মজার খবর- গোয়েন্দা শকুন
পত্রবাহক হিসেবে কবুতরের সুনামটা বেশ পুরনো। ডাক প্রচলনের আগে প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা রাজা-বাদশাদের মধ্যে দূতিয়ালির কাজটা ভালই করত পায়রা বানু। ঠোঁটে করে চিঠি বয়ে নিয়ে যেত দূর-দূরান্তে।
ডাক আর ই-মেইলের যুগে কবুতর বেকার হয়ে গেলেও কাজ পেয়েছে শকুন মশাই। গোয়েন্দা যন্ত্র ডানায় বয়ে গুপ্তচরের কাজটা ভালই করছে সে। তবে গুপ্তচরের গোয়েন্দাগিরি সব সময় গুপ্ত থাকে না, ধরাও পড়তে হয়। যেমন সুদানে ধরা পড়েছে ইসরাইলী গোয়েন্দা শকুন। পশ্চিমে দারফুর অঞ্চলে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের সময় ইসরাইলের একটি পোষা শকুনকে আটক করেছে সুদান। শকুনটির শরীরে আটকানো গোয়েন্দা যন্ত্রপাতি দিয়ে দারফুর থেকে তথ্য সংগ্রহ করছিল ইসরাইল। সুদানের সরকারী বার্তা সংস্থা বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, দারফুরে আটক ওই শকুনটির গায়ে ‘পার্ক সার্ভিস জিপিএস’ চিপ আটকানো ছিল। শকুনটি ইসরাইলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির কাজে নিয়োজিত ছিল। আটক শকুনটির এক পায়ে লালফিতা বাঁধা ছিল যাতে হিব্রুতে লেখা রয়েছে ‘ইসরাইল নেচার সার্ভিস’ ও ‘হিব্রু“ ইউনিভার্সিটি, জেরুজালেম’।মিষ্টি গ্রাম
মিষ্টি শব্দটির সঙ্গে নতুন করে কাউকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার দরকার নেই। কিন্তু এই সুস্বাদু খাবারের সঙ্গে বিস্কুট ও কেক মিশিয়ে যে গ্রামীণ দৃশ্যের হুবহু নকল করেছেন ব্রিটেনের কিছু সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পঞ্চদশ শতকের ব্রিটেনের ব্রুটোন শহরের একটি গ্রামের ওপর করা এ রেপ্লিকা করতে সময় লেগেছে টানা ১২০ ঘণ্টা। গ্রামটিতে কি নেই? গ্রামটিতে আছে প্যাকহর্স ব্রিজ, ডজন ডজন বাড়ি, বরফের তৈরি কালভার্ট। যে কারও কাছে মনে হতে পারে এটি যেন আগের গ্রামটিই। কেক বিস্কুটের সঙ্গে মিষ্টি মিশিয়ে গোলা তৈরির পর আগুনে সেঁকার পর তা বিভিন্ন আকৃতি দেয়া হয়। বরফ, চকোলেট ও কেক বিস্কুটের সমন্বয়ে এ অপূর্ব শিল্পকর্মটি সৃষ্টি করেছেন শিক্ষার্থীরা। সমাটসেটের কিংস স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের এ অসাধারণ নৈপুণ্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছে অনেকে।
মাছের কথোপকথন!
মাছের কথোপকথন। অবিশ্বাস্য। কিন্তু গভীর সমুদ্র দেশের মাছেরা কথা বলে! উৎসুক মানুষ এবার তা জানল। অতলান্ত আঁধারি সমুদ্রতল নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। সম্প্রতি সমুদ্র নিয়েই একটি নজরকাড়া গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের গবেষক শাহরিমান গাজালি প্রমাণ করেছেন গভীর সমুদ্রতলে মাছেরা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলে। সমুদ্রবিজ্ঞানী শাহরিমান গাজালি বলেছেন, মাছেরা ভাল শুনতে পায়। কিন্তু সবাই শব্দ করতে পারে না। সাঁতার কাটার উপযোগী পেশিকে কাঁপিয়ে নানা ধরনের শব্দ তৈরি করে মাছেরা। পেশির সংকোচন-প্রসারণ থেকেই সৃষ্টি হয় ওইসব শব্দ। আর বিভিন্ন কারণে তারা এ শব্দ বার বার অবিকলভাবে তৈরি করতে পারে। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের সঙ্গীদের আকর্ষণ করে, আক্রমণকারীদের ভয় দেখাতে কিংবা পারিপার্শ্বিক অবস্থার সঙ্গে নিজেদের খাপ খাওয়াতে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
ইব্রাহিম নোমান
No comments