রাজশাহী, নীলফামারী, বদরগঞ্জ ও বিরামপুরে কম্বল বিতরণ
রাজশাহী, নীলফামারী, রংপুরের বদরগঞ্জ ও দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় গতকাল শুক্রবার প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে শীতার্ত ও দুস্থ মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। রাজশাহীতে ২০০টি, নীলফামারীতে ১২০, বদরগঞ্জে ১০০ ও বিরামপুরে ৫০টি কম্বল বিতরণ করা হয়।
ঢাকার বাইরে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
রাজশাহী: গোদাগাড়ী উপজেলার পালপুর, পলাশবাড়ী, ধামিলা, ইমামগঞ্জ, ফুলবাড়ী, গোলাই এবং পবা উপজেলার ভিমেরডাইং, দামকুড়া, আলোকছত্র, শরমুংলা, বিন্দারামপুর, ধুতুরাবন, ফেত্তাপাড়া ও কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের দুস্থ মানুষের মধ্যে ১১৬টি কম্বল বিতরণ করা হয়। দামকুড়াহাট কলেজ মাঠে এই বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হাসেম, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট আবুল কালাম আজাদ, গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা আবদুল মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আর বিকেলে পবা উপজেলা চত্বরে উপজেলার নওহাটা, বায়া, হরিপুর ও হড়গ্রাম এলাকার দুস্থ মানুষের মধ্যে ৮৪টি কম্বল বিতরণ করা হয়। এ সময় রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, সংগঠনের সদস্য দেবাশীষ প্রামাণিক ও মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আল আজাদ উপস্থিত ছিলেন। দুটি অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ ও বন্ধুসভার সদস্যরা।
নীলফামারী: জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের হরিবল্লভ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে কম্বল বিতরণের আয়োজন করা হয়। ইটাখোলা ইউনিয়নের হঠাৎপাড়া, হরিবল্লভ, কালীতলা; কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের ফুলতলা, দোলাপাড়া ও পৌর এলাকার আরাজি কুখাপাড়ার ১২০ জনের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল হাতে পেয়ে কালীতলা গ্রামের আমিনা বেগম (৮০) বলেন, ‘মুই ঠান্ডাত মরি যাওছো বায়, মোখ কাহো দেখে না। ... তোমরা যে কম্বলখান দিলেন, এইখান পায়া মোর খুব উপকার হইল।’
শীতার্ত মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেন নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ সরকার। উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর নীলফামারী প্রতিনিধি মীর মাহমুদুল হাসান, জেলা বন্ধুসভার সহসভাপতি রিফাত আরা প্রধান, শিক্ষক সুধীর চন্দ্র রায়সহ বন্ধুসভার সদস্যরা।
বদরগঞ্জ (রংপুর): বদরগঞ্জ মডেল হাইস্কুলের মাঠে বিকেলে দামোদরপুরের বকশীপাড়া, গুদামপাড়া, আমরুলবাড়ি, হাটখোলাপাড়া, রামনাথপুরের কিসামত ঘাটাবিল, মিরাপাড়া, কালিরডাঙ্গা, বিষ্ণুপুরের ঘৃনই গাছুয়াপাড়া ও পৌরসভার বালুয়াভাটা গ্রামের ১০০ জনকে কম্বল দেওয়া হয়।
বদরগঞ্জের ঘৃনই গাছুয়া গ্রামের শুভরন নেছা (৯২) বলেন, ‘এই মরণ জাড় (ঠান্ডা) গায়ের গোস্তোত খালি হানি ঢোকে। ...হামার প্যাকে তোরা দ্যাখোছেন। বাপধন, তোমাক আল্লায় দেকপে।’
কম্বল বিতরণ করেন বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. নুরন্নবী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর বদরগঞ্জ প্রতিনিধি আলতাফ হোসেন, স্থানীয় বন্ধুসভার সভাপতি সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক সাজন দাস, শাহেদা আখতার মিতু, নিতু শর্মা, ফাহিম ফয়সাল, নাদিম মোস্তফা, মাসুদ প্রমুখ।
বিরামপুর (দিনাজপুর): টানা শীতে কাহিল হয়ে পড়েন বিরামপুরের মির্জাপুর এলাকার রাধুনী মুরমু (৬০)। সাধ্য নেই শীতবস্ত্র কেনার। পৌর কাউন্সিলরসহ কয়েকজনের কাছে ধরনা দিয়েও জোটেনি শীতবস্ত্র। প্রথম আলো ট্রাস্টের কম্বল পেয়ে হাসি ফুটে ওঠে রাধুনী মুরমুর মুখে। তিনি বলেন, ‘তারা মোর জীবনটা বাঁচলেন।’ দুপুরে মির্জাপুরের আদিবাসী পল্লিতে ৫০টি কম্বল বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর বিরামপুর প্রতিনিধি এ এস এম আলমগীর, সমাজকর্মী ইলিয়াস হাসদা, উপজেলা বন্ধুসভার সভাপতি মোহাতামিমাসহ অন্যরা।
রাজশাহী: গোদাগাড়ী উপজেলার পালপুর, পলাশবাড়ী, ধামিলা, ইমামগঞ্জ, ফুলবাড়ী, গোলাই এবং পবা উপজেলার ভিমেরডাইং, দামকুড়া, আলোকছত্র, শরমুংলা, বিন্দারামপুর, ধুতুরাবন, ফেত্তাপাড়া ও কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের দুস্থ মানুষের মধ্যে ১১৬টি কম্বল বিতরণ করা হয়। দামকুড়াহাট কলেজ মাঠে এই বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হাসেম, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট আবুল কালাম আজাদ, গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা আবদুল মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আর বিকেলে পবা উপজেলা চত্বরে উপজেলার নওহাটা, বায়া, হরিপুর ও হড়গ্রাম এলাকার দুস্থ মানুষের মধ্যে ৮৪টি কম্বল বিতরণ করা হয়। এ সময় রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, সংগঠনের সদস্য দেবাশীষ প্রামাণিক ও মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আল আজাদ উপস্থিত ছিলেন। দুটি অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ ও বন্ধুসভার সদস্যরা।
নীলফামারী: জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের হরিবল্লভ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে কম্বল বিতরণের আয়োজন করা হয়। ইটাখোলা ইউনিয়নের হঠাৎপাড়া, হরিবল্লভ, কালীতলা; কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের ফুলতলা, দোলাপাড়া ও পৌর এলাকার আরাজি কুখাপাড়ার ১২০ জনের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল হাতে পেয়ে কালীতলা গ্রামের আমিনা বেগম (৮০) বলেন, ‘মুই ঠান্ডাত মরি যাওছো বায়, মোখ কাহো দেখে না। ... তোমরা যে কম্বলখান দিলেন, এইখান পায়া মোর খুব উপকার হইল।’
শীতার্ত মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেন নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ সরকার। উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর নীলফামারী প্রতিনিধি মীর মাহমুদুল হাসান, জেলা বন্ধুসভার সহসভাপতি রিফাত আরা প্রধান, শিক্ষক সুধীর চন্দ্র রায়সহ বন্ধুসভার সদস্যরা।
বদরগঞ্জ (রংপুর): বদরগঞ্জ মডেল হাইস্কুলের মাঠে বিকেলে দামোদরপুরের বকশীপাড়া, গুদামপাড়া, আমরুলবাড়ি, হাটখোলাপাড়া, রামনাথপুরের কিসামত ঘাটাবিল, মিরাপাড়া, কালিরডাঙ্গা, বিষ্ণুপুরের ঘৃনই গাছুয়াপাড়া ও পৌরসভার বালুয়াভাটা গ্রামের ১০০ জনকে কম্বল দেওয়া হয়।
বদরগঞ্জের ঘৃনই গাছুয়া গ্রামের শুভরন নেছা (৯২) বলেন, ‘এই মরণ জাড় (ঠান্ডা) গায়ের গোস্তোত খালি হানি ঢোকে। ...হামার প্যাকে তোরা দ্যাখোছেন। বাপধন, তোমাক আল্লায় দেকপে।’
কম্বল বিতরণ করেন বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. নুরন্নবী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর বদরগঞ্জ প্রতিনিধি আলতাফ হোসেন, স্থানীয় বন্ধুসভার সভাপতি সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক সাজন দাস, শাহেদা আখতার মিতু, নিতু শর্মা, ফাহিম ফয়সাল, নাদিম মোস্তফা, মাসুদ প্রমুখ।
বিরামপুর (দিনাজপুর): টানা শীতে কাহিল হয়ে পড়েন বিরামপুরের মির্জাপুর এলাকার রাধুনী মুরমু (৬০)। সাধ্য নেই শীতবস্ত্র কেনার। পৌর কাউন্সিলরসহ কয়েকজনের কাছে ধরনা দিয়েও জোটেনি শীতবস্ত্র। প্রথম আলো ট্রাস্টের কম্বল পেয়ে হাসি ফুটে ওঠে রাধুনী মুরমুর মুখে। তিনি বলেন, ‘তারা মোর জীবনটা বাঁচলেন।’ দুপুরে মির্জাপুরের আদিবাসী পল্লিতে ৫০টি কম্বল বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর বিরামপুর প্রতিনিধি এ এস এম আলমগীর, সমাজকর্মী ইলিয়াস হাসদা, উপজেলা বন্ধুসভার সভাপতি মোহাতামিমাসহ অন্যরা।
No comments