অপরের দুঃখ-সুখটা
স্বপ্নের কথা জানুক।
নতুন বছর, দিন বদলের
ডাকটা এবার ডাকুক,
দ্বন্দ্ব-দ্বিধাহীন রঙিন সব
সময় ঘিরে থাকুক।
ফেলে আসা মন্দদিনের
রেশটা পুরা ঢাকুক,
সবার পাশে হাসিখুশির
জগত করে রাখুক।
স্বাধীনতার সূর্য হাসে
মানিক চক্রবর্তী
স্বাধীনতার সূর্য হাসে
দে দুয়ার দে খুলে,
বাগানখানি যাক ভরে যাক
নতুন ফুলে ফুলে।
গাইবে পাখি স্বদেশী গান
জাগবে পাড়া গাঁও।
উজান বেয়ে ছুটবে দূরে
বাংলাদেশের নাও।
বাজবে মধুর রাখাল বাঁশি
সবুজ বটের ছায়
স্বাধীনতার ফুল পাপড়ি
মাখবে সারা গায়।
No comments