শিক্ষার গুণগত মানই হওয়া উচিত চূড়ান্ত লক্ষ্য- স্কুল পরীক্ষায় পাসের হার বৃদ্ধি
গত বৃহস্পতিবার একই দিনে ২০১২ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার (জেএসসি) ফল প্রকাশিত হয়েছে বিরাট সুসংবাদ হিসেবে। উভয় পরীক্ষাতেই পাসের হার ও ভালো ফল করার হার দর্শনীয়ভাবে বেড়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গড় পাসের হার গত বছরের তুলনায় এবার দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৯৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এটি নিঃসন্দেহে উৎসাহব্যঞ্জক। কারণ, সাধারণ প্রত্যাশা হলো, প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো শিশুই যেন পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ না হয়। প্রাথমিক শিক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষকমণ্ডলীর আন্তরিক প্রয়াস অব্যাহত থাকলে আমরা নিশ্চয়ই অদূর ভবিষ্যতে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যাব। প্রাথমিকে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার বেড়েছে গতবারের তুলনায় শতভাগের বেশি। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল এক লাখ পাঁচ হাজার ৬৭৩ জন, এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৩৩ হাজার ১৪০ জন। সব মিলিয়ে ২৪ লাখ ১৫ হাজার ৩৪১ জন শিশু শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ পেরিয়ে এল। আমাদের জরুরি দায়িত্ব হলো, এরা যেন মাধ্যমিক পর্যায়ও একইভাবে পেরিয়ে যেতে পারে, যেন মাঝপথে ঝরে না যায়, সেটা নিশ্চিত করা।
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় এবার পাসের হার ৮৬ দশমিক ১১ শতাংশ, গত বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪ হাজার ১৫৮ জন, গতবারের থেকে ১৪ হাজার ৩২০ জন বেশি। এই ফলও সবার জন্য উৎসাহব্যঞ্জক; সরকার, বিশেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে। এই ধারাবাহিক অগ্রগতি নিশ্চয়ই শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাবকমণ্ডলী ও শিক্ষার্থীদের নিরবচ্ছিন্ন মনোযোগ, উদ্যম ও অধ্যবসায়ের স্বাক্ষর বহন করে।
তবে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফলের উজ্জ্বলতায় আনন্দ প্রকাশের পাশাপাশি আমরা মনোযোগ দিতে চাই শিক্ষার গুণগত মানের দিকে, কেননা চূড়ান্ত লক্ষ্য সেটাই। বছরে বছরে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে শিক্ষার্থীর জানা-বোঝা বা অর্জিত শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির সামঞ্জস্য থাকা চাই। বেশিসংখ্যক পরীক্ষার্থীর জিপিএ-৫ পাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে যদি উত্তরপত্র মূল্যায়নে ‘উদারতা’ও অন্তর্ভুক্ত থাকে, তাহলে এই ভালো ফল শেষ পর্যন্ত জাতির জন্য উপকারী হবে না, শিক্ষার্থীদের জন্য তো নয়ই। উত্তরপত্র মূল্যায়নে কথিত ‘উদারতা’ বা প্রশ্নপত্র ‘সহজ হওয়া’ ইত্যাদি কথা শোনা যায়; কিন্তু যেহেতু এ বিষয়ে ব্যাপকভিত্তিক গবেষণা হয়নি, তাই আমরা নিশ্চিত করে এই প্রবণতাকে ভালো ফলের হার ক্রমশ বৃদ্ধির জন্য দায়ী করতে চাই না। আমরা মনে করি, বিষয়টি বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।
মানবসম্পদ উন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র শিক্ষা। শুধু সূচক বৃদ্ধির জন্য নয়, শিক্ষার গুণগত মান বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, শিক্ষার শক্তিতেই জাতি টিকে থাকে ও অগ্রগতি সাধন করে। শিক্ষার অগ্রগতি হতে হয় খাঁটি, তাতে খাদ থাকলে চলে না।
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় এবার পাসের হার ৮৬ দশমিক ১১ শতাংশ, গত বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪ হাজার ১৫৮ জন, গতবারের থেকে ১৪ হাজার ৩২০ জন বেশি। এই ফলও সবার জন্য উৎসাহব্যঞ্জক; সরকার, বিশেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে। এই ধারাবাহিক অগ্রগতি নিশ্চয়ই শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাবকমণ্ডলী ও শিক্ষার্থীদের নিরবচ্ছিন্ন মনোযোগ, উদ্যম ও অধ্যবসায়ের স্বাক্ষর বহন করে।
তবে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফলের উজ্জ্বলতায় আনন্দ প্রকাশের পাশাপাশি আমরা মনোযোগ দিতে চাই শিক্ষার গুণগত মানের দিকে, কেননা চূড়ান্ত লক্ষ্য সেটাই। বছরে বছরে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে শিক্ষার্থীর জানা-বোঝা বা অর্জিত শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির সামঞ্জস্য থাকা চাই। বেশিসংখ্যক পরীক্ষার্থীর জিপিএ-৫ পাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে যদি উত্তরপত্র মূল্যায়নে ‘উদারতা’ও অন্তর্ভুক্ত থাকে, তাহলে এই ভালো ফল শেষ পর্যন্ত জাতির জন্য উপকারী হবে না, শিক্ষার্থীদের জন্য তো নয়ই। উত্তরপত্র মূল্যায়নে কথিত ‘উদারতা’ বা প্রশ্নপত্র ‘সহজ হওয়া’ ইত্যাদি কথা শোনা যায়; কিন্তু যেহেতু এ বিষয়ে ব্যাপকভিত্তিক গবেষণা হয়নি, তাই আমরা নিশ্চিত করে এই প্রবণতাকে ভালো ফলের হার ক্রমশ বৃদ্ধির জন্য দায়ী করতে চাই না। আমরা মনে করি, বিষয়টি বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।
মানবসম্পদ উন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র শিক্ষা। শুধু সূচক বৃদ্ধির জন্য নয়, শিক্ষার গুণগত মান বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, শিক্ষার শক্তিতেই জাতি টিকে থাকে ও অগ্রগতি সাধন করে। শিক্ষার অগ্রগতি হতে হয় খাঁটি, তাতে খাদ থাকলে চলে না।
No comments