চবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচন প্রগতিশীলদের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা!
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আগামী ৩১ ডিসেম্বর সোমবার। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের মেরুকরণ। তবে আওয়ামী লীগ ও প্রগতিশীল শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজনের চিত্রও লক্ষণীয়।
ফলে বিশ্ববিদ্যালয় জামায়াত-শিবির সমর্থিত শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে কিনা তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছেশঙ্কা। একটি মহল বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারণ শিক্ষকদের বিভ্রান্ত করার মাধ্যমে জামায়াতের স্বার্থ রক্ষা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।আগামী সোমবার অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি অনুষদের ৭৯৩ শিক্ষক এক বছরের জন্য তাঁদের এগারো প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। সাধারণত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগপন্থী ও বাম প্রগতিশীল শিক্ষকদের সঙ্গে জামায়াত-বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের প্রতিদ্বন্ধিতা হয়। তবে অভিযোগ রয়েছে যে, বেশ কিছুদিন ধরে প্রগতিশীলদের পক্ষ ত্যাগ করে কিছু শিক্ষক নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থে বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙ্গিয়ে আলাদা দল করে সাধারণ শিক্ষকদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছেন। ২০০৩ সালে এই কাজটি করে তারা পুরো বিশ্ববিদ্যালয় জামায়াত-শিবিরের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কয়েক মাস আগে তাঁরা ডিন নির্বাচনে একই কাজ করেছিলেন এবং সব অনুষদে প্রগতিশীলদের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিলেন। পরে অবস্থা বুঝতে পেরে তাঁরা কলা অনুষদ ছাড়া অন্যান্য সব অনুষদ হতে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেন। কলা অনুষদের এক প্রার্থী মাত্র ২২ ভোট পেতে সক্ষম হন। প্রগতিশীল দলের মূল অংশের প্রার্থী ড. ইমরান হোসেন ৯৯ ভোট পেয়ে কলা অনুষদের ডিন নির্বাচিত হন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক প্রগতিশীল শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙ্গিয়ে যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করেন এবং সাধারণ শিক্ষকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন তাঁরা জামায়াতের স্বার্থই রক্ষা করে থাকেন। তাঁদের এই সব অনভিপ্রেত কার্যকলাপে জামায়াত অর্থ যোগান দেয়Ñ এমন গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে এই ভগ্নাংশটি প্রার্থী হওয়ার জন্য নয়জনকে রাজি করাতে পেরেছে। তবে শত বিভ্রান্তির মাঝেও শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারকরা শেষ পর্যন্ত ঠিক কাজটিই করবে বলে আশা করছেন প্রগতিশীল শিক্ষকরা।
No comments